২৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, মিশিগানের ডেট্রয়েটে উডওয়ার্ড অ্যাভিনিউতে আমেরিকা’স থ্যাঙ্কসগিভিং প্যারেড চলাকালীন হাজারো মানুষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন/Katy Kildee, The Detroit News
ডেট্রয়েট, ২৮ নভেম্বর : ৯৯তম আমেরিকা’স থ্যাঙ্কসগিভিং ডে প্যারেড দেখতে উডওয়ার্ড অ্যাভিনিউতে জড়ো হওয়া হাজারো মানুষের উৎসাহে হিমশীতল তাপমাত্রা ও তীব্র বাতাসও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ডেট্রয়েটের বাসিন্দা এবং ছুটির দিনে শহরে আসা দর্শনার্থীরা ডিজে, ব্যান্ড, নৃত্যশিল্পী, বেলুন ও রঙিন ফ্লোটগুলোর শোভাযাত্রা উপভোগ করেন। প্যারেডটি ডেট্রয়েট ইনস্টিটিউট অব আর্টস থেকে শুরু হয়ে ডাউনটাউনের ক্যাম্পাস মার্টিয়াসে পৌঁছে।
“আমি ৪০ বছর ধরে এখানে আসছি,” বলেন পাউলা ওয়াশিংটন, যিনি ডেট্রয়েটে জন্ম নিয়ে বর্তমানে স্টার্লিং হাইটসে থাকেন। প্যারেডে তার প্রিয় অংশ? সান্তা ক্লজ। “এটি আমাকে ছোটবেলার সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন হাডসনে সান্তাকে দেখতাম,” তিনি বলেন। উল্লেখ্য, ডেট্রয়েটের ঐতিহাসিক জে.এল. হাডসন ডিপার্টমেন্ট স্টোরটি ১৯৮৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
ফ্লোটগুলোর মধ্যে ছিল গার্ডনার হোয়াইট, বার্টন ম্যালো এবং পেট সাপ্লাইস প্লাসের মতো স্পনসরের সাজসজ্জা। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির স্পার্টি মাসকটকে দেখা যায় হেনরি ফোর্ড হেলথ ফ্লোটের ওপর, যা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানটির যৌথ গবেষণা কেন্দ্রকে তুলে ধরে। কেন্দ্রটি ২০২৭ সালে ডেট্রয়েটের নিউ সেন্টারে চালু হওয়ার কথা।
কুচকাওয়াজে এই বছর জায়গা পায় দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় “ব্রিফকেস ব্রিগেড”-এর আধুনিক সংস্করণ। নতুন দলটি সংখ্যায় বড় ২৮ জন সদস্য এবং আগের তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। পুরোনো দলে যেখানে ১৭ জন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ছিলেন, সেখানে নতুন দলে রয়েছেন ডজনখানেক নারী এবং বিভিন্ন জাতিগত পটভূমির সদস্য।
ম্যাকম্ব ডেইলির তথ্যানুসারে, মূল দলটি ১৯৮৫ সালে প্লাইমাউথের পোশাক ব্যবসায়ী ফ্রেড হিল তার দোকানের প্রচারণার জন্য গঠন করেছিলেন। তারা পরবর্তী তিন দশকে ডেট্রয়েট প্যারেডে ২৫ বার অংশ নিয়ে জাতীয় খ্যাতি পায়। মূল দলের শেষ পারফরম্যান্স ছিল ২০১৪ সালে।
ডেট্রয়েটের ৫৭ বছর বয়সী ব্যাংকার কেলি মেজর গ্রিন ম্যাকম্ব ডেইলিকে বলেন, তিনি এই নতুন সংস্করণে যোগ দিয়েছেন অতীতের প্রিয় ঐতিহ্যকে আধুনিক প্রজন্মের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে “১৯৮০-এর দশকে ছোটবেলায় যে ঐতিহ্যটা দেখতাম, সেটাকে ২০২৫-এর প্রেক্ষাপটে সামনে আনার সুযোগ।”
