
ওয়ারেন, ৩০ জুন : গতকাল রোববার নগরীর শিব মন্দির টেম্পল অব জয়ে পালিত হয়েছে যুগাবতার শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তিরোধান দিবস। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল পূজা-অর্চনা, গীতাযজ্ঞ, কীর্তন, গীতা পাঠ, বাল্যভোগ, রাজ্যভোগ ও প্রসাদ বিতরণ।

সকালে অনুষ্ঠিত হয় বাল্যভোগ। বেলা ১২টায় পূজার্চনার পর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী অপু’র পরিচালনায় শুরু হয় গীতাযজ্ঞ। এরপর ভক্তরা পরিবেশন করেন শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ। দুপুর গড়াতেই মন্দির প্রাঙ্গণ ভক্ত-অনুরাগীদের ভক্তিময় উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।
শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে (১৮ ভাদ্র, ১১৩৭ বঙ্গাব্দ) কলকাতার উপকণ্ঠে চৌরাশি চাকলা নামক গ্রামে, এক ব্রাহ্মণ পরিবারে। পিতা রামনারায়ণ ঘোষাল ও মাতা কমলাদেবীর চতুর্থ পুত্র ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির, কিন্তু সঙ্গে ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নে আগ্রহী।

মাত্র এগারো বছর বয়সে পিতার আদেশে তিনি গুরু ভগবান গাঙ্গুলীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং উপনয়নের পর গৃহত্যাগ করে সাধনপথে যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও অধিক সময় হিমালয়ের বরফঢাকা পরিবেশে তপস্যা করে তিনি সিদ্ধিলাভ করেন। অতঃপর বিভিন্ন তীর্থস্থান ও দেশ ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে ২৬ বছর অতিবাহিত করেন।
১৫০ বছর বয়সে, ১৯ জ্যৈষ্ঠ বারদীতেই তিনি দেহত্যাগ করেন। তাঁর জীবনদর্শন ও আধ্যাত্মিক সাধনার অনুপ্রেরণায় আজও লাখো ভক্ত তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করে চলেছেন।

সকালে অনুষ্ঠিত হয় বাল্যভোগ। বেলা ১২টায় পূজার্চনার পর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী অপু’র পরিচালনায় শুরু হয় গীতাযজ্ঞ। এরপর ভক্তরা পরিবেশন করেন শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ। দুপুর গড়াতেই মন্দির প্রাঙ্গণ ভক্ত-অনুরাগীদের ভক্তিময় উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।
শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে (১৮ ভাদ্র, ১১৩৭ বঙ্গাব্দ) কলকাতার উপকণ্ঠে চৌরাশি চাকলা নামক গ্রামে, এক ব্রাহ্মণ পরিবারে। পিতা রামনারায়ণ ঘোষাল ও মাতা কমলাদেবীর চতুর্থ পুত্র ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির, কিন্তু সঙ্গে ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নে আগ্রহী।

মাত্র এগারো বছর বয়সে পিতার আদেশে তিনি গুরু ভগবান গাঙ্গুলীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং উপনয়নের পর গৃহত্যাগ করে সাধনপথে যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও অধিক সময় হিমালয়ের বরফঢাকা পরিবেশে তপস্যা করে তিনি সিদ্ধিলাভ করেন। অতঃপর বিভিন্ন তীর্থস্থান ও দেশ ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে ২৬ বছর অতিবাহিত করেন।
১৫০ বছর বয়সে, ১৯ জ্যৈষ্ঠ বারদীতেই তিনি দেহত্যাগ করেন। তাঁর জীবনদর্শন ও আধ্যাত্মিক সাধনার অনুপ্রেরণায় আজও লাখো ভক্ত তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করে চলেছেন।