বার্মিংহাম, ১২ নভেম্বর : বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার ও ক্যাম্পেইন চালিয়ে আসা সংগঠন রিকগনেশন অফ বাংলা এজ এন অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ইউনাইটেড নেশনসের উদ্যোগে বার্মিংহামে এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আসা সংগঠনের বিভিন্ন রিজিওনের নেতৃবৃন্দ এবং কমিউনিটির শীর্ষজনরা বার্মিংহামের মাল্টিপারপাস সেন্টার-এ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, পৃথিবীতে চার সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার (ইংরেজি, ফরাসি, আরবি, চীনা, রাশিয়ান ও স্প্যানিশ) সঙ্গে সমান মর্যাদা প্রদান করা।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্টানে সংগঠনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত নানা কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত দ্বিতীয় বই জাতিসংঘে বাংলা নামক স্মারক গ্রন্থের আনুষ্টানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি তফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফয়জুর রহমান চৌধুরী এমবিই’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ এমপি ব্যারিষ্টার আইয়ুব খান।
তিনি তাঁর ভাষণে প্রকাশ করেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি তাঁর সামর্থ্যের মধ্যে প্রচারণা চালাবেন। এছাড়া তিনি সংগঠনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সমাজে ‘ডাইভারসিটি’-এর উন্নয়ন ও চর্চায় এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আইয়ুব খান বলেন, “বাংলা একটি সমৃদ্ধ ভাষা। বিশ্বের ৩৩ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তাই বাংলা যাতে জাতিসংঘের পূর্ণ দাপ্তরিক ভাষা হয়, সে জন্য সমর্থন প্রদান করে যাব।”
বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘে দাপ্তরিক ভাষায় অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যে অব্যাহত প্রচারণার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কে কে এম আবু তাহের চৌধুরী, সুইনডন কমিটির সভাপতি আরজু মিয়া এমবিই, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আব্দুল লতিফ জেপি, সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মফিজুর রহমান, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের এমবিই, বার্মিংহাম বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী যুবরাজ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুল হাছান চুনু, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল কাদির আবুল, কেন্দ্রীয় সদস্য ফিরোজ খান, পোর্টসমাউথ-এর সভাপতি মাসুদ আহমদ, সাবেক কাউন্সিলার শাহীদ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক ফারুক যোশী, লন্ডন মহানগরের সভাপতি নাজমুল হোসেন চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা ডাক্তার আব্দুল খালিক, সংগঠনের ম্যানচাষ্টার কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর গোলাম মোস্তফা, পোর্টস মাউথ-এর সাধারণ সম্পাদক আবু সোয়েব তানজাম, বাংলা কাগজের চেয়ারম্যান আজাদ আবুল কালাম,প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলম, কলামিস্ট শেবুল চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা মাফিজ খান, লেখক নাসির উদ্দীন হেলাল, কমিউনিটি নেতা আঙ্গুর মিয়া, কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট রাসিয়া খাতুন, ও মিসেস রশিদ প্রমুখ। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া করেন মাওলানা ওলিউর রহমান চৌধুরী দুবাগী ।
সংগঠনের সভাপতি তফাজ্জল হোসেন চৌধুরী তাঁর স্বাগত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মরহুম তজাম্মেল টনি হক এমবিই সহ সকল প্রয়াত নেতাকে একবিংশ শতাব্দীর ভাষা সৈনিক হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, কমিউনিটি তাদের অবদানকে কখনো ভুলবে না। সংগঠনটির তৎপরতায় ২০২২ সালের ৬ জুন বাংলা ভাষা জাতিসংঘে আংশিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত রয়েছে। সভায় উপস্থিত সকলে এই প্রচেষ্টার প্রশংসা জানান এবং মায়ের ভাষা বাংলা সমুন্নত রাখার জন্য সংগঠনের অবদানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রবাসে বাংলা চর্চায় নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের ও শহরের বাংলা স্কুল চালু করার এবং অন্য স্কুলগুলিতে বাংলা পাঠ্যবই হিসেবে গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে সক্রিয়ভাবে কাজ করার তাগিদও দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবাদিক জেসমিন মনসুর।
ভায় জাতিসংঘে বাংলা ভাষা পূর্ণ দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। সভায় ২০২২ সালে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অদাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ও চালু করার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
