
ডাইকেল-স্টিভেন্স মুর/Oakland County Sheriff's Office.
পন্টিয়াক, ৩০ জুন : ওকল্যান্ড কাউন্টির পন্টিয়াকে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ও নৃশংস শিশু নির্যাতনের ঘটনা। ৩৮ বছর বয়সী সেড্রিক ডাইকেল-স্টিভেনস মুর তার ৯ বছর ও ১ বছর বয়সী সন্তানদের উপর এমন নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন যা কেবল অবাকই করে না, বরং মানবতাবোধকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পন্টিয়াকের সাউথ এডিথ স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে ডাইকেল-স্টিভেনস মুরের বাড়ি থেকে ৯ বছর বয়সী শিশু সাহায্যের জন্য দৌড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। সেই প্রতিবেশীই পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন মুর দোকানে যাওয়ার পর তার ছেলে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
ডেপুটিদের কাছে ৯ বছর বয়সী শিশুটি জানায়, সে সোফায় ঘুমিয়ে পড়েছিল,এই কারণে তার বাবা প্রচণ্ড রেগে যান। এরপর তাকে বেল্ট ও ঝাড়ু দিয়ে মারধর করেন এবং এমনভাবে শ্বাসরোধ করেন যে সে প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। শিশুটি আরও জানায়, তার ছোট ভাই ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছিল, এতে বিরক্ত হয়ে বাবা তাকে খাঁচার ভেতরে "ছুড়ে ফেলে" দেন।
ওকল্যান্ড কাউন্টি শেরিফের অফিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডেপুটিরা ৯ বছর বয়সী শিশুটির শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তার ধড়ের উপর আঘাত, চোখ ও ঘাড়ে ঘর্ষণের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট। শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
আরও জানা গেছে, ১ বছর বয়সী শিশু, যার মা বর্তমানে কারাগারে আছেন, সে তার এক আত্মীয়ের জিম্মায় রয়েছে। শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষা করা হলে তার পিঠে সিগারেটের পোড়ার দাগ পাওয়া গেছে, যা আরও এক ভয়ানক নির্যাতনের প্রমাণ বহন করে।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ডাইকেল-স্টিভেনস মুরকে তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে দ্বিতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রির শিশু নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে হাজির করা হয় এবং আদালত তাকে ওকল্যান্ড কাউন্টি কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার জন্য নির্ধারিত বন্ডের পরিমাণ $১০০,০০০।
শেরিফ মাইকেল বাউচার্ড এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা যে সবচেয়ে খারাপ জিনিস দেখি তার মধ্যে একটি হল শিশুদের উপর ভয়াবহ নির্যাতন... এটি সহ্য করা যায় না।” এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সমাজের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেয়, শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। সেইসাথে, সমাজের প্রতিটি সদস্যকেও সচেতন থাকতে হবে যেন আশেপাশে কোনো শিশুর কান্না কিংবা দুঃখ-যন্ত্রণা যেন আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে না যায়।
Source & Photo: http://detroitnews.com
পন্টিয়াক, ৩০ জুন : ওকল্যান্ড কাউন্টির পন্টিয়াকে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ও নৃশংস শিশু নির্যাতনের ঘটনা। ৩৮ বছর বয়সী সেড্রিক ডাইকেল-স্টিভেনস মুর তার ৯ বছর ও ১ বছর বয়সী সন্তানদের উপর এমন নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন যা কেবল অবাকই করে না, বরং মানবতাবোধকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পন্টিয়াকের সাউথ এডিথ স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে ডাইকেল-স্টিভেনস মুরের বাড়ি থেকে ৯ বছর বয়সী শিশু সাহায্যের জন্য দৌড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। সেই প্রতিবেশীই পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন মুর দোকানে যাওয়ার পর তার ছেলে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
ডেপুটিদের কাছে ৯ বছর বয়সী শিশুটি জানায়, সে সোফায় ঘুমিয়ে পড়েছিল,এই কারণে তার বাবা প্রচণ্ড রেগে যান। এরপর তাকে বেল্ট ও ঝাড়ু দিয়ে মারধর করেন এবং এমনভাবে শ্বাসরোধ করেন যে সে প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। শিশুটি আরও জানায়, তার ছোট ভাই ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছিল, এতে বিরক্ত হয়ে বাবা তাকে খাঁচার ভেতরে "ছুড়ে ফেলে" দেন।
ওকল্যান্ড কাউন্টি শেরিফের অফিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডেপুটিরা ৯ বছর বয়সী শিশুটির শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তার ধড়ের উপর আঘাত, চোখ ও ঘাড়ে ঘর্ষণের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট। শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
আরও জানা গেছে, ১ বছর বয়সী শিশু, যার মা বর্তমানে কারাগারে আছেন, সে তার এক আত্মীয়ের জিম্মায় রয়েছে। শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষা করা হলে তার পিঠে সিগারেটের পোড়ার দাগ পাওয়া গেছে, যা আরও এক ভয়ানক নির্যাতনের প্রমাণ বহন করে।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ডাইকেল-স্টিভেনস মুরকে তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে দ্বিতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রির শিশু নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে হাজির করা হয় এবং আদালত তাকে ওকল্যান্ড কাউন্টি কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার জন্য নির্ধারিত বন্ডের পরিমাণ $১০০,০০০।
শেরিফ মাইকেল বাউচার্ড এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা যে সবচেয়ে খারাপ জিনিস দেখি তার মধ্যে একটি হল শিশুদের উপর ভয়াবহ নির্যাতন... এটি সহ্য করা যায় না।” এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সমাজের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেয়, শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। সেইসাথে, সমাজের প্রতিটি সদস্যকেও সচেতন থাকতে হবে যেন আশেপাশে কোনো শিশুর কান্না কিংবা দুঃখ-যন্ত্রণা যেন আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে না যায়।
Source & Photo: http://detroitnews.com