বাম থেকে অ্যাডাম আলহারবি এবং মুহিত মাহমুদ
হ্যামট্রাম্যাক, ২১ নভেম্বর : হ্যামট্রাম্যাক সিটি কাউন্সিলম্যান মুহিত মাহমুদ শহরের সাম্প্রতিক মেয়র নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। সপ্তাহের শুরুতে ওয়েইন কাউন্টি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে মাহমুদ মাত্র ছয় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডাম আলহারবির কাছে পরাজিত হয়েছেন।
মাহমুদের আইনজীবী মার্ক ব্রুয়ার জানান, ওয়েইন কাউন্টি বোর্ড অব ক্যানভাসার্স এখনও ফলাফলের প্রত্যয়ন না দেওয়ায় কাউন্টি ক্লার্কের অফিসের কর্মীরা নির্বাচনের প্রতিটি ভোট হাতে গণনা করে পুনঃপরীক্ষা করবেন।
মঙ্গলবার প্রত্যয়িত ফলাফলে দেখা যায়— অ্যাডাম আলহারবি: ২,০৬৬ ভোট (৪৪.৬%) মুহিত মাহমুদ: ২,০৬০ ভোট (৪৪.৪%) াবেং রাইট-ইন প্রার্থী লিন ব্লেসি: ৫০৪ ভোট (১০.৮%) পেয়েছেন।
মার্ক ব্রুয়ার বলেন, “প্রতিযোগিতা এতটাই কাছাকাছি যে পুনঃগণনায় ব্যবধান বদলে যেতে পারে। ভোটিং মেশিন সাধারণত নির্ভুল হলেও মাঝেমধ্যে ভুল হয়।”
রাজ্য আইন অনুযায়ী পুনর্গণনার খরচ প্রার্থী মাহমুদকে বহন করতে হবে; তবে ফল তার পক্ষে গেলে তাকে সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
আলহারবি এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেননি।
নির্বাচনের রাতে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে আলহারবির এগিয়ে থাকার ব্যবধান ছিল ১১ ভোট। পরবর্তীতে শহরের কেরানি অফিসে প্রাপ্ত ৩৭টি অনুপস্থিত ব্যালট আর চূড়ান্তগণনায় তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রচারণা বোর্ডে তীব্র বিতর্ক হয়। চার সদস্যের বোর্ড—দুই ডেমোক্র্যাট ও দুই রিপাবলিকান—দলীয় লাইনে ২-২ ভোটে বিভক্ত থাকায় ওই ব্যালট অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলস্বরূপ ব্যবধান শুধুমাত্র ছয় ভোটেই নেমে আসে।
আলহারবি যুক্তি দেন, খোলা খামে পাওয়া ব্যালটগুলো অযোগ্য। মাহমুদ বিপরীত অবস্থান নিয়ে বলেন যে ব্যালটগুলো গণনায় রাখা উচিত, বিশেষ করে যেহেতু এগুলো এসেছে শহরের দ্বিতীয় প্রিসিঙ্কটের ভোটারদের কাছ থেকে—যেখানে বাংলাদেশি অভিবাসীদের আধিক্য রয়েছে।
মাহমুদ নিজেও বাংলাদেশের অভিবাসী; অপরদিকে আলহারবি ইয়েমেন থেকে অভিবাসী হয়ে এসেছেন। এই বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে বলেই পর্যবেক্ষণ।
ফল চ্যালেঞ্জে সফল হলেও মাহমুদকে আরেক দফা আইনি লড়াইয়ে পড়তে হতে পারে। আলহারবি দাবী করেছেন যে মাহমুদ সত্যিকারের বাসিন্দা নন এবং হ্যামট্রাম্যাকের বাইরে, ট্রয় শহরে থাকেন যার ভিত্তিতে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নন।
শহর কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়োগ করা একটি বেসরকারি তদন্ত সংস্থা এ বছর শুরুর দিকে একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশও তদন্ত চালাচ্ছে। বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন অনুপস্থিত ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগে দুই সিটি কাউন্সিল সদস্যের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রসিকিউটর মামলা দায়ের করেন। তাদের একজন বর্তমানে বিচারিক হেফাজতে আছেন।
