২১ নভেম্বর শুক্রবার ডেট্রয়েটের বার্ষিক ট্রি লাইটিং অনুষ্ঠানে সজ্জিত স্প্রুস গাছের পাশে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছেন সান্তা ক্লজ/Photo : Katy Kildee, Special To The Detroit News
ডেট্রয়েট, ২২ নভেম্বর : শহরের কেন্দ্রস্থলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ঠিক ৭টা ১৮ মিনিটে যেন জ্বলে উঠল এক নতুন ঋতুর জাদু। ক্যাম্পাস মার্টিয়াসের বিশাল ৬২ ফুট উঁচু নরওয়ে স্প্রুস গাছটি যখন হাজারো ঝলমলে LED আলোর পোশাকে আলোকিত হলো, তখন ডেট্রয়েটবাসী বুঝল ছুটির দিনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল।
এবার কাউন্টডাউন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং সান্তা ক্লজ। হালকা শীতের রাত, আর চারপাশজুড়ে ১ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পরিবারের সবাইকে নিয়ে, বন্ধুদের হাত ধরে, কিংবা শুধু আনন্দ দেখতে জমায়েত হয়েছিলেন ডাউনটাউন ডেট্রয়েট পার্টনারশিপের ২২তম বার্ষিক উৎসবে। খাবার, সঙ্গীত, আলো, কেনাকাটা পুরোটা যেন ছিল রূপকথার শহর।
৬০ বছর বয়সী ডেট্রয়েটের বাসিন্দা ট্রেসি বুসি তার ৪ বছরের নাতনি সামেরা জা’নিয়া জনসন ও মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন। চোখে ছিল উচ্ছ্বাসের ঝিলিক। “এখানকার পরিবেশটাই আলাদা,” বুসি বললেন। “মানুষ একে অপরের সঙ্গে মিশছে। সবাই আনন্দে এমন দৃশ্য মন ভালো করে দেয়।” সামেরা জা’নিয়া জনসনের জন্য এটি প্রথম গাছ আলোকসজ্জা অনুষ্ঠান। আর প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে প্রথমবার এমন উৎসবে আসা তার মা শারমাইন ইনগ্রাম ঠিক করে ফেলেছেন এটা হবে তাদের পরিবারের নতুন বার্ষিক ঐতিহ্য। “আমার ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে আসতে পারাটাই সবচেয়ে উত্তেজনাকর,” ইনগ্রাম বললেন। “সে আলো দেখবে, মানুষের হাসি দেখবে… এই সবই তার মধ্যে স্মৃতি হয়ে থাকবে।”
ডাউনটাউন ডেট্রয়েট পার্টনারশিপের পার্ক ও পাবলিক স্পেসের পরিচালক লরা ডিন জানালেন, থ্যাঙ্কসগিভিং প্যারেড ও লায়ন্স গেমের পর এই গাছের আলো ডেট্রয়েটের ছুটির মরসুমের প্রতীক হয়ে উঠেছে। “গাছটা আলো হয়ে গেলে উৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হয়,” তিনি বললেন। এবারের গাছটি এসেছে মিশিগানের মেসিক শহর থেকে, যা ডেট্রয়েট থেকে প্রায় ২২৬ মাইল দূরে। আর সরবরাহ করেছে অ্যামাজন।
শহর কর্তৃপক্ষ এবার নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ডেট্রয়েট পুলিশ বিভাগকে সহযোগিতা করেছে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা দল। পুলিশ প্রধান টড বেটিসন জানান, উৎসব উপলক্ষে পুলিশের উপস্থিতি “দ্বিগুণ” করা হয়েছে। অন্যদিকে জুন মাসের আতশবাজির অঘটনের পরও মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পেলেও বাস্তবে উপস্থিত দর্শনার্থীরা জানালেন, তারা আত্মবিশ্বাসী।
“আমি ৩০ বছর শহরের কেন্দ্রস্থলে কাজ করেছি কোনোদিন ভয় পাইনি,” বললেন বুসি। “ডাউনটাউনে আসতে আমি কখনো দ্বিধা করব না।”
মঞ্চে ছিলেন WDIV-TV এর সেলিব্রিটি হোস্টরা, মেয়র মাইক ডুগান, এবং নবনির্বাচিত মেয়র মেরি শেফিল্ড। ডুগান তার “চমৎকার ১২ বছর” মেয়াদকে স্মরণ করে শহরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আর শেফিল্ড বলেন, “ডেট্রয়েটের সত্যিকারের চেতনা হলো একসাথে থাকা। কঠিন সময়েও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। ছুটির মৌসুম আমাদের মনে করিয়ে দেয় একসঙ্গে আমরা শক্তিশালী।”
উৎসবের সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক-গীতিকার ব্রেল্যান্ড, যার “My Truck” এবং “Beers On Me” গানগুলো বিশ্বজোড়া পরিচিত। সঙ্গে ছিলেন পপ শিল্পী নাটালি জেন, আর ডেট্রয়েটের নিজের আরবান আর্টস অর্কেস্ট্রা।
রিঙ্কে বরফের ওপর নৃত্য উপহার দেন মার্কিন অলিম্পিয়ান পলিনা এডমন্ডস, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত ইমানুয়েল সাভারি, এবং মিশিগানের খলো ফেলটন। এছাড়া মেট্রো ডেট্রয়েটের বিভিন্ন স্কেটিং ক্লাবের তরুণ-তরুণীরাও তাদের নৈপুণ্য দেখিয়েছেন।
