পাঠকের হৃদয়ে প্রতিধ্বনি : স্বপ্না চক্রবর্তীর সংগ্রামের গল্পে অনুপ্রেরণা

আপলোড সময় : ২২-০৯-২০২৫ ০৯:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-০৯-২০২৫ ০৯:০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
ওয়ারেন, ২২ সেপ্টেম্বর : “অবিচল সাহসী যোদ্ধা : স্বপ্না চক্রবর্তীর সংগ্রামের গল্প” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্ট দ্রুত পাঠকমহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। পোস্টটি প্রকাশের পর থেকে পাঠকরা শেয়ার, লাইক ও মন্তব্যের মাধ্যমে তাদের অনুপ্রেরণা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
লেখাটিতে উঠে এসেছে স্বপ্না চক্রবর্তীর দীর্ঘ সংগ্রাম, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে অদম্য রুচি এবং জীবনের প্রতি তাঁর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। সাধারণ পাঠক, সাংবাদিক ও সাহিত্যপ্রেমীরা একে অনুপ্রেরণাদায়ক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। অনেকেই মন্তব্যে জানিয়েছেন যে স্বপ্নার গল্প তাদের নতুন করে সংগ্রাম করার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। প্রকাশের পর লেখাটি শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই আলোচনার জন্ম দেয়নি, প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার দৈনিক বাংলার গৌরব পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে লেখাটি প্রকাশিত হয়। 
যাকে ঘিরে পুরো লেখাটি রচিত, সেই স্বপ্না আবেগঘন মন্তব্যে লিখেছেন,
“চোখে জল এসে গেলো কাকু... আপনার সেই সময়ের সাপোর্ট ছাড়া আজকের আমি হতে পারতাম না কোনোভাবেই.. কম্পিউটারের কীবোর্ডের স্পিড দেখে মানুষ যখন প্রশংসা করে তখনই মনে মনে আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই... ভালোবাসা জানবেন কাকু..”

সাংবাদিক স্বপ্নার জীবনসংগ্রাম ও পেশাগত সাফল্য নিয়ে প্রকাশিত একটি লেখায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আসছে পাঠকদের আন্তরিক প্রতিক্রিয়া। শুভকামনা, গর্ব, আবেগ আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় ভরে উঠেছে মন্তব্যের দেয়াল।
তোফাজ্জল সোহেল লেখেন, চমৎকার একটি লেখা। স্বপ্নার জন্য শুভকামনা। 
প্রতিদিনের বাণী সম্পাদক লিখেছেন, স্বপ্নার জন্য শুভ কামনা রইল ।
সাংবাদিত জুয়েল সাদাত লিখেছেন, অসাধারণ। ভাল লাগল, করিম আহমদ এর নাম শুনে। রূপালিতে আমি ও আছি শুরু থেকে। আমেরিকার ব্যুরোতে আমিই। আলহামদুলিল্লাহ। এত ধৈর্য্য কজনার থাকে । শুভ কামনা।
অধ্যাপক হিরন্ময় আচার্য্য লেখেন, স্বপ্নাকে নিয়ে গর্বিত।
সমীরণ চক্রবর্তী লেখেন, যুদ্ধ এবং যোদ্ধার গল্প স্বভাবতই ভালো লাগে। এ বাস্তব গল্পটিও ভালো লেগেছে। ভোরের কাগজে কাজ করার সুবাদে স্বপ্না'কে চিনতাম (তিনি আমাকে চিনতেন না/চিনেন না)। তাঁর উন্নতি কামনা করি।লেখকের সহযোগিতা এবং অভিভাবকের ভূমিকার জন্য অসংখ্য- ধন্যবাদ।
জাতীয় প্ররষ্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী লিখেছেন, শুধু সাংবাদিকতা নয়। ঢাকার রাজপথে স্কুটি চালায় সেদিনের লিকলিকে কন্যা স্বপ্না।
মোতাব্বির হোসেন লিখেন, আপনি আমাকে ও লেখালেখিতে এনেছিলেন।
সৈয়দ কামরুল হাসান লিখেছেন, স্বপ্না সাহসী মেয়ে ঢাকার বুকে স্কুটি চালিয়ে দিব‍্যি সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে। স্বপ্নার জন‍্য শুভ কামনা রইল ।
টিপু চৌধুরী, লেখেন স্বপ্না সাহসী মেয়ে। হবিগঞ্জের মেয়ে হিসেবে তার জন্য ফাউড ফিল করি। তার জন্য শুভ কামনা রইল।
হামিদুর রহমান লিখেছেন, শুভকামনা রইল স্বপ্না দির জন্য। তাঁর সংগ্রাম আর ত্যাগের কারণে আজ তিনি দেশের সেরা সাংবাদিক।
মীর আফরোজ জামান লিখেছেন, হ্যাঁ সে এখনো অনেক সাহসী।
নাজনীন নাহার আবেগভরে লিখেছেন, তোর প্রতিটা ত্যাগ তোর প্রতিটা কষ্ট সামলে উঠতে পারার জন্য তোর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা । ভালোবাসা তো ছিলই। আরো বহুদুর এগিয়ে যা বন্ধু। উদাহরণ হয়ে থাক এমন হাজারো স্বপ্নার জন্য।
