হ্যামট্টাম্যাক, ১৬ ডিসেম্বর : বাঙালির শীত মানেই পিঠ-পুলি। হাজার মাইল দূরে থেকেও বাংলাদেশের শীতের সেই চেনা আমেজ ধরে রাখতে মিশিগানে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমী ‘পৌষালী সন্ধ্যা ও পিঠা উৎসব’। রোববার বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ হিসেবে পরিচিত হ্যামট্টাম্যাক শহরের গেট অব কলাম্বাসে এই ‘পৌষালী সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হয়। শুধু পিঠাই নয়, অনুষ্ঠানে ছিল নাচ, গান, যাত্রাপালা ও ছোট নাটকসহ বাংলাদেশের শীতকালীন নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
ডিসেম্বর মাস বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে সম্মান জানিয়ে কোরাস গান এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত ছোট নাটক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ছিল লাইভ পিঠা তৈরির আয়োজন। ভাপা, পাটিসাপটা ও নানা ধরনের শীতের পিঠা। পাশাপাশি ছিল নাচ, গান, যাত্রাপালা ও ছোট নাটকসহ বাংলাদেশের শীতকালীন নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ নানা পেশার মানুষেরা। একের পর এক পরিবেশনায় ফুটে ওঠে বাংলাদেশের শীতকালীন সংস্কৃতি ও লোকজ ঐতিহ্য। নানা পরিবেশনায় মুখর ছিল অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশিষ্ট ডাক্তার মোহাম্মদ হোসেইন ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফারহানা ইলোরা হোসেইন জানান, বাংলাদেশের শীত আর আমেরিকার শীত এক নয়। বাংলাদেশের শীতকালের বিশেষ আবহ হলো গণকুয়াশা, হিমেল হাওয়া, মিষ্টি রৌদ্র, আর গ্রামেগঞ্জে পিঠা পুলির নবান্ন উৎসব ও যাত্রাপালা।
মিশিগানের শীতের বৈশিষ্ট্য হলো ঝরাপাতা, বরফ, শূন্যের নিচে তাপমাত্রা, স্নো ঢাকা রাস্তায় অতি সাবধানে গাড়ি চালানো, ঘরে গরম কফির উষ্ণতা, কিছুটা বিষণ্ণতা, টিভির পর্দায় চোখ রেখে সময় কাটানো আর বছর শেষে ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ারের আলোকসজ্জা সেলিব্রেশন উপভোগ করা।
তিনি বলেন, সেই পার্থক্যের মাঝেই আমরা চেষ্টা করেছি দেশের শীতের স্বাদ আর আবেগকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে। শীত আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে মিশিগানের এই ‘পৌষালী সন্ধ্যা ও পিঠা উৎসব ‘ প্রমাণ করে-বিদেশে থাকলেও শেকড়ের টান কখনো ম্লান হয় না।
ডিসেম্বর মাস বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে সম্মান জানিয়ে কোরাস গান এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত ছোট নাটক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ছিল লাইভ পিঠা তৈরির আয়োজন। ভাপা, পাটিসাপটা ও নানা ধরনের শীতের পিঠা। পাশাপাশি ছিল নাচ, গান, যাত্রাপালা ও ছোট নাটকসহ বাংলাদেশের শীতকালীন নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ নানা পেশার মানুষেরা। একের পর এক পরিবেশনায় ফুটে ওঠে বাংলাদেশের শীতকালীন সংস্কৃতি ও লোকজ ঐতিহ্য। নানা পরিবেশনায় মুখর ছিল অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশিষ্ট ডাক্তার মোহাম্মদ হোসেইন ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফারহানা ইলোরা হোসেইন জানান, বাংলাদেশের শীত আর আমেরিকার শীত এক নয়। বাংলাদেশের শীতকালের বিশেষ আবহ হলো গণকুয়াশা, হিমেল হাওয়া, মিষ্টি রৌদ্র, আর গ্রামেগঞ্জে পিঠা পুলির নবান্ন উৎসব ও যাত্রাপালা।
মিশিগানের শীতের বৈশিষ্ট্য হলো ঝরাপাতা, বরফ, শূন্যের নিচে তাপমাত্রা, স্নো ঢাকা রাস্তায় অতি সাবধানে গাড়ি চালানো, ঘরে গরম কফির উষ্ণতা, কিছুটা বিষণ্ণতা, টিভির পর্দায় চোখ রেখে সময় কাটানো আর বছর শেষে ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ারের আলোকসজ্জা সেলিব্রেশন উপভোগ করা।
তিনি বলেন, সেই পার্থক্যের মাঝেই আমরা চেষ্টা করেছি দেশের শীতের স্বাদ আর আবেগকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে। শীত আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে মিশিগানের এই ‘পৌষালী সন্ধ্যা ও পিঠা উৎসব ‘ প্রমাণ করে-বিদেশে থাকলেও শেকড়ের টান কখনো ম্লান হয় না।