এ বছরের প্যারেডের গ্র্যান্ড মার্শাল ছিলেন ডেট্রয়েটের মেয়র মাইক ডুগান এবং দীর্ঘদিনের WDIV সাংবাদিক ডেভিন স্কিলিয়ান।
সবচেয়ে জনপ্রিয় বেলুনগুলোর একটি ছিল অপেক্ষাকৃত নতুন ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্ট। চরিত্রটির ভাসমান বেলুনটি উডওয়ার্ড অ্যাভিনিউ ধরে এগোতেই শিশু ও অভিভাবকের হাসিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পথঘাট।
ড্যাফনি ও অ্যামেলিয়া গ্রেবিল নয় এবং সাত বছর বয়সী দুই বোন এবং তাদের বন্ধু ১০ বছর বয়সী স্কাইলার শুডলিচেরও প্রিয় বেলুন ছিল ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্ট।
“এটা আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য,” গর্বের সঙ্গে বলে অ্যামেলিয়া। ছোটবেলা থেকেই তারা প্যারেডে অংশ নিতে আসছে।
অন্যান্য বেলুনের মধ্যে ছিল প্রবল বাতাসের কারণে চাঁদ ছাড়া “মুন জাম্পিং কাউ”, জনপ্রিয় শিশুতোষ বই দ্য রেইনবো ফিশ–এর শিরোনাম চরিত্র এবং এলমো।
ইউএসএ টুডে’র “১০বেস্ট” পাঠক জরিপে এই প্যারেড একাধিকবার সেরা হলিডে প্যারেডের সম্মান অর্জন করেছে, গত বছরও যার স্বীকৃতি পেয়েছে। প্যারেড পরিচালনা থেকে শুরু করে বেলুন নিয়ন্ত্রণ, সান্তার এলভসের পোশাক পরে উৎসবের আনন্দ ছড়ানো সবকিছুর জন্য শত শত স্বেচ্ছাসেবকের ওপর নির্ভর করে এ আয়োজন। ৬৩ বছর বয়সী কেভিন মন্টগোমারি তাদেরই একজন। “আমি এখানেই জন্মেছি,” তিনি বলেন। “আমি ডেট্রয়েটকে ভালোবাসি… এ আমার ২৫তম থ্যাঙ্কসগিভিং প্যারেড। আতশবাজি, হব নোবল গবল সব মিলিয়ে এখানে আমার অসংখ্য স্মৃতি জমা আছে।”
Source & Photo: http://detroitnews.com
ডেট্রয়েট, ২৮ নভেম্বর : ৯৯তম আমেরিকা’স থ্যাঙ্কসগিভিং ডে প্যারেড দেখতে উডওয়ার্ড অ্যাভিনিউতে জড়ো হওয়া হাজারো মানুষের উৎসাহে হিমশীতল তাপমাত্রা ও তীব্র বাতাসও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ডেট্রয়েটের বাসিন্দা এবং ছুটির দিনে শহরে আসা দর্শনার্থীরা ডিজে, ব্যান্ড, নৃত্যশিল্পী, বেলুন ও রঙিন ফ্লোটগুলোর শোভাযাত্রা উপভোগ করেন। প্যারেডটি ডেট্রয়েট ইনস্টিটিউট অব আর্টস থেকে শুরু হয়ে ডাউনটাউনের ক্যাম্পাস মার্টিয়াসে পৌঁছে।
“আমি ৪০ বছর ধরে এখানে আসছি,” বলেন পাউলা ওয়াশিংটন, যিনি ডেট্রয়েটে জন্ম নিয়ে বর্তমানে স্টার্লিং হাইটসে থাকেন। প্যারেডে তার প্রিয় অংশ? সান্তা ক্লজ। “এটি আমাকে ছোটবেলার সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন হাডসনে সান্তাকে দেখতাম,” তিনি বলেন। উল্লেখ্য, ডেট্রয়েটের ঐতিহাসিক জে.এল. হাডসন ডিপার্টমেন্ট স্টোরটি ১৯৮৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
ফ্লোটগুলোর মধ্যে ছিল গার্ডনার হোয়াইট, বার্টন ম্যালো এবং পেট সাপ্লাইস প্লাসের মতো স্পনসরের সাজসজ্জা। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির স্পার্টি মাসকটকে দেখা যায় হেনরি ফোর্ড হেলথ ফ্লোটের ওপর, যা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানটির যৌথ গবেষণা কেন্দ্রকে তুলে ধরে। কেন্দ্রটি ২০২৭ সালে ডেট্রয়েটের নিউ সেন্টারে চালু হওয়ার কথা।
