মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর ডেট্রয়েটে অভিবাসন এজেন্টরা সুমিত গুণাসেকারাকে হেফাজতে নেয়/U.S. Department of Homeland Security
ডেট্রয়েট, ২৯ নভেম্বর : মার্কিন অভিবাসন এজেন্টরা জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বংশোদ্ভুত ফেরিস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার অতীতে নাবালক সংশ্লিষ্ট মামলাসহ একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সুমিথ গুণাসেকারাকে ১২ নভেম্বর ডেট্রয়েটে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, গুণাসেকারা মিশিগানের বিগ র্যাপিডস ক্যাম্পাসে ফেরিস স্টেটের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি শ্রীলঙ্কার কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এফএসইউর মার্কেটিং ও যোগাযোগ বিভাগের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভ মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “মঙ্গলবার ফেরিস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা সুমিথ গুণাসেকারা–সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হন। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হয়েছে। এটি কর্মীসংক্রান্ত ইস্যু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ে আর মন্তব্য করবে না।”
ফেডারেল কর্তৃপক্ষ জানায়, গুণাসেকারা ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে পরে কানাডায় চলে যান। একই বছরের আগস্টে অন্টারিওর ব্রাম্পটনে পুলিশ তাকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। তিন দিন পর আবার যৌন স্পর্শ ও যৌন হস্তক্ষেপে প্ররোচনার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। ডিএইচএস-এর তথ্য অনুযায়ী, তিনি স্বীকার করেন যে মামলাটি একজন নাবালকের সঙ্গে সম্পর্কিত। ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং এক মাসের কারাদণ্ড ও এক বছরের প্রবেশনে দণ্ডিত হন।
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে লাস ভেগাসে তাকে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ও গুরুতর অশালীন আচরণের অভিযোগে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
ডিএইচএসের সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, “একজন যৌন অপরাধীর একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আইসিই–র সাহসী কর্মকর্তাদের কারণে এই ব্যক্তি এখন কারাগারে এবং আর কাউকে ক্ষতি করতে পারবে না।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কানাডায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও গুণাসেকারা বছর ধরে আবেদন, অস্বীকৃতি ও আপিলের মাধ্যমে মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আসছেন, যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আইনগতভাবে থাকার যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করেছে। বর্তমানে তিনি অভিবাসন প্রক্রিয়ার রায়ের অপেক্ষায় আইসিই হেফাজতে রয়েছেন।
Source & Photo: http://detroitnews.com
ডেট্রয়েট, ২৯ নভেম্বর : মার্কিন অভিবাসন এজেন্টরা জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বংশোদ্ভুত ফেরিস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার অতীতে নাবালক সংশ্লিষ্ট মামলাসহ একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সুমিথ গুণাসেকারাকে ১২ নভেম্বর ডেট্রয়েটে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, গুণাসেকারা মিশিগানের বিগ র্যাপিডস ক্যাম্পাসে ফেরিস স্টেটের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি শ্রীলঙ্কার কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এফএসইউর মার্কেটিং ও যোগাযোগ বিভাগের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভ মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “মঙ্গলবার ফেরিস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা সুমিথ গুণাসেকারা–সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হন। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হয়েছে। এটি কর্মীসংক্রান্ত ইস্যু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ে আর মন্তব্য করবে না।”
ফেডারেল কর্তৃপক্ষ জানায়, গুণাসেকারা ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে পরে কানাডায় চলে যান। একই বছরের আগস্টে অন্টারিওর ব্রাম্পটনে পুলিশ তাকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। তিন দিন পর আবার যৌন স্পর্শ ও যৌন হস্তক্ষেপে প্ররোচনার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। ডিএইচএস-এর তথ্য অনুযায়ী, তিনি স্বীকার করেন যে মামলাটি একজন নাবালকের সঙ্গে সম্পর্কিত। ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং এক মাসের কারাদণ্ড ও এক বছরের প্রবেশনে দণ্ডিত হন।
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে লাস ভেগাসে তাকে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ও গুরুতর অশালীন আচরণের অভিযোগে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
ডিএইচএসের সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, “একজন যৌন অপরাধীর একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আইসিই–র সাহসী কর্মকর্তাদের কারণে এই ব্যক্তি এখন কারাগারে এবং আর কাউকে ক্ষতি করতে পারবে না।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কানাডায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও গুণাসেকারা বছর ধরে আবেদন, অস্বীকৃতি ও আপিলের মাধ্যমে মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আসছেন, যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আইনগতভাবে থাকার যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করেছে। বর্তমানে তিনি অভিবাসন প্রক্রিয়ার রায়ের অপেক্ষায় আইসিই হেফাজতে রয়েছেন।
Source & Photo: http://detroitnews.com