
সিলেট, ১৫ আগস্ট : সিলেটের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার দাবিতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখা, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেট এবং সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার আয়োজিত সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাদা পাথর সহ সিলেটের প্রকৃতিবিনাশী কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ ও মানবাধিকারকর্মীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় সুরমা নদী তীরে ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন আলী আমজাদের ঘড়ি ঘরের বিপরীতে সাদা পাথরসহ ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দী, উৎমাছড়া, জাফলং, লোভাছড়াসহ সিলেট অঞ্চলে পাথর লুটেরা চক্রের শাস্তির দাবীতে এ নাগরিকবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখার আহবায়ক ডা : মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার আব্দুল করিম কিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নাগরিক বন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল। ধারণা বক্তব্য রাখেন ধরা’র আজীবন সদস্য সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেটের ট্রাস্টি স্থপতি জেরিনা হোসেন, সিলেট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. নাজিয়া চোধুরী,জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক এমরান আল আমিন, বাংলাদেশ জাসদ সিলেটের সভাপতি জাকির আহমেদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি কৌশিক সাহা, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ এমদাদুল হক, শিল্পকলা একাডেমির সদস্য শামসুল বাসিত শেরো, সচেতন নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি এডভোকেট শিরিন আক্তার, ধরার কেন্দ্রীয় আহবায়ক পরিষদের সদস্য ফাদার যোশেফ গোমেজ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ জেলা সংগঠক কমরেড উজ্জ্বল রায়, জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরী, সিলেট বিভাগ গণদাবি পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ ,গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের তানজীনা বেগম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত অর্জুন, হবিগঞ্জ ধরার সদস্য সচিব তোফাজ্জল সোহেল, ক্যাটারাস গ্রুপ সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবলু, একসেস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্ঠা ডা: মোঃ এনামুল হক এনাম, ধরা সিলেটের অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট অরুপ সেন বাপ্পী, রেজাউল কিবরিয়া, এডভোকেট জাকিয়া জালাল ও রুমেনা রুজি, প্রবাসী সমাজকর্মী ফারমিস আক্তার, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ আহমেদ, চারণ সংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেটের নাজিকুল ইসলাম রানা প্রমুখ।
ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, যে হারে উজান থেকে পাথর নামে, সেই হারে বারকি নৌকার পাথর আহরণ যখন বোমা মেশিন আর এক্সেভেটর দিয়ে দ্রুত উত্তোলন শুরু হল, আমরা তখন থেকে এর অভিঘাত, বিপর্যয় এবং প্রতিবাদের কথা বলে আসছি। এক পর্যায়ে সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে কি পদ্ধতিতে কি পরিমাণ পাথর আহরণ করা যাবে, তা জানার আগ পর্যন্ত সকল প্রকার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় নাগরিক উদ্বেগ উচ্চ আদালতে গড়ায়।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের পাথর হচ্ছে লুটের কাঁচা টাকা। এর সাথে অনেক রকম স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা আর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাথার উপর মেঘালয়কে মরনফাঁদ বানিয়ে আত্মহত্যার এই প্রচেষ্টাকে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন। সাম্প্রতিক পাথর লুট একটি অপুরণীয় ক্ষতি। তাই অবিলম্বে যারা পাথরলুটের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদান করতে হবে।
ধরা’র আজীবন সদস্য সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ঐদিন রাত থেকেই সিলেটের সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর ও বালুসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ লুঠপাটের হিড়িক পরে। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সরজমিনে সাদাপাথর পরিদর্শন করে পাথর লুট বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই। এর বাইরে জাফলং, উৎমাছড়া,লোভাছড়া, বিছানাকান্দিসহ আরও অনেক এলাকার বালু ও পাথর লুঠপাট হয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সংবাদপত্রে তেমন আসেনি। পাথর লুঠপাটে কেবল পরিবেশ নয়; মানবিক বিপর্যয় অনিবার্য। এসব এলাকায় নদীসমূহ দিক পরিবর্তন করবে। দেখা দিবে নদীভাংনের। জাফলং এলাকায় খাসিয়াদের পুরো একটি জনপদ পুরাতন সংগ্রাম পুঞ্জি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল নদীভাংগনে। সাদা পাথর এলাকায় বিজিবি ক্যাম্প ও স্থল বন্দর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ধরা সিলেট এর সদস্য সচিব সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার আব্দুল করিম কিম বলেন, প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন ছত্রছায়ায় সাদাপাথর নিঃশেষ হয়ে গেছে। বিগত দুই দশক ধরে পরিবেশকর্মীরা সিলেটের পাথরের স্বার্থে যেভাবে কথা বলেছে, গত এক বছরেও একই ভাবে পাথর লুটের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই সম্পদ লুন্ঠনের জন্য দায়ী কে? শুধু পাথরখেকোরা? পাথর লুন্ঠনের পেছনে কোনকোন রাজনৈতিক দলের কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের মধ্যে গড়ে ওঠা ঐক্যের কথা আলোচিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। সরকারের উচিৎ তাদের মুখোশ উন্মোচন করা। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে পাথর লুটেরাদের দমনে কেবল ব্যর্থ হতে দেখেনি; দেখেছে নতজানু হতে। তাই সহস্র কোটি টাকার পাথর ও বালু লুন্ঠনের ভাগবাটোয়ারাতে প্রশাসনের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। এ অবস্থায় নিশ্চুপ থাকার অবকাশ নেই। সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ প্রয়োজন।