সাগর কিশোর দাশ মন্তব্য করেন, সহজ সরল ভাষায় বলি, এই মেয়েটির জীবন নিয়া একটা সিনেমা তৈরি করা যাবে।
নাজমুল হুদা গর্বভরে লিখেছেন, “আপনাকে নিয়ে গর্বিত আমরা দিদি।”
চৌধুরি ফারজানা ববি জানিয়েছেন, “আমি কোন সময় এতো বড় কোন লেখা সহজে পড়িনা। কিন্তু দিদির জীবনযুদ্ধ সম্পর্কে আরও জানার জন্য আজ সম্পূর্ণটা পড়লাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দিদি।”
হাসান শান্তনু বিশ্বাস করেন, একদিন দেশ-বিদেশে নন্দিত সাংবাদিক হবেন স্বপ্না।
কামরুল হুদা পথিক, স্বপ্নার জন্য আমার অশেষ দোয়া থাকবে। আমি স্বপ্নাকে চিনি, তবে আপনার লেখাটা পড়ে স্বপ্না সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হলো। আমিও দেখেছি স্বপ্নার কাজে নিষ্ঠা ও অদম্য সংগ্রামকে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার ব্রত। স্বপ্না, ভালো থেকো। আপনিও ভালো থাকবেন।
সিজুল ইসলাম লেখেন, হবিগঞ্জ আর সিলেটের ঢাকার গল্পটা আরো লম্বা। খানিকটা কাছাকাছি গিয়ে জেনেছি। অগাধ ভালবাসা আর শ্রদ্ধা দিদির জন্য।
আব্দুল মমিন লিখেছেন,  স্বপ্না দিদির প্রত্যেকটা লেখা রূপালী বাংলাদেশের পাঠক এর মন কেড়েছে। আমি মফস্বল শহর সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে রুপালী বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করি। সত্যি কথা বলতে সকালে পত্রিকাটি হাতে পেয়েই প্রেসক্লাবে চায়ের টেবিলে বসে স্বপ্না দিদির নিউজ টা আগে চোখ বুলাই। তারপর নিজের সহ অন্যান্য গুলা দেখি। রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে স্বপ্না দিদির সাথে পরিচয় করে দিয়েছিলেন প্রধান সম্পাদক শ্রদ্ধাভাজন করিম ভাই। তবে আপনার মাধ্যমে দিদির সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে জানার পরে দিদির প্রতি সম্মান ও ভালবাসা দ্বিগুণ বেড়ে গেল। শুভকামনা দিদি।
মৌ সাহা লিখেছেন, দিদি সম্পর্কে এতকিছু জানতাম না। কিন্তু প্রথম দেখাতেই দিদিকে ভালো লেগেছিল। খুব ভালো লাগে দিদি আপনাকে। ভালো থাকুন।
শম্পা চক্রবর্তী লেখেন, বাকরুদ্ধ --!! চোখে কেবল জল গড়িয়ে পড়ছে 
গৌতম চন্দ্র দেবনাথ মনে করেন, বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যে লক্ষ্য অবিচল থেকে সফল হওয়ার উৎকৃষ্ট উদাহরণ স্বপ্না। শুভ কামনা সবসময়।
চঞ্চল কুমার ভৌমিক আখ্যা দিয়েছেন ‘আয়রন লেডি’।
সাজ্জাদ চিহ্নো লিখেছেন, এক্সপ্রেসে তখন দিদি আমার কবিতা ছাপাতেন, কি যে ভালো লাগতো ওনাকে ভাষায় বুঝাতে পারবো না।
নীরব জাহাঙ্গীর আলম মন্তব্য করেছেন, আপনার লেখনিতে বিন্দুমাত্র ভুল নেই। এ যেন স্বপ্নার বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি চোখের সামনে ভাসতে। যতই পড়তেছি লেখাটা ততই মুগ্ধ হচ্ছি।
স্বপ্না তুই শুধু আমাদের বন্ধু না আমাদের পথ চলার অনুপ্রেরণা।
নুসরাত জাহান ফিরে গেছেন, ২০০৫-০৬ সালের স্মৃতিতে, যখন তিনি দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী দিদির প্রথম সাক্ষাৎ পান। অনেক অনেক ভালবাসা দিদি তোমার জন্য। 
মো: সামছুল আলম লিখেছেন, “মেয়েটা কি রকম পরিশ্রম করছে তা একমাত্র আল্লাহ জানে, তার এতদুর আসার পেছনে অনেক মানুষের দোয়া এবং তার নিজের পরিশ্রম। সবসময় ভাল থাকিস।”
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৌরভ দত্ত চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, “প্রকৃত যোদ্ধার গল্প। চালিয়ে যান।”
সবশেষে, পাঠকদের সমবেত প্রতিক্রিয়া এক সুরে উচ্চারণ করেছে— স্বপ্না কেবল একজন সাংবাদিক নন, বরং সংগ্রামী জীবন ও সাহসিকতার এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা। এই প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে—একজন মানুষের অবিচল সংগ্রাম অন্য অনেক মানুষের জীবনেও আলো ছড়িয়ে দিতে পারে। স্বপ্না চক্রবর্তীর গল্প পাঠকের হৃদয়ে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে এবং সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে সাহসিকতার এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com