সভায় ব্রিটেনের বাংলাদেশ হাই কমিশনের হাই কমিশনার, সহকারী হাই কমিশনার বা অন্য কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে সংগঠনটি দেশ ও প্রবাসে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শীঘ্রই তারা এই লক্ষ্যে সফল হবেন। সভা মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
সংগঠনের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, পৃথিবীতে চার সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষার (ইংরেজি, ফরাসি, আরবি, চীনা, রাশিয়ান ও স্প্যানিশ) সঙ্গে সমান মর্যাদা প্রদান করা।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্টানে সংগঠনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত নানা কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত দ্বিতীয় বই জাতিসংঘে বাংলা নামক স্মারক গ্রন্থের আনুষ্টানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি তফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফয়জুর রহমান চৌধুরী এমবিই’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ এমপি ব্যারিষ্টার আইয়ুব খান।
তিনি তাঁর ভাষণে প্রকাশ করেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি তাঁর সামর্থ্যের মধ্যে প্রচারণা চালাবেন। এছাড়া তিনি সংগঠনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সমাজে ‘ডাইভারসিটি’-এর উন্নয়ন ও চর্চায় এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আইয়ুব খান বলেন, “বাংলা একটি সমৃদ্ধ ভাষা। বিশ্বের ৩৩ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তাই বাংলা যাতে জাতিসংঘের পূর্ণ দাপ্তরিক ভাষা হয়, সে জন্য সমর্থন প্রদান করে যাব।”
বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘে দাপ্তরিক ভাষায় অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যে অব্যাহত প্রচারণার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কে কে এম আবু তাহের চৌধুরী, সুইনডন কমিটির সভাপতি আরজু মিয়া এমবিই, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আব্দুল লতিফ জেপি, সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মফিজুর রহমান, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের এমবিই, বার্মিংহাম বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী যুবরাজ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুল হাছান চুনু, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল কাদির আবুল, কেন্দ্রীয় সদস্য ফিরোজ খান, পোর্টসমাউথ-এর সভাপতি মাসুদ আহমদ, সাবেক কাউন্সিলার শাহীদ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক ফারুক যোশী, লন্ডন মহানগরের সভাপতি নাজমুল হোসেন চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা ডাক্তার আব্দুল খালিক, সংগঠনের ম্যানচাষ্টার কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর গোলাম মোস্তফা, পোর্টস মাউথ-এর সাধারণ সম্পাদক আবু সোয়েব তানজাম, বাংলা কাগজের চেয়ারম্যান আজাদ আবুল কালাম,প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলম, কলামিস্ট শেবুল চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা মাফিজ খান, লেখক নাসির উদ্দীন হেলাল, কমিউনিটি নেতা আঙ্গুর মিয়া, কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট রাসিয়া খাতুন, ও মিসেস রশিদ প্রমুখ। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া করেন মাওলানা ওলিউর রহমান চৌধুরী দুবাগী ।
সংগঠনের সভাপতি তফাজ্জল হোসেন চৌধুরী তাঁর স্বাগত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মরহুম তজাম্মেল টনি হক এমবিই সহ সকল প্রয়াত নেতাকে একবিংশ শতাব্দীর ভাষা সৈনিক হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, কমিউনিটি তাদের অবদানকে কখনো ভুলবে না। সংগঠনটির তৎপরতায় ২০২২ সালের ৬ জুন বাংলা ভাষা জাতিসংঘে আংশিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত রয়েছে। সভায় উপস্থিত সকলে এই প্রচেষ্টার প্রশংসা জানান এবং মায়ের ভাষা বাংলা সমুন্নত রাখার জন্য সংগঠনের অবদানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রবাসে বাংলা চর্চায় নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের ও শহরের বাংলা স্কুল চালু করার এবং অন্য স্কুলগুলিতে বাংলা পাঠ্যবই হিসেবে গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে সক্রিয়ভাবে কাজ করার তাগিদও দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবাদিক জেসমিন মনসুর।
ভায় জাতিসংঘে বাংলা ভাষা পূর্ণ দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। সভায় ২০২২ সালে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অদাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ও চালু করার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
সভায় ব্রিটেনের বাংলাদেশ হাই কমিশনের হাই কমিশনার, সহকারী হাই কমিশনার বা অন্য কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে সংগঠনটি দেশ ও প্রবাসে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শীঘ্রই তারা এই লক্ষ্যে সফল হবেন। সভা মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে সফলভাবে সমাপ্ত হয়।