কুচকাওয়াজে এই বছর জায়গা পায় দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় “ব্রিফকেস ব্রিগেড”-এর আধুনিক সংস্করণ। নতুন দলটি সংখ্যায় বড় ২৮ জন সদস্য এবং আগের তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। পুরোনো দলে যেখানে ১৭ জন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ছিলেন, সেখানে নতুন দলে রয়েছেন ডজনখানেক নারী এবং বিভিন্ন জাতিগত পটভূমির সদস্য।
ম্যাকম্ব ডেইলির তথ্যানুসারে, মূল দলটি ১৯৮৫ সালে প্লাইমাউথের পোশাক ব্যবসায়ী ফ্রেড হিল তার দোকানের প্রচারণার জন্য গঠন করেছিলেন। তারা পরবর্তী তিন দশকে ডেট্রয়েট প্যারেডে ২৫ বার অংশ নিয়ে জাতীয় খ্যাতি পায়। মূল দলের শেষ পারফরম্যান্স ছিল ২০১৪ সালে।
ডেট্রয়েটের ৫৭ বছর বয়সী ব্যাংকার কেলি মেজর গ্রিন ম্যাকম্ব ডেইলিকে বলেন, তিনি এই নতুন সংস্করণে যোগ দিয়েছেন অতীতের প্রিয় ঐতিহ্যকে আধুনিক প্রজন্মের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে “১৯৮০-এর দশকে ছোটবেলায় যে ঐতিহ্যটা দেখতাম, সেটাকে ২০২৫-এর প্রেক্ষাপটে সামনে আনার সুযোগ।”
এ বছরের প্যারেডের গ্র্যান্ড মার্শাল ছিলেন ডেট্রয়েটের মেয়র মাইক ডুগান এবং দীর্ঘদিনের WDIV সাংবাদিক ডেভিন স্কিলিয়ান।
সবচেয়ে জনপ্রিয় বেলুনগুলোর একটি ছিল অপেক্ষাকৃত নতুন ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্ট। চরিত্রটির ভাসমান বেলুনটি উডওয়ার্ড অ্যাভিনিউ ধরে এগোতেই শিশু ও অভিভাবকের হাসিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পথঘাট।
ড্যাফনি ও অ্যামেলিয়া গ্রেবিল নয় এবং সাত বছর বয়সী দুই বোন এবং তাদের বন্ধু ১০ বছর বয়সী স্কাইলার শুডলিচেরও প্রিয় বেলুন ছিল ক্যাপ্টেন আন্ডারপ্যান্ট।
“এটা আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য,” গর্বের সঙ্গে বলে অ্যামেলিয়া। ছোটবেলা থেকেই তারা প্যারেডে অংশ নিতে আসছে।
অন্যান্য বেলুনের মধ্যে ছিল প্রবল বাতাসের কারণে চাঁদ ছাড়া “মুন জাম্পিং কাউ”, জনপ্রিয় শিশুতোষ বই দ্য রেইনবো ফিশ–এর শিরোনাম চরিত্র এবং এলমো।
ইউএসএ টুডে’র “১০বেস্ট” পাঠক জরিপে এই প্যারেড একাধিকবার সেরা হলিডে প্যারেডের সম্মান অর্জন করেছে, গত বছরও যার স্বীকৃতি পেয়েছে। প্যারেড পরিচালনা থেকে শুরু করে বেলুন নিয়ন্ত্রণ, সান্তার এলভসের পোশাক পরে উৎসবের আনন্দ ছড়ানো সবকিছুর জন্য শত শত স্বেচ্ছাসেবকের ওপর নির্ভর করে এ আয়োজন। ৬৩ বছর বয়সী কেভিন মন্টগোমারি তাদেরই একজন। “আমি এখানেই জন্মেছি,” তিনি বলেন। “আমি ডেট্রয়েটকে ভালোবাসি… এ আমার ২৫তম থ্যাঙ্কসগিভিং প্যারেড। আতশবাজি, হব নোবল গবল সব মিলিয়ে এখানে আমার অসংখ্য স্মৃতি জমা আছে।”
Source & Photo: http://detroitnews.com