
ওয়ারেন, ২৮ সেপ্টেম্বর : গতকাল শনিবার রাতে মহাষষ্ঠীর পূজার মধ্য দিয়ে মিশিগানে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। আজ রোববার মহাসপ্তমীর পূজা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। শাস্ত্রমতে, এবারের পূজায় দেবী দুর্গা স্বামীগৃহ থেকে পিতৃগৃহে আগমন করছেন ‘গজে’ এবং গমন করবেন ‘দোলায়’।
ষষ্ঠীর অকাল বোধনের মধ্য দিয়ে জাগ্রত হন দেবী দুর্গা। দুর্গোৎসবের প্রথম দিন পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে। শনিবার সন্ধ্যায় মিশিগানের শিব মন্দির টেম্পল অব জয়, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পল, রাধাকৃষ্ণ টেম্পলসহ বিভিন্ন মণ্ডপে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় মহাষষ্ঠীর পূজা। ভক্তদের উপস্থিতিতে মণ্ডপগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে বোধনের মন্ত্রোচ্চারণে।
বোধন উপলক্ষে শিব মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্ত-অনুরাগীদের ঢল নামে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল এদিনের বিশেষ আকর্ষণ। বোধনের আগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর মঞ্চস্থ হয় বিচিত্রা বহুরূপী গ্রুপ প্রেজেন্টস-এর কমেডি নাটক “মধুরেন সমাপয়েৎ”, যা উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হাসি ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজ রাত ৮টায় বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় গানে গানে দর্শকদের মাতাবেন ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মহুয়া ব্যানার্জী।

আজ রবিবার মহাসপ্তমীর দিন থাকবে নবপত্রিকা প্রবেশ ও বিহিতপূজাসহ নানা আচার। দেবীর ষোড়শোপচার পূজা এবং ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদানও আজকের দিনে সম্পন্ন হবে। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অর্পণ করবেন পুষ্পাঞ্জলি ও মাল্য।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে মিশিগানের মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল রূপে। শিব মন্দির, মিশিগান কালিবাড়ি ও ডেট্রয়েট দুর্গা মন্দিরের প্রবেশমুখে নির্মিত হয়েছে সুদৃশ্য তোরণ, ঝলমল করছে নানারঙের আলোকসজ্জা। এ বছর মিশিগানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ট্রয়, ক্যান্টন, পন্টিয়াকসহ বিভিন্ন সিটিতেও অবাঙ্গালি হিন্দুরা নবরাত্রির উৎসবে মেতে উঠেছেন।
শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, পূজাকে ঘিরে মিশিগানের বিভিন্ন মণ্ডপে চলছে নাচ, গান, নাটক ও নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ বছরের উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন খ্যাতনামা শিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহুয়া ব্যানার্জী, অভিক দেব, স্নেহা ভট্টাচার্য, আলবার্ট কাবো, রথিজিৎ ভট্টাচার্য, শ্রেয়া ভট্টাচার্য, জয় সরকার, লোপামুদ্রা, শাশ্বতী মল্লিকসহ অনেকে। স্থানীয় শিল্পীরাও অংশ নিচ্ছেন উৎসবের পরিবেশনায়।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে এ বছরের শারদীয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা ঘটে এ দিনে। শাস্ত্রমতে, মহালয়ার ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন সোমবার মহাঅষ্টমী, মঙ্গলবার মহানবমী এবং বুধবার মহাদশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। পুরাণ মতে, অসুর শক্তির বিনাশে দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন দেবী দুর্গা। তিনি অসুর নিধন করে রক্ষা করেন ত্রিভুবনকে। তাই তিনি কখনো দুর্গতিনাশিনী, কখনো সংকটনাশিনী। সেই দেবীর আরাধনায় আজ ভক্তিমুখর হয়ে উঠেছে মিশিগান প্রবাসী হিন্দুসমাজ।
ষষ্ঠীর অকাল বোধনের মধ্য দিয়ে জাগ্রত হন দেবী দুর্গা। দুর্গোৎসবের প্রথম দিন পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে। শনিবার সন্ধ্যায় মিশিগানের শিব মন্দির টেম্পল অব জয়, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পল, রাধাকৃষ্ণ টেম্পলসহ বিভিন্ন মণ্ডপে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় মহাষষ্ঠীর পূজা। ভক্তদের উপস্থিতিতে মণ্ডপগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে বোধনের মন্ত্রোচ্চারণে।
বোধন উপলক্ষে শিব মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্ত-অনুরাগীদের ঢল নামে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল এদিনের বিশেষ আকর্ষণ। বোধনের আগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর মঞ্চস্থ হয় বিচিত্রা বহুরূপী গ্রুপ প্রেজেন্টস-এর কমেডি নাটক “মধুরেন সমাপয়েৎ”, যা উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হাসি ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজ রাত ৮টায় বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় গানে গানে দর্শকদের মাতাবেন ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মহুয়া ব্যানার্জী।

আজ রবিবার মহাসপ্তমীর দিন থাকবে নবপত্রিকা প্রবেশ ও বিহিতপূজাসহ নানা আচার। দেবীর ষোড়শোপচার পূজা এবং ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদানও আজকের দিনে সম্পন্ন হবে। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অর্পণ করবেন পুষ্পাঞ্জলি ও মাল্য।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে মিশিগানের মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল রূপে। শিব মন্দির, মিশিগান কালিবাড়ি ও ডেট্রয়েট দুর্গা মন্দিরের প্রবেশমুখে নির্মিত হয়েছে সুদৃশ্য তোরণ, ঝলমল করছে নানারঙের আলোকসজ্জা। এ বছর মিশিগানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ট্রয়, ক্যান্টন, পন্টিয়াকসহ বিভিন্ন সিটিতেও অবাঙ্গালি হিন্দুরা নবরাত্রির উৎসবে মেতে উঠেছেন।
শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, পূজাকে ঘিরে মিশিগানের বিভিন্ন মণ্ডপে চলছে নাচ, গান, নাটক ও নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ বছরের উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন খ্যাতনামা শিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহুয়া ব্যানার্জী, অভিক দেব, স্নেহা ভট্টাচার্য, আলবার্ট কাবো, রথিজিৎ ভট্টাচার্য, শ্রেয়া ভট্টাচার্য, জয় সরকার, লোপামুদ্রা, শাশ্বতী মল্লিকসহ অনেকে। স্থানীয় শিল্পীরাও অংশ নিচ্ছেন উৎসবের পরিবেশনায়।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে এ বছরের শারদীয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা ঘটে এ দিনে। শাস্ত্রমতে, মহালয়ার ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন সোমবার মহাঅষ্টমী, মঙ্গলবার মহানবমী এবং বুধবার মহাদশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। পুরাণ মতে, অসুর শক্তির বিনাশে দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন দেবী দুর্গা। তিনি অসুর নিধন করে রক্ষা করেন ত্রিভুবনকে। তাই তিনি কখনো দুর্গতিনাশিনী, কখনো সংকটনাশিনী। সেই দেবীর আরাধনায় আজ ভক্তিমুখর হয়ে উঠেছে মিশিগান প্রবাসী হিন্দুসমাজ।