হ্যামট্র্যাম্যাকের মেয়র নির্বাচনে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’: নামেই এক চমক

আপলোড সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ১২:৫৮:১৫ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ১২:৫৮:১৫ পূর্বাহ্ন
Mister Bangladesh/ Facebook, Mister Bangladesh 

হ্যামট্র্যাম্যাক আজ আমার প্রাথমিক ব্যালট পেয়েছি। মিস্টার বাংলাদেশ কে? এটা কি আসলেই সত্যি ও বৈধ?” হ্যামট্র্যামকের জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ “I Love Hamtramck and Actually Live Here”-এ একজন ব্যবহারকারীর জিজ্ঞাসা। উত্তর সংক্ষেপে: হ্যাঁ, এটি সত্যি এবং পুরোপুরি বৈধ।
৩৯ বছর বয়সী মিস্টার বাংলাদেশ, যিনি পূর্বে দেওয়ান মাহমুদ চৌধুরী এবং তুহিন চৌধুরী নামেও পরিচিত ছিলেন, জানিয়েছেন যে মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার পর তার নাম আইনি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন করেছেন। তবে এখন তিনি নিজেকে কেবল একজন “আমেরিকান” হিসেবে পরিচয় দিতে চান। “নাগরিকত্ব পাওয়ার পর আমি আমার দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই নাম নিয়েছি,” বলেন মিস্টার বাংলাদেশ, যাঁর মাতৃভাষা বাংলা এবং ইংরেজি তাঁর দ্বিতীয় ভাষা। “তবে এখন আমার একমাত্র পরিচয়—আমি একজন আমেরিকান, এবং আমি এতে গর্বিত।”
হ্যামট্র্যাম্যাক সিটির ক্লার্ক রেনা ফারাজ নিশ্চিত করেছেন, ব্যালটে প্রার্থী হিসেবে মিস্টার বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো আইনি জটিলতা হয়নি। তাঁর কাগজপত্র ছিল সঠিক, এবং আবেদন প্রক্রিয়াও ছিল সুষ্ঠু।
২০২০ সালের মার্কিন আদমশুমারি অনুযায়ী, হ্যামট্র্যাম্যাকের ২৭,০০০ জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ নিজেকে এশিয়ান হিসেবে পরিচয় দেন। যদিও আদমশুমারিতে জাতিগত উপ-বিভাগ উল্লেখ করা হয়নি, জানা যায়, এদের অধিকাংশই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। এছাড়াও শহরে ইয়েমেনি, পোলিশ এবং অন্যান্য অভিবাসী জনগোষ্ঠীও রয়েছে।
বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ, যার জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ১০ লক্ষ। এটি ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পূর্বে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেয়। দেশের প্রায় ৯০% মানুষ মুসলিম ধর্মাবলম্বী। অন্য দুই মেয়র প্রার্থীও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত—সিটি কাউন্সিল সদস্য মুহিত মাহমুদ এবং খান হোসেন। বর্তমানে হ্যামট্র্যাম্যাক শহরের মেয়র এবং পুরো সিটি কাউন্সিল মুসলিম সদস্যদের নিয়ে গঠিত।
ওয়েইন কাউন্টি প্রোবেট কোর্ট অনুসারে, যে কেউ কাউন্টিতে অন্তত ৬০ দিন বসবাসের পর নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন হয় একটি প্রাথমিক আবেদনপত্র, একটি অপরাধমূলক পটভূমি যাচাইয়ের অনুমতি, এবং ৮৩.৬০ ডলারের ফাইলিং ফি।
Source & Photo: http://detroitnews.com
 

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com