
বাম থেকে অ্যাটর্নি স্কট রুয়ার্ক তার মক্কেল মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে আলোচনা করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার, মিশিগানের হ্যামট্রামকের ৩১তম জেলা আদালতে হাসানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতির মামলার প্রাথমিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়/Robin Buckson, The Detroit News
হ্যামট্রাম্যাক, ১৭ অক্টোবর : হ্যামট্রামক সিটি কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ হাসান নির্বাচনী জালিয়াতির মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মতো প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আনুষ্ঠানিক বিচারের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত রায় দিয়েছেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনে অনুপস্থিত ব্যালটের আবেদন জাল করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে মামলাটি এখন আনুষ্ঠানিক বিচারের পর্যায়ে গড়াবে। রায়টি শহরের রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, হাসানের বিরুদ্ধে অনুপস্থিত ব্যালটে স্বাক্ষর জাল করা, নির্বাচন আইন লঙ্ঘন ও মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি গঠিত হয়েছে জেরিন সুলতানার নামে একটি অনুপস্থিত ব্যালটের আবেদনের ভিত্তিতে, যেখানে হাসান নিজেই স্বাক্ষর করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সুলতানা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি কোনো আবেদন করেননি, ভোটও দেননি এবং কাউন্সিলম্যান হাসান তাকে কখনো সহায়তা করেননি। মিশিগান রাজ্য পুলিশের হাতের লেখা বিশ্লেষণেও প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্যালটে যে স্বাক্ষর রয়েছে- তা সুলতানার নয়।
হ্যামট্রামকের ৩১তম জেলা আদালতের বিচারক অ্যালেক্সিস ক্রোট বলেন, “মিসেস সুলতানা বলেছেন যে তিনি আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেননি—অর্থাৎ অন্য কেউ তা করেছেন। মি. হাসান সেখানে স্বাক্ষর করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে তিনি সুলতানাকে সহায়তা করেছেন। কিন্তু সুলতানা বলেছেন এটি তার স্বাক্ষর নয়, এটাই মূল সমস্যা। তিনি যখন লিখে দিলেন যে তিনি ভোটার ব্যালটের আবেদনে সহায়তা করেছেন, যার অর্থ তিনি জানতেন যে সুলতানা নিজে সেখানে স্বাক্ষর করেননি।”
অভিযোগপক্ষের সহকারী প্রসিকিউটর লরেন বিউড্রি বলেন, হাসান হয় নিজেই নথিতে স্বাক্ষর করেছেন, না হয় অন্য কাউকে দিয়ে তা করিয়েছেন। যেহেতু তিনি জানতেন স্বাক্ষরটি জাল।
অভিযুক্ত হাসানের আইনজীবী স্কট রুয়ার্ক আদালতে বলেন, সুলতানা প্রথমে পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে তার মা হয়তো তার হয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে বিচারক ক্রোট সেই যুক্তি গুরুত্ব দেননি।
সুলতানা আরও জানান, তার মা একসময় তাকে হাসানের পক্ষে ভোট দিতে বলেছিলেন, যা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার, হ্যামট্রাম্যাকের ৩১তম জেলা আদালতে মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতির মামলার প্রাথমিক পরীক্ষার সময় মনরো কাউন্টির সহকারী প্রসিকিউটর লরেন বিউড্রি সাক্ষী জেরিন সুলতানার সাথে কথা বলছেন/Robin Buckson, The Detroit News
মোহাম্মদ হাসানের পাশাপাশি আরেক সিটি কাউন্সিল সদস্য মুহতাসিন সাদমানকেও অনুরূপ নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আগামী সোমবার প্রাথমিক শুনানির জন্য আদালতে হাজির হবেন। এই দুই মামলার তদন্ত করেছে মনরো কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস, যাদের নিয়োগ দেয় মিশিগান প্রসিকিউটিং অ্যাটর্নি অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে এপ্রিল মাসে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা নেসেল-এর অফিস থেকে বিশেষ প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা হয়, অভিযোগ ওঠার পর যে হাসান ও সাদমান সম্প্রতি নাগরিকত্ব পাওয়া কিছু বাসিন্দার স্বাক্ষরিত খালি অনুপস্থিত ব্যালট ব্যবহার করে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।
তদন্তের সূত্রপাত করেন হ্যামট্রাম্যাক সিটি ম্যানেজার ম্যাক্স গারবারিনো, যিনি পরে কাউন্সিলের ভোটে বরখাস্ত হন। গারবারিনো অভিযোগ করার পর, এফবিআইও তদন্তে যুক্ত হয়। এরপর মেয়র আমের গালিব-এর তত্ত্বাবধানে কাউন্সিল গারবারিনোকে অপসারণ করে। ঘটনাটিকে হ্যামট্রাম্যাকের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় নির্বাচনী অনিয়মের মামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Source & Photo: http://detroitnews.com
