
ওয়ারেন, ২৯ সেপ্টেম্বর : ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি, কাঁসর ঘণ্টা আর মন্ত্রোচ্চারণে মুখরিত মিশিগানের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ। গতকাল সপ্তমীর সকাল থেকেই মন্দিরগুলোতে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নবপত্রিকা প্রবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সপ্তমী পূজা। দেবীর ডানদিকে, সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে অধিষ্ঠিত করা হয় নবপত্রিকাকে। আজ সোমবার মহাঅষ্টমী। আর এই অষ্টমীর রাতেই অনুষ্ঠিত হবে সন্ধি পূজা। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
‘নবপত্রিকা’র আক্ষরিক অর্থ নয়টি পাতা। রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান এই নয়টি উদ্ভিদ মিলে গঠিত হয় নবপত্রিকা, যা দেবী দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। নবপত্রিকার পূজা মূলত শস্যদেবীর পূজা। শস্যবধূ রূপে প্রতীকী দেবীকে প্রথমে পূজা করে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করা হয়।
পূজার শুরুতেই দেবীর প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর চক্ষুদান ও প্রাণপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জীবন্ত রূপ দেওয়া হয় দেবীর মৃন্ময় প্রতিমায়। ষোড়শ উপাচারে পূজা হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য ও চন্দন নিবেদনের মধ্য দিয়ে।
গতকাল দুপুরে শিব মন্দির, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পল ও রাধাকৃষ্ণ টেম্পলে অঞ্জলি প্রদান করেন ভক্তরা। মন্ত্রপাঠ, চণ্ডীপাঠ, ঢাকের তালে, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে প্রতিটি মন্দির। বর্ণিল সাজসজ্জা আর আলোকমালায় ঝলমল করে ওঠে পূজামণ্ডপগুলো।
ভক্তরা এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা দর্শন করেন। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ মিলেমিশে কাটিয়েছেন সপ্তমীর উৎসব। মন্দিরে মন্দিরে ছিল দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়।
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী বন্দনার পাঁচটি দিন হলেও সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ দিন হলো মহাঅষ্টমী। দিনের শুরুতে মহাষ্টমাদি বিহিত পূজা আর সন্ধ্যায় মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ সন্ধি পূজা।
অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিটএই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয় সন্ধি পূজা। এ সময় দেবী চামুণ্ডার আরাধনা করা হয়। পূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ১০৮টি পদ্মফুল ও ১০৮টি প্রদীপ নিবেদন।
পুরাণ মতে, রামচন্দ্র রাবণ বধের আগে দেবীর কাছে ১০৮ পদ্ম নিবেদন করেছিলেন। সেই থেকেই চলে আসছে এই সন্ধি পূজার প্রথা। এ সময় ১০৮ টি মাটির প্রদীপ দেবীর সামনে জ্বালানো হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আজকের অষ্টমীর সন্ধিপূজায় মিশিগানের বিভিন্ন মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে।
আজ মহাঅষ্টমী, দুর্গোৎসবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রবাসের মাটিতে হলেও ভক্তদের ভিড়, ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি ও চণ্ডীপাঠে মিশিগান জুড়ে বাঙালির হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সেই ঐতিহ্যের আবেশ, যা হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রবাসী বাঙালির হৃদয়কে জন্মভূমির সঙ্গে জুড়ে রাখে।
‘নবপত্রিকা’র আক্ষরিক অর্থ নয়টি পাতা। রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান এই নয়টি উদ্ভিদ মিলে গঠিত হয় নবপত্রিকা, যা দেবী দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। নবপত্রিকার পূজা মূলত শস্যদেবীর পূজা। শস্যবধূ রূপে প্রতীকী দেবীকে প্রথমে পূজা করে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করা হয়।
পূজার শুরুতেই দেবীর প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর চক্ষুদান ও প্রাণপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জীবন্ত রূপ দেওয়া হয় দেবীর মৃন্ময় প্রতিমায়। ষোড়শ উপাচারে পূজা হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য ও চন্দন নিবেদনের মধ্য দিয়ে।
গতকাল দুপুরে শিব মন্দির, মিশিগান কালিবাড়ি, ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পল ও রাধাকৃষ্ণ টেম্পলে অঞ্জলি প্রদান করেন ভক্তরা। মন্ত্রপাঠ, চণ্ডীপাঠ, ঢাকের তালে, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে প্রতিটি মন্দির। বর্ণিল সাজসজ্জা আর আলোকমালায় ঝলমল করে ওঠে পূজামণ্ডপগুলো।
ভক্তরা এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে গিয়ে প্রতিমা দর্শন করেন। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ মিলেমিশে কাটিয়েছেন সপ্তমীর উৎসব। মন্দিরে মন্দিরে ছিল দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়।
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী বন্দনার পাঁচটি দিন হলেও সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ দিন হলো মহাঅষ্টমী। দিনের শুরুতে মহাষ্টমাদি বিহিত পূজা আর সন্ধ্যায় মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ সন্ধি পূজা।
অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিটএই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয় সন্ধি পূজা। এ সময় দেবী চামুণ্ডার আরাধনা করা হয়। পূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ১০৮টি পদ্মফুল ও ১০৮টি প্রদীপ নিবেদন।
পুরাণ মতে, রামচন্দ্র রাবণ বধের আগে দেবীর কাছে ১০৮ পদ্ম নিবেদন করেছিলেন। সেই থেকেই চলে আসছে এই সন্ধি পূজার প্রথা। এ সময় ১০৮ টি মাটির প্রদীপ দেবীর সামনে জ্বালানো হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আজকের অষ্টমীর সন্ধিপূজায় মিশিগানের বিভিন্ন মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে।
আজ মহাঅষ্টমী, দুর্গোৎসবের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রবাসের মাটিতে হলেও ভক্তদের ভিড়, ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি ও চণ্ডীপাঠে মিশিগান জুড়ে বাঙালির হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সেই ঐতিহ্যের আবেশ, যা হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রবাসী বাঙালির হৃদয়কে জন্মভূমির সঙ্গে জুড়ে রাখে।