
ডেট্রয়েট, ১৭ জুলাই : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক নীরব নায়ক, ডেট্রয়েটের সেনা সদস্য কেনেথ এল. ক্র্যামার অবশেষে প্রাপ্য সম্মান ফিরে পেলেন। যুদ্ধবন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী এই বীর সেনাকে দীর্ঘ অজ্ঞাত থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা যুদ্ধবন্দী/এমআইএ অ্যাকাউন্টিং এজেন্সি (DPAA) আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করেছে। তিনি মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপানি বাহিনী যখন ফিলিপাইন আক্রমণ করে, তখন ক্র্যামার ১৯তম এয়ার বেস স্কোয়াড্রন, ২০তম এয়ার বেস গ্রুপের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। বাটান ও কোরেগিডোরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের সেনাদের সঙ্গে জাপানিদের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র যুদ্ধ করেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে হাজার হাজার মার্কিন এবং ফিলিপিনো সেনা সদস্যকে বন্দী করে যুদ্ধবন্দী শিবিরে আটক করা হয়েছিল।
বাটানে মার্কিন বাহিনী যখন জাপানি সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই সময় বন্দী হওয়া সৈন্যদের মধ্যে কেনেথ এল. ক্র্যামারও ছিলেন। প্রতিরক্ষা যুদ্ধবন্দী/এমআইএ অ্যাকাউন্টিং এজেন্সির তথ্যানুযায়ী, ক্র্যামারসহ বহু সৈন্যকে ৬৫ মাইল দীর্ঘ তীব্র দুর্ভোগের বাটান ডেথ মার্চের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের কাবানাতুয়ান যুদ্ধবন্দী শিবিরে আটক করা হয়। ঐ শিবিরে বন্দী অবস্থায় প্রায় ২,৫০০ জনেরও বেশি যুদ্ধবন্দী মারা যান।
"চূড়ান্ত পর্যায়ে কাবানাতুয়ান যুদ্ধবন্দী শিবিরে প্রায় ৮,০০০ আমেরিকান ও ফিলিপিনো সেনাকে আটক রাখা হয়েছিল, যারা বাটানের পতনের সময় এবং তার পরবর্তী সময়ে জাপানি বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন।"
অবশেষে, ১৯৪২ সালের ২৯ জুন ক্র্যামার ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং ক্যাম্পের ভেতরেই একটি গনকবরে তাঁকে সমাহিত করা হয়। কবর চিহ্ন ছিল: কমন গ্রেভ ৪০৭।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ডিএপিএএ আধুনিক ফরেনসিক ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্র্যামারের পরিচয় নিশ্চিত করে। তাঁর পরিচয় পুনঃস্থাপন শুধুমাত্র একজন সৈনিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নয়, বরং তার মাধ্যমে আরও একবার যুদ্ধবন্দীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে।
আজ কেনেথ এল. ক্র্যামারের গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি নামের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক গভীর আত্মত্যাগের কাহিনী, যা ইতিহাসের পাতায় কখনো মুছে যায় না।
Source & Photo: http://detroitnews.com
১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপানি বাহিনী যখন ফিলিপাইন আক্রমণ করে, তখন ক্র্যামার ১৯তম এয়ার বেস স্কোয়াড্রন, ২০তম এয়ার বেস গ্রুপের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। বাটান ও কোরেগিডোরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের সেনাদের সঙ্গে জাপানিদের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র যুদ্ধ করেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে হাজার হাজার মার্কিন এবং ফিলিপিনো সেনা সদস্যকে বন্দী করে যুদ্ধবন্দী শিবিরে আটক করা হয়েছিল।
বাটানে মার্কিন বাহিনী যখন জাপানি সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই সময় বন্দী হওয়া সৈন্যদের মধ্যে কেনেথ এল. ক্র্যামারও ছিলেন। প্রতিরক্ষা যুদ্ধবন্দী/এমআইএ অ্যাকাউন্টিং এজেন্সির তথ্যানুযায়ী, ক্র্যামারসহ বহু সৈন্যকে ৬৫ মাইল দীর্ঘ তীব্র দুর্ভোগের বাটান ডেথ মার্চের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের কাবানাতুয়ান যুদ্ধবন্দী শিবিরে আটক করা হয়। ঐ শিবিরে বন্দী অবস্থায় প্রায় ২,৫০০ জনেরও বেশি যুদ্ধবন্দী মারা যান।
"চূড়ান্ত পর্যায়ে কাবানাতুয়ান যুদ্ধবন্দী শিবিরে প্রায় ৮,০০০ আমেরিকান ও ফিলিপিনো সেনাকে আটক রাখা হয়েছিল, যারা বাটানের পতনের সময় এবং তার পরবর্তী সময়ে জাপানি বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন।"
অবশেষে, ১৯৪২ সালের ২৯ জুন ক্র্যামার ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং ক্যাম্পের ভেতরেই একটি গনকবরে তাঁকে সমাহিত করা হয়। কবর চিহ্ন ছিল: কমন গ্রেভ ৪০৭।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ডিএপিএএ আধুনিক ফরেনসিক ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্র্যামারের পরিচয় নিশ্চিত করে। তাঁর পরিচয় পুনঃস্থাপন শুধুমাত্র একজন সৈনিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নয়, বরং তার মাধ্যমে আরও একবার যুদ্ধবন্দীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে।
আজ কেনেথ এল. ক্র্যামারের গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি নামের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক গভীর আত্মত্যাগের কাহিনী, যা ইতিহাসের পাতায় কখনো মুছে যায় না।
Source & Photo: http://detroitnews.com