Source & Photo: http://detroitnews.com
হ্যামট্রাম্যাক, ২১ নভেম্বর : হ্যামট্রাম্যাক সিটি কাউন্সিলম্যান মুহিত মাহমুদ শহরের সাম্প্রতিক মেয়র নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। সপ্তাহের শুরুতে ওয়েইন কাউন্টি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে মাহমুদ মাত্র ছয় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডাম আলহারবির কাছে পরাজিত হয়েছেন।
মাহমুদের আইনজীবী মার্ক ব্রুয়ার জানান, ওয়েইন কাউন্টি বোর্ড অব ক্যানভাসার্স এখনও ফলাফলের প্রত্যয়ন না দেওয়ায় কাউন্টি ক্লার্কের অফিসের কর্মীরা নির্বাচনের প্রতিটি ভোট হাতে গণনা করে পুনঃপরীক্ষা করবেন।
মঙ্গলবার প্রত্যয়িত ফলাফলে দেখা যায়— অ্যাডাম আলহারবি: ২,০৬৬ ভোট (৪৪.৬%) মুহিত মাহমুদ: ২,০৬০ ভোট (৪৪.৪%) াবেং রাইট-ইন প্রার্থী লিন ব্লেসি: ৫০৪ ভোট (১০.৮%) পেয়েছেন।
মার্ক ব্রুয়ার বলেন, “প্রতিযোগিতা এতটাই কাছাকাছি যে পুনঃগণনায় ব্যবধান বদলে যেতে পারে। ভোটিং মেশিন সাধারণত নির্ভুল হলেও মাঝেমধ্যে ভুল হয়।”
রাজ্য আইন অনুযায়ী পুনর্গণনার খরচ প্রার্থী মাহমুদকে বহন করতে হবে; তবে ফল তার পক্ষে গেলে তাকে সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
আলহারবি এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেননি।
নির্বাচনের রাতে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে আলহারবির এগিয়ে থাকার ব্যবধান ছিল ১১ ভোট। পরবর্তীতে শহরের কেরানি অফিসে প্রাপ্ত ৩৭টি অনুপস্থিত ব্যালট আর চূড়ান্তগণনায় তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রচারণা বোর্ডে তীব্র বিতর্ক হয়। চার সদস্যের বোর্ড—দুই ডেমোক্র্যাট ও দুই রিপাবলিকান—দলীয় লাইনে ২-২ ভোটে বিভক্ত থাকায় ওই ব্যালট অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলস্বরূপ ব্যবধান শুধুমাত্র ছয় ভোটেই নেমে আসে।
আলহারবি যুক্তি দেন, খোলা খামে পাওয়া ব্যালটগুলো অযোগ্য। মাহমুদ বিপরীত অবস্থান নিয়ে বলেন যে ব্যালটগুলো গণনায় রাখা উচিত, বিশেষ করে যেহেতু এগুলো এসেছে শহরের দ্বিতীয় প্রিসিঙ্কটের ভোটারদের কাছ থেকে—যেখানে বাংলাদেশি অভিবাসীদের আধিক্য রয়েছে।
মাহমুদ নিজেও বাংলাদেশের অভিবাসী; অপরদিকে আলহারবি ইয়েমেন থেকে অভিবাসী হয়ে এসেছেন। এই বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে বলেই পর্যবেক্ষণ।
ফল চ্যালেঞ্জে সফল হলেও মাহমুদকে আরেক দফা আইনি লড়াইয়ে পড়তে হতে পারে। আলহারবি দাবী করেছেন যে মাহমুদ সত্যিকারের বাসিন্দা নন এবং হ্যামট্রাম্যাকের বাইরে, ট্রয় শহরে থাকেন যার ভিত্তিতে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নন।
শহর কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়োগ করা একটি বেসরকারি তদন্ত সংস্থা এ বছর শুরুর দিকে একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশও তদন্ত চালাচ্ছে। বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন অনুপস্থিত ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগে দুই সিটি কাউন্সিল সদস্যের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রসিকিউটর মামলা দায়ের করেন। তাদের একজন বর্তমানে বিচারিক হেফাজতে আছেন।
Source & Photo: http://detroitnews.com