আজ শনিবার থেকে রিঙ্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত এবং ক্যাম্পাস মার্টিয়াস এখন পুরোপুরিই ছুটির শহর।
Source & Photo: http://detroitnews.com
ডেট্রয়েট, ২২ নভেম্বর : শহরের কেন্দ্রস্থলে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ঠিক ৭টা ১৮ মিনিটে যেন জ্বলে উঠল এক নতুন ঋতুর জাদু। ক্যাম্পাস মার্টিয়াসের বিশাল ৬২ ফুট উঁচু নরওয়ে স্প্রুস গাছটি যখন হাজারো ঝলমলে LED আলোর পোশাকে আলোকিত হলো, তখন ডেট্রয়েটবাসী বুঝল ছুটির দিনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল।
এবার কাউন্টডাউন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং সান্তা ক্লজ। হালকা শীতের রাত, আর চারপাশজুড়ে ১ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পরিবারের সবাইকে নিয়ে, বন্ধুদের হাত ধরে, কিংবা শুধু আনন্দ দেখতে জমায়েত হয়েছিলেন ডাউনটাউন ডেট্রয়েট পার্টনারশিপের ২২তম বার্ষিক উৎসবে। খাবার, সঙ্গীত, আলো, কেনাকাটা পুরোটা যেন ছিল রূপকথার শহর।
৬০ বছর বয়সী ডেট্রয়েটের বাসিন্দা ট্রেসি বুসি তার ৪ বছরের নাতনি সামেরা জা’নিয়া জনসন ও মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন। চোখে ছিল উচ্ছ্বাসের ঝিলিক। “এখানকার পরিবেশটাই আলাদা,” বুসি বললেন। “মানুষ একে অপরের সঙ্গে মিশছে। সবাই আনন্দে এমন দৃশ্য মন ভালো করে দেয়।” সামেরা জা’নিয়া জনসনের জন্য এটি প্রথম গাছ আলোকসজ্জা অনুষ্ঠান। আর প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে প্রথমবার এমন উৎসবে আসা তার মা শারমাইন ইনগ্রাম ঠিক করে ফেলেছেন এটা হবে তাদের পরিবারের নতুন বার্ষিক ঐতিহ্য। “আমার ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে আসতে পারাটাই সবচেয়ে উত্তেজনাকর,” ইনগ্রাম বললেন। “সে আলো দেখবে, মানুষের হাসি দেখবে… এই সবই তার মধ্যে স্মৃতি হয়ে থাকবে।”
ডাউনটাউন ডেট্রয়েট পার্টনারশিপের পার্ক ও পাবলিক স্পেসের পরিচালক লরা ডিন জানালেন, থ্যাঙ্কসগিভিং প্যারেড ও লায়ন্স গেমের পর এই গাছের আলো ডেট্রয়েটের ছুটির মরসুমের প্রতীক হয়ে উঠেছে। “গাছটা আলো হয়ে গেলে উৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হয়,” তিনি বললেন। এবারের গাছটি এসেছে মিশিগানের মেসিক শহর থেকে, যা ডেট্রয়েট থেকে প্রায় ২২৬ মাইল দূরে। আর সরবরাহ করেছে অ্যামাজন।
শহর কর্তৃপক্ষ এবার নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ডেট্রয়েট পুলিশ বিভাগকে সহযোগিতা করেছে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা দল। পুলিশ প্রধান টড বেটিসন জানান, উৎসব উপলক্ষে পুলিশের উপস্থিতি “দ্বিগুণ” করা হয়েছে। অন্যদিকে জুন মাসের আতশবাজির অঘটনের পরও মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পেলেও বাস্তবে উপস্থিত দর্শনার্থীরা জানালেন, তারা আত্মবিশ্বাসী।
“আমি ৩০ বছর শহরের কেন্দ্রস্থলে কাজ করেছি কোনোদিন ভয় পাইনি,” বললেন বুসি। “ডাউনটাউনে আসতে আমি কখনো দ্বিধা করব না।”
মঞ্চে ছিলেন WDIV-TV এর সেলিব্রিটি হোস্টরা, মেয়র মাইক ডুগান, এবং নবনির্বাচিত মেয়র মেরি শেফিল্ড। ডুগান তার “চমৎকার ১২ বছর” মেয়াদকে স্মরণ করে শহরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আর শেফিল্ড বলেন, “ডেট্রয়েটের সত্যিকারের চেতনা হলো একসাথে থাকা। কঠিন সময়েও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। ছুটির মৌসুম আমাদের মনে করিয়ে দেয় একসঙ্গে আমরা শক্তিশালী।”
উৎসবের সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক-গীতিকার ব্রেল্যান্ড, যার “My Truck” এবং “Beers On Me” গানগুলো বিশ্বজোড়া পরিচিত। সঙ্গে ছিলেন পপ শিল্পী নাটালি জেন, আর ডেট্রয়েটের নিজের আরবান আর্টস অর্কেস্ট্রা।
রিঙ্কে বরফের ওপর নৃত্য উপহার দেন মার্কিন অলিম্পিয়ান পলিনা এডমন্ডস, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত ইমানুয়েল সাভারি, এবং মিশিগানের খলো ফেলটন। এছাড়া মেট্রো ডেট্রয়েটের বিভিন্ন স্কেটিং ক্লাবের তরুণ-তরুণীরাও তাদের নৈপুণ্য দেখিয়েছেন।
আজ শনিবার থেকে রিঙ্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত এবং ক্যাম্পাস মার্টিয়াস এখন পুরোপুরিই ছুটির শহর।
Source & Photo: http://detroitnews.com