ঢাকা, ২৩ মে (ঢাকা পোস্ট) : দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সংকট চলছে। ফলে টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে ডলার। দুর্বল হচ্ছে টাকার মান। এমন পরিস্থিতিতে চাহিদা বেশি থাকায় ঘন ঘন বাড়ছে ডলারের দাম। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম বেড়ে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সায় উঠেছে। দেশের ইতিহাসে ডলারের এই বিনিময় হার সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার (২৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিজেদের চাহিদা মেটাতে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক আবার কখনো অন্য ব্যাংক থেকে ডলার কিনে থাকে। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় আন্তঃব্যাংক ডলার লেনদেন। যখন চাহিদা বেশি থাকে তখন বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার দাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে ডলারের লেনদেন করেছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। এক বছর আগে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম ছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারে টাকার দাম কমেছে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ২১ টাকা ৫০ পয়সা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি মাসে প্রায় প্রতিটি কার্যদিবসেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। গত ১ মে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমার অন্যতম কারণ আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া। বিপরীতে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে তেমন গতি নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৫ হাজার ৩৯৩ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। এতে এক হাজার ৪৬১ কোটি ৩০ লাখ (১৪ দশমিক ৬১ বিলিয়ন) ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে ১৬৮ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা। কিন্তু এই অঙ্ক আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৬.২৭ শতাংশ কম। আবার এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ শতাংশ।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি মে মাসে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলারে পাচ্ছেন ১০৮ টাকা। সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসী আয়ে মিলবে ডলারপ্রতি ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবে ১০৬ টাকা। এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা আর রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ছিল ১০৫ টাকা।
নিজেদের চাহিদা মেটাতে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক আবার কখনো অন্য ব্যাংক থেকে ডলার কিনে থাকে। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় আন্তঃব্যাংক ডলার লেনদেন। যখন চাহিদা বেশি থাকে তখন বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার দাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে ডলারের লেনদেন করেছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। এক বছর আগে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম ছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারে টাকার দাম কমেছে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ২১ টাকা ৫০ পয়সা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি মাসে প্রায় প্রতিটি কার্যদিবসেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। গত ১ মে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০৬ টাকা ৮০ পয়সা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমার অন্যতম কারণ আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া। বিপরীতে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে তেমন গতি নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৫ হাজার ৩৯৩ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। এতে এক হাজার ৪৬১ কোটি ৩০ লাখ (১৪ দশমিক ৬১ বিলিয়ন) ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে ১৬৮ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা। কিন্তু এই অঙ্ক আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৬.২৭ শতাংশ কম। আবার এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ শতাংশ।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি মে মাসে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলারে পাচ্ছেন ১০৮ টাকা। সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসী আয়ে মিলবে ডলারপ্রতি ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবে ১০৬ টাকা। এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা আর রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ছিল ১০৫ টাকা।