
ডেট্টয়েট, ১৮ সেপ্টেম্বর : নামাজ ইসলামের শ্রেষ্ঠ ইবাদতগুলোর একটি। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি, শৃঙ্খলাবোধ এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাসের বিকাশ ঘটে। জীবন যতই ব্যস্ত হোক না কেন, একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিমের জন্য নামাজ তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রবাস জীবনে নানা রকম যান্ত্রিকতা, কর্মব্যস্ততা ও সময় সংকট সত্ত্বেও প্রবাসী মুসলিমরা ধর্মীয় রীতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মস্থল কিংবা যাত্রাপথ যেখানেই হোক, সুযোগ পেলেই তাঁরা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বহুধর্মীয় ও বহুসাংস্কৃতিক দেশে এ সুযোগ আরও সুদৃঢ়। এখানে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
ফ্ল্যাক্স এন গেইট ডেট্রয়েটের কারখানায় কর্মরত বহু প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকেই নামাজ আদায় করে থাকেন। বিশেষ করে সেকেন্ড শিফটে কর্মরত মুসলিম শ্রমিকরা লাঞ্চ রুমের এক কোণে আছর ও মাগরিবের নামাজ পড়েন। দীর্ঘদিন তাঁরা কার্ডবোর্ড বিছিয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। এ দৃশ্য একদিন শিফট সুপারভাইজার গেইশা চেস্টনাট এর নজরে আসে। তিনি কার্পেটের উপর নামাজ আদায়ের তাগিদ দেন। এরপর কার্পেটের ব্যবস্থা করা হয়। এখন সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারছেন। এই উদ্যোগ কর্মীদের হৃদয়ে কৃতজ্ঞতার সঞ্চার করেছে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি আমেরিকার আন্তরিকতারও প্রমাণ রেখেছে। একই সঙ্গে ভিন্নধর্মী সহকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় হয়েছে।
কর্মস্থলে ইসলাম ধর্মের একটি দৈনিক নিয়মিত ইবাদত নামাজ আদায় সত্যিই এক সুন্দর দৃশ্য এবং প্রশংসার দাবি রাখে। এটি শুধু ব্যক্তিগত ধর্মচর্চার প্রকাশ নয়, বরং কর্মজীবনের ব্যস্ততার মধ্যেও ঈমানের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
প্রবাসে ধর্মীয় অনুশীলনের এমন সুন্দর পরিবেশ কেবল আত্মার প্রশান্তিই দেয় না, বরং সামাজিক সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও স্থাপন করে। নামাজ তাই শুধু একটি ইবাদত নয়, এটি বিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার মহৎ প্রকাশ।
প্রবাস জীবনে নানা রকম যান্ত্রিকতা, কর্মব্যস্ততা ও সময় সংকট সত্ত্বেও প্রবাসী মুসলিমরা ধর্মীয় রীতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মস্থল কিংবা যাত্রাপথ যেখানেই হোক, সুযোগ পেলেই তাঁরা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বহুধর্মীয় ও বহুসাংস্কৃতিক দেশে এ সুযোগ আরও সুদৃঢ়। এখানে প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
ফ্ল্যাক্স এন গেইট ডেট্রয়েটের কারখানায় কর্মরত বহু প্রবাসী বাংলাদেশি প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকেই নামাজ আদায় করে থাকেন। বিশেষ করে সেকেন্ড শিফটে কর্মরত মুসলিম শ্রমিকরা লাঞ্চ রুমের এক কোণে আছর ও মাগরিবের নামাজ পড়েন। দীর্ঘদিন তাঁরা কার্ডবোর্ড বিছিয়ে নামাজ আদায় করছিলেন। এ দৃশ্য একদিন শিফট সুপারভাইজার গেইশা চেস্টনাট এর নজরে আসে। তিনি কার্পেটের উপর নামাজ আদায়ের তাগিদ দেন। এরপর কার্পেটের ব্যবস্থা করা হয়। এখন সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারছেন। এই উদ্যোগ কর্মীদের হৃদয়ে কৃতজ্ঞতার সঞ্চার করেছে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি আমেরিকার আন্তরিকতারও প্রমাণ রেখেছে। একই সঙ্গে ভিন্নধর্মী সহকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় হয়েছে।
কর্মস্থলে ইসলাম ধর্মের একটি দৈনিক নিয়মিত ইবাদত নামাজ আদায় সত্যিই এক সুন্দর দৃশ্য এবং প্রশংসার দাবি রাখে। এটি শুধু ব্যক্তিগত ধর্মচর্চার প্রকাশ নয়, বরং কর্মজীবনের ব্যস্ততার মধ্যেও ঈমানের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
প্রবাসে ধর্মীয় অনুশীলনের এমন সুন্দর পরিবেশ কেবল আত্মার প্রশান্তিই দেয় না, বরং সামাজিক সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও স্থাপন করে। নামাজ তাই শুধু একটি ইবাদত নয়, এটি বিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার মহৎ প্রকাশ।