এই আয়োজনে সাংগঠনিকভাবে অংশগ্রহণ করেন খবরের কাগজ বন্ধুজন সিলেট শাখা, উন্নয়ন সংগঠন একসেস বাংলাদেশ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার বিষয়ক সংগঠন ও প্রাধিকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় সুরমা নদী তীরে ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন আলী আমজাদের ঘড়ি ঘরের বিপরীতে সাদা পাথরসহ ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দী, উৎমাছড়া, জাফলং, লোভাছড়াসহ সিলেট অঞ্চলে পাথর লুটেরা চক্রের শাস্তির দাবীতে এ নাগরিকবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখার আহবায়ক ডা : মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার আব্দুল করিম কিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নাগরিক বন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল। ধারণা বক্তব্য রাখেন ধরা’র আজীবন সদস্য সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেটের ট্রাস্টি স্থপতি জেরিনা হোসেন, সিলেট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. নাজিয়া চোধুরী,জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক এমরান আল আমিন, বাংলাদেশ জাসদ সিলেটের সভাপতি জাকির আহমেদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি কৌশিক সাহা, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ এমদাদুল হক, শিল্পকলা একাডেমির সদস্য শামসুল বাসিত শেরো, সচেতন নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি এডভোকেট শিরিন আক্তার, ধরার কেন্দ্রীয় আহবায়ক পরিষদের সদস্য ফাদার যোশেফ গোমেজ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ জেলা সংগঠক কমরেড উজ্জ্বল রায়, জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান চৌধুরী, সিলেট বিভাগ গণদাবি পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ ,গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের তানজীনা বেগম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত অর্জুন, হবিগঞ্জ ধরার সদস্য সচিব তোফাজ্জল সোহেল, ক্যাটারাস গ্রুপ সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবলু, একসেস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্ঠা ডা: মোঃ এনামুল হক এনাম, ধরা সিলেটের অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট অরুপ সেন বাপ্পী, রেজাউল কিবরিয়া, এডভোকেট জাকিয়া জালাল ও রুমেনা রুজি, প্রবাসী সমাজকর্মী ফারমিস আক্তার, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ আহমেদ, চারণ সংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেটের নাজিকুল ইসলাম রানা প্রমুখ।
ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, যে হারে উজান থেকে পাথর নামে, সেই হারে বারকি নৌকার পাথর আহরণ যখন বোমা মেশিন আর এক্সেভেটর দিয়ে দ্রুত উত্তোলন শুরু হল, আমরা তখন থেকে এর অভিঘাত, বিপর্যয় এবং প্রতিবাদের কথা বলে আসছি। এক পর্যায়ে সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে কি পদ্ধতিতে কি পরিমাণ পাথর আহরণ করা যাবে, তা জানার আগ পর্যন্ত সকল প্রকার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় নাগরিক উদ্বেগ উচ্চ আদালতে গড়ায়।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের পাথর হচ্ছে লুটের কাঁচা টাকা। এর সাথে অনেক রকম স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা আর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাথার উপর মেঘালয়কে মরনফাঁদ বানিয়ে আত্মহত্যার এই প্রচেষ্টাকে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন। সাম্প্রতিক পাথর লুট একটি অপুরণীয় ক্ষতি। তাই অবিলম্বে যারা পাথরলুটের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদান করতে হবে।
ধরা’র আজীবন সদস্য সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ঐদিন রাত থেকেই সিলেটের সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর ও বালুসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ লুঠপাটের হিড়িক পরে। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সরজমিনে সাদাপাথর পরিদর্শন করে পাথর লুট বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই। এর বাইরে জাফলং, উৎমাছড়া,লোভাছড়া, বিছানাকান্দিসহ আরও অনেক এলাকার বালু ও পাথর লুঠপাট হয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সংবাদপত্রে তেমন আসেনি। পাথর লুঠপাটে কেবল পরিবেশ নয়; মানবিক বিপর্যয় অনিবার্য। এসব এলাকায় নদীসমূহ দিক পরিবর্তন করবে। দেখা দিবে নদীভাংনের। জাফলং এলাকায় খাসিয়াদের পুরো একটি জনপদ পুরাতন সংগ্রাম পুঞ্জি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল নদীভাংগনে। সাদা পাথর এলাকায় বিজিবি ক্যাম্প ও স্থল বন্দর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ধরা সিলেট এর সদস্য সচিব সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার আব্দুল করিম কিম বলেন, প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন ছত্রছায়ায় সাদাপাথর নিঃশেষ হয়ে গেছে। বিগত দুই দশক ধরে পরিবেশকর্মীরা সিলেটের পাথরের স্বার্থে যেভাবে কথা বলেছে, গত এক বছরেও একই ভাবে পাথর লুটের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই সম্পদ লুন্ঠনের জন্য দায়ী কে? শুধু পাথরখেকোরা? পাথর লুন্ঠনের পেছনে কোনকোন রাজনৈতিক দলের কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের মধ্যে গড়ে ওঠা ঐক্যের কথা আলোচিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। সরকারের উচিৎ তাদের মুখোশ উন্মোচন করা। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে পাথর লুটেরাদের দমনে কেবল ব্যর্থ হতে দেখেনি; দেখেছে নতজানু হতে। তাই সহস্র কোটি টাকার পাথর ও বালু লুন্ঠনের ভাগবাটোয়ারাতে প্রশাসনের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। এ অবস্থায় নিশ্চুপ থাকার অবকাশ নেই। সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ প্রয়োজন।
এই আয়োজনে সাংগঠনিকভাবে অংশগ্রহণ করেন খবরের কাগজ বন্ধুজন সিলেট শাখা, উন্নয়ন সংগঠন একসেস বাংলাদেশ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার বিষয়ক সংগঠন ও প্রাধিকার।