পন্টিয়াকের দুই ভাই ‘দুঃস্বপ্নের মতো’ নির্যাতনের শিকার, বাবা-মা গ্রেপ্তার

আপলোড সময় : ২৬-১১-২০২৫ ০১:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-১১-২০২৫ ০১:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন
আর্তুরো বাজান ও ডুলসে বাজান/Oakland County Sheriff's Office  

পন্টিয়াক, ২৬ নভেম্বর : ওকল্যান্ড কাউন্টির পন্টিয়াকে দুই শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে বলে পুলিশের তদন্তে প্রকাশ হয়েছে। ৯ ও ১১ বছর বয়সী দুই ভাইকে অনাহারে রাখা হয়েছিল এবং তাদের শোবার ঘরের জানালায় রঙ করা কাঁচ লাগানো ছিল, যাতে তারা বাইরে তাকাতে না পারে।
ওকল্যান্ড কাউন্টি প্রসিকিউটর কারেন ম্যাকডোনাল্ডের দপ্তর জানিয়েছে, আর্তুরো বাজান ও ডুলসে বাজান এবং আর্তুরোর ২৪ বছর বয়সী ছেলে কার্লোস বাজান হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে দুটি প্রথম ডিগ্রি শিশু নির্যাতন এবং দুটি অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৯ ও ১১ বছর বয়সী ছেলেরা আর্তুরোর সন্তান।
মঙ্গলবার ছেলেদের বাবা–মাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জামিন ছাড়াই কারাগারে পাঠানো হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। বাজান হার্নান্দেজকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। শেরিফের তথ্য অনুযায়ী, বাজান হার্নান্দেজ বাবা ও ডুলসের সাথে একই বাড়িতে থাকতেন এবং বাড়িতে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতেন।
১৭ নভেম্বর ৯ বছর বয়সী শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় পন্টিয়াকের ট্রিনিটি হাসপাতালে নেওয়ার পর পুলিশ নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারে। গুরুতর অপুষ্টির কারণে শিশুটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। তার ওজন ছিল মাত্র ৩৩ পাউন্ড এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা নির্যাতনের ইঙ্গিত দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার নাড়ি বন্ধ ছিল, সিপিআর চলছিল এবং পরে তাকে ইনটিউবেশন করে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমানে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
তদন্তে পুলিশ আর্তুরো ও ডুলসের বাড়িতে থাকা ১১ বছর বয়সী আরেক শিশুকেও অপুষ্ট অবস্থায় খুঁজে পায়। তার ওজন ছিল মাত্র ৪৩ পাউন্ড। শেরিফের অফিস জানিয়েছে, দুই শিশুই তাদের বয়সী স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় ৩০–৪০ পাউন্ড কম ওজনের।
বাড়িতে আরও দুটি শিশু ১ বছর বয়সী ছেলে ও ৪ বছর বয়সী মেয়ে ছিল, যারা ডুলস ও আর্তুরোর সন্তান। তাদের স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হচ্ছিল এবং তারা সুস্থ বলে মনে হয়েছে। চার শিশুকেই শিশু সুরক্ষা পরিষেবা বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছেলেরা পন্টিয়াকের স্কুলে ভর্তি ছিল এবং স্কুলে প্রতিদিন অন্তত দুটি খাবার পেত। আর্তুরো স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তাদের নাম বাতিল করেন। তিনি স্কুল কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন যে পরিবারটি হয় মেক্সিকো ফিরে যাচ্ছে, অথবা অন্য কোনো রাজ্যে যাচ্ছিল। এরপর থেকেই শিশুদের খাদ্যনির্ভরতা সীমিত হয়ে যায় এবং তাদের শোবার ঘরে আটকে রাখা শুরু হয়।
প্রসিকিউটর ম্যাকডোনাল্ড এক বিবৃতিতে বলেন, “এটা অকল্পনীয় যে কেউ বাবা–মা তো দূরের কথা ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুদের অনাহারে রাখবে। অভিযোগগুলো ভয়াবহ। এই শিশুদের পুনরুদ্ধারে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা।”
শেরিফ মাইকেল বাউচার্ড বলেন, “শিশু নির্যাতনের এসব ঘটনা হৃদয়বিদারক ও ক্ষোভজনক। এই শিশুদের দুর্ভোগ হয়তো আগেই বন্ধ হতে পারত, যদি আইনসভা সেই সাধারণ জ্ঞানসমৃদ্ধ আইনটি পাস করত, যা তদন্ত ছাড়া শিশুদের স্কুল থেকে নাম কাটানোর অনুমতি দিত না। কোনও শিশুই যেন আর এমন পরিস্থিতির শিকার না হয়, আমরা দায়ীদের জবাবদিহি না করা পর্যন্ত থামব না।”
Source & Photo: http://detroitnews.com
 

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com