হ্যামট্রাম্যাকের মেয়র নির্বাচন ঘিরে নতুন আইনি জটিলতা

আপলোড সময় : ১২-১১-২০২৫ ০১:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১২-১১-২০২৫ ০১:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন
হ্যামট্রাম্যাক, (মিশিগান) ১২ নভেম্বর : হ্যামট্রাম্যাকের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে মাত্র ১১ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে জয়ী হওয়া আসন্ন মেয়র অ্যাডাম আলহারবি তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুহিত মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন মাহমুদ। মামলায় আলহারবি অভিযোগ করেছেন, মাহমুদ হ্যামট্রাম্যাকের বাইরে বসবাস করেন এবং তাই মেয়র পদে প্রার্থী হওয়া বা দায়িত্ব গ্রহণের যোগ্যতা তার নেই।
হ্যামট্রাম্যাক সিটি চার্টার অনুযায়ী, মেয়র প্রার্থী ও পদাধিকারীদের আবেদন করার সময় থেকে অন্তত এক বছর শহরের বাসিন্দা থাকা বাধ্যতামূলক।  কিন্তু মাহমুদ এই আবাসন শর্ত পূরণ করেননি বলে দাবি করেছেন আলহারবি। সোমবার ডেট্রয়েট নিউজ-কে আলহারবি বলেন, “হ্যামট্রাম্যাক এখন ভোটার জালিয়াতির জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠছে। … আমাদের এখন থেকেই এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করতে হবে।” আলহারবি শুক্রবার ওয়েইন কাউন্টি সার্কিট কোর্টে মাহমুদ এবং সিটি ক্লার্ক রানা ফারাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আলহারবি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, মাহমুদ এই পদে থাকার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হোক এবং মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফারাজকে মাহমুদের শপথ গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তবে মামলার ফলাফল এখনো অনির্ধারিত রয়েছে।
আলহারবির আইনজীবী নাবিহ আয়াদ জানান, তারা অভিযোগপত্র সংশোধন করে সিটি কাউন্সিল ও ওয়েইন কাউন্টি বোর্ড অফ ক্যানভাসারদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছেন—যেসব প্রতিষ্ঠান মাহমুদকে পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেয়নি।
আলহারবির আইনজীবী নাবিহ আয়াদ জানিয়েছেন, তারা মাহমুদের আবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে ফেডারেল তদন্তেরও পরিকল্পনা করছেন। তাঁর দাবি, মিশিগান স্টেট পুলিশের বর্তমান তদন্ত যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি। রাজ্য পুলিশ বর্তমানে মাহমুদের আবাসন প্রশ্নটি তদন্ত করছে।
আয়াদ আরও বলেন, এই বছরের শুরুতে হ্যামট্রাম্যাক সিটি কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে আনা ভোটার জালিয়াতির অভিযোগও এই প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ হাসানকে ২০২৩ সালে অনুপস্থিত ব্যালটের আবেদন জাল করার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যদিও কাউন্সিলম্যান মুহতাসিন সাদমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়। “হ্যামট্রাম্যাকের জনগণ জানে কী ঘটছে,” বলেন আয়াদ। “আমরা মনে করি, অনেক ভোটার জালিয়াতি ঘটছে। একটি বিস্তৃত ও নিরপেক্ষ তদন্ত অপরিহার্য, এবং এই প্রক্রিয়ায় ফেডারেল সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপ করা উচিত।”
এই মামলাটি হ্যামট্রাম্যাক শহরের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। প্রায় ২৮,০০০ জনসংখ্যার এই শহরটি ডেট্রয়েটের অভ্যন্তরে অবস্থিত। বর্তমান মেয়র আমের গালিব সম্প্রতি কুয়েতে রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
৬ নভেম্বরের নির্বাচনে আলহারবি ৪৪.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে (২,০০৯ ভোট) জয়ী হন, আর মাহমুদ পান ৪৪.৩ শতাংশ (১,৯৯৮ ভোট), ওয়েইন কাউন্টি নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী। ফলাফল ঘোষণার পর মাহমুদ পুনর্গণনার দাবি জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। “আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী,” মাহমুদ পূর্বে দ্য নিউজ-কে বলেন। “আমরা প্রতিটি বিষয়ে নিবিড়ভাবে নজর রাখছি।” তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত মন্তব্যের অনুরোধে মাহমুদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
Source & Photo: http://detroitnews.com
 

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com