
ওয়ারেন, ২৮ মে : বড় বিপদে সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র, বাড়ছে উদ্বেগ। অর্থ সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। জাতীয় ঋণের সীমা না বাড়াতে পারলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খেলাপি হয়ে পড়বে। প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্র ঋণ-খেলাপি হলে কি ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে? হাতে কিন্তু সময় খুব কম। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এখন এমন চরম অচলাবস্থার মধ্যে আটকে আছে। যা শুধু তাদের জন্য নয়, বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটা মারাত্মক রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদি যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো না হয়, তখন?
যুক্তরাষ্ট্র ঋণ-খেলাপি হলে, তখন পুরো মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেবে। সরকার আর নতুন করে টাকা ধার করতে পারবে না। সরকারের হাতে টাকা না থাকায় দেনা পরিশোধ করতে পারবে না। জনগণকে যেসব সুযোগ-সুবিধা-সেবা দিতে হয়, সেগুলোও অব্যাহত রাখতে পারবে না। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমবে। এর প্রভাব গিয়ে পড়বে গোটা বিশ্বে। বিশ্ব অর্থনীতিও এফেক্টেড হবে।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্লেষকদের একাংশের মতে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু সারা বিশ্বজুড়ে সব দেশের সঙ্গেই ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় অংশীদার। ফলে গোটা দুনিয়ার সাধারণ মানুষের ওপরই প্রভাব পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র মন্দায় পড়লে তারা বাকী বিশ্ব থেকে জিনিসপত্রও কিনবে অনেক কম। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ঋণ খেলাপি হওয়ার মানে কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যেই মন্দা নয়। প্রভাব পড়বে যুক্তরাজ্যে বাড়ি কেনার ঋণ থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুর ওপর। সব কিছুর দাম বাড়বে। পেনশন কমে যাবে। শেয়ার বাজারে বাজে প্রতিক্রিয়া হবে। এখন গোটা বিশ্ব জেনে গেছে, জাতীয় ঋণের সীমা বৃদ্ধি করতে না পারলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খেলাপি হয়ে পড়বে। কিন্তু কবে? দেশটার অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সেই দিনটা ৫ জুন। ঋণের সীমা বাড়ানোর সময় আছে সেদিন পর্যন্ত। এরপর? বিষয়টার যৌক্তিক সমাধান না হলে, তারপর দেউলিয়া হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কংগ্রেসের রিপাবলিকান স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন, তবে তাঁরা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা অবশ্য এখনো চলছে। মূলত, ব্যয়ের বিষয়ে এখনো দুই দল সমঝোতায় আসতে পারেনি।
জো বাইডেন কি চাইছেন?
বাইডেন চাইছেন ধনীদের করহার বৃদ্ধি সহ নানাভাবে কর সংগ্রহ বাড়িয়ে ঋণের সীমা বৃদ্ধি করতে। কিন্তু রিপাবলিকানরা কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট হ্রাসের বিষয়ে নাছোড়বান্দা। এমনকি ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধিরও বিপক্ষে তাঁরা। এদিকে, বাস্তবতা হলো সময় ফুরিয়ে আসছে।
এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কি করে?
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী গত বেশ কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ ব্যয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে, কারণ সরকার আসলে যা আয় করছে, তার চেয়ে বেশি ব্যয় করছে। ঋণ করার সর্বোচ্চ সীমা এখন বেঁধে দেওয়া আছে ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ঋণ এই সীমায় পৌঁছে গেছে। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় অন্যান্য উপায়ে সরকারকে বাড়তি অর্থ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সরকার আরও অর্থ ধার করতে না পারে, তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যে, সরকার হয়তো আর তার ধার-দেনা-দায় পরিশোধ করতে পারবে না। রিপোর্ট বলছে বিবিসি যত বিশেষজ্ঞের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছে, তারা কেউই মনে করেন না যে, যুক্তরাষ্ট্র ঋণ-খেলাপি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ঋণ-খেলাপি হলে, তখন পুরো মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেবে। সরকার আর নতুন করে টাকা ধার করতে পারবে না। সরকারের হাতে টাকা না থাকায় দেনা পরিশোধ করতে পারবে না। জনগণকে যেসব সুযোগ-সুবিধা-সেবা দিতে হয়, সেগুলোও অব্যাহত রাখতে পারবে না। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমবে। এর প্রভাব গিয়ে পড়বে গোটা বিশ্বে। বিশ্ব অর্থনীতিও এফেক্টেড হবে।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্লেষকদের একাংশের মতে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু সারা বিশ্বজুড়ে সব দেশের সঙ্গেই ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় অংশীদার। ফলে গোটা দুনিয়ার সাধারণ মানুষের ওপরই প্রভাব পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র মন্দায় পড়লে তারা বাকী বিশ্ব থেকে জিনিসপত্রও কিনবে অনেক কম। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ঋণ খেলাপি হওয়ার মানে কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যেই মন্দা নয়। প্রভাব পড়বে যুক্তরাজ্যে বাড়ি কেনার ঋণ থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুর ওপর। সব কিছুর দাম বাড়বে। পেনশন কমে যাবে। শেয়ার বাজারে বাজে প্রতিক্রিয়া হবে। এখন গোটা বিশ্ব জেনে গেছে, জাতীয় ঋণের সীমা বৃদ্ধি করতে না পারলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খেলাপি হয়ে পড়বে। কিন্তু কবে? দেশটার অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সেই দিনটা ৫ জুন। ঋণের সীমা বাড়ানোর সময় আছে সেদিন পর্যন্ত। এরপর? বিষয়টার যৌক্তিক সমাধান না হলে, তারপর দেউলিয়া হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কংগ্রেসের রিপাবলিকান স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন, তবে তাঁরা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা অবশ্য এখনো চলছে। মূলত, ব্যয়ের বিষয়ে এখনো দুই দল সমঝোতায় আসতে পারেনি।
জো বাইডেন কি চাইছেন?
বাইডেন চাইছেন ধনীদের করহার বৃদ্ধি সহ নানাভাবে কর সংগ্রহ বাড়িয়ে ঋণের সীমা বৃদ্ধি করতে। কিন্তু রিপাবলিকানরা কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট হ্রাসের বিষয়ে নাছোড়বান্দা। এমনকি ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধিরও বিপক্ষে তাঁরা। এদিকে, বাস্তবতা হলো সময় ফুরিয়ে আসছে।
এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কি করে?
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী গত বেশ কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ ব্যয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে, কারণ সরকার আসলে যা আয় করছে, তার চেয়ে বেশি ব্যয় করছে। ঋণ করার সর্বোচ্চ সীমা এখন বেঁধে দেওয়া আছে ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ঋণ এই সীমায় পৌঁছে গেছে। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় অন্যান্য উপায়ে সরকারকে বাড়তি অর্থ জোগান দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সরকার আরও অর্থ ধার করতে না পারে, তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যে, সরকার হয়তো আর তার ধার-দেনা-দায় পরিশোধ করতে পারবে না। রিপোর্ট বলছে বিবিসি যত বিশেষজ্ঞের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছে, তারা কেউই মনে করেন না যে, যুক্তরাষ্ট্র ঋণ-খেলাপি হবে।