হ্যামট্রাম্যাক, ১৭ অক্টোবর : হ্যামট্রামক সিটি কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ হাসান নির্বাচনী জালিয়াতির মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মতো প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আনুষ্ঠানিক বিচারের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত রায় দিয়েছেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনে অনুপস্থিত ব্যালটের আবেদন জাল করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে মামলাটি এখন আনুষ্ঠানিক বিচারের পর্যায়ে গড়াবে। রায়টি শহরের রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, হাসানের বিরুদ্ধে অনুপস্থিত ব্যালটে স্বাক্ষর জাল করা, নির্বাচন আইন লঙ্ঘন ও মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি গঠিত হয়েছে জেরিন সুলতানার নামে একটি অনুপস্থিত ব্যালটের আবেদনের ভিত্তিতে, যেখানে হাসান নিজেই স্বাক্ষর করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সুলতানা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি কোনো আবেদন করেননি, ভোটও দেননি এবং কাউন্সিলম্যান হাসান তাকে কখনো সহায়তা করেননি। মিশিগান রাজ্য পুলিশের হাতের লেখা বিশ্লেষণেও প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্যালটে যে স্বাক্ষর রয়েছে- তা সুলতানার নয়।
হ্যামট্রামকের ৩১তম জেলা আদালতের বিচারক অ্যালেক্সিস ক্রোট বলেন, “মিসেস সুলতানা বলেছেন যে তিনি আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেননি—অর্থাৎ অন্য কেউ তা করেছেন। মি. হাসান সেখানে স্বাক্ষর করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে তিনি সুলতানাকে সহায়তা করেছেন। কিন্তু সুলতানা বলেছেন এটি তার স্বাক্ষর নয়, এটাই মূল সমস্যা। তিনি যখন লিখে দিলেন যে তিনি ভোটার ব্যালটের আবেদনে সহায়তা করেছেন, যার অর্থ তিনি জানতেন যে সুলতানা নিজে সেখানে স্বাক্ষর করেননি।”
অভিযোগপক্ষের সহকারী প্রসিকিউটর লরেন বিউড্রি বলেন, হাসান হয় নিজেই নথিতে স্বাক্ষর করেছেন, না হয় অন্য কাউকে দিয়ে তা করিয়েছেন। যেহেতু তিনি জানতেন স্বাক্ষরটি জাল।
অভিযুক্ত হাসানের আইনজীবী স্কট রুয়ার্ক আদালতে বলেন, সুলতানা প্রথমে পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে তার মা হয়তো তার হয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে বিচারক ক্রোট সেই যুক্তি গুরুত্ব দেননি।
সুলতানা আরও জানান, তার মা একসময় তাকে হাসানের পক্ষে ভোট দিতে বলেছিলেন, যা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার, হ্যামট্রাম্যাকের ৩১তম জেলা আদালতে মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতির মামলার প্রাথমিক পরীক্ষার সময় মনরো কাউন্টির সহকারী প্রসিকিউটর লরেন বিউড্রি সাক্ষী জেরিন সুলতানার সাথে কথা বলছেন/Robin Buckson, The Detroit News
মোহাম্মদ হাসানের পাশাপাশি আরেক সিটি কাউন্সিল সদস্য মুহতাসিন সাদমানকেও অনুরূপ নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আগামী সোমবার প্রাথমিক শুনানির জন্য আদালতে হাজির হবেন। এই দুই মামলার তদন্ত করেছে মনরো কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস, যাদের নিয়োগ দেয় মিশিগান প্রসিকিউটিং অ্যাটর্নি অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে এপ্রিল মাসে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা নেসেল-এর অফিস থেকে বিশেষ প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা হয়, অভিযোগ ওঠার পর যে হাসান ও সাদমান সম্প্রতি নাগরিকত্ব পাওয়া কিছু বাসিন্দার স্বাক্ষরিত খালি অনুপস্থিত ব্যালট ব্যবহার করে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।
তদন্তের সূত্রপাত করেন হ্যামট্রাম্যাক সিটি ম্যানেজার ম্যাক্স গারবারিনো, যিনি পরে কাউন্সিলের ভোটে বরখাস্ত হন। গারবারিনো অভিযোগ করার পর, এফবিআইও তদন্তে যুক্ত হয়। এরপর মেয়র আমের গালিব-এর তত্ত্বাবধানে কাউন্সিল গারবারিনোকে অপসারণ করে। ঘটনাটিকে হ্যামট্রাম্যাকের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় নির্বাচনী অনিয়মের মামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Source & Photo: http://detroitnews.com