মিশিগানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঈর্ষণীয় সফলতা

আপলোড সময় : ১১-০৬-২০২৩ ১২:১৭:০২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৬-২০২৩ ১২:১৭:০২ পূর্বাহ্ন
ওয়েইন, ১১ জুন : ওয়েইন কাউন্টি কমিউনিটি কলেজের গ্রাজুয়েশন কোর্সে দারুণ সাফল্য পেয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। গ্রাজুয়েশন শেষে কর্মক্ষেত্রে সফলতার মুখ দেখছেন তরুণ পেশাজীবিরা। এছাড়া তারা ভর্তি হচ্ছেন ভালোমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।        
গত শনিবার জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ওয়েইন কাউন্টি কমিউনিটি কলেজের গ্রাজুয়েশন সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির গ্রেজুয়েটদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই বিবাহিত। জীবিকার তাগিদে তারা নানা পেশায় যুক্ত থাকার পরও কাজের ফাঁকে পড়াশুনা করে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। কর্মক্ষেত্রেও পেয়েছেন সফলতা। আনুষ্ঠানিক ডিগ্রী লাভের পর দশক সারিতে থাকা গ্রাজুয়েটদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। অনুষ্ঠানের দর্শক সারিতে বসা সেলিনা কবির চৌধুরী বলেন, আজকে আমার স্বামী গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির সাটিফিকেট গ্রহণ করছে। এটি অন্যরকম এক অনুভূতি। আমি সত্যিই আনন্দিত। 

এ প্রসঙ্গে ওয়েইন কাউন্টি কমিউনিটি কলেজের বোর্ড অব ট্রেজারি এএসএম এন রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, একদশক আগেও শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবিদের অংশগ্রহণ কম ছিলো। সে অবস্থানের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি তরুণ পেশাজীবিরাও শিক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ছে। মিশিগানে ৩১ টি পাবলিক কমিউনিটি কলেজ রয়েছে। এরমধ্যে ওয়েইন কাউন্টি কমিউনিটি কলেজ থেকেই ১০০ জনের বেশি বাংলাদেশি ও অ্যারাবিক শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মিশিগান স্টেট সেক্রেটারি বেনসনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১২ শ  গ্রাজুয়েট ডিগ্রিধারী সঙ্গে কয়েক হাজার স্বজনদের উপস্থিতি ঘটেছে।                   

গ্রাজুয়েশন ডিগ্রীদারি শাজাহার হোসেন আহমেদ বলেন, কমিউনিটি কলেজ থেকে সাশ্রয়ী খরচে দুই বছর মেয়াদী গ্রাজুয়েশন  করা যায়। মেধাবি শিক্ষাথীদের আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি কম আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা পয়সায় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। গেল বছর তার স্ত্রী সেলিনা কবির চৌধুরী এবং এ বছর তিনি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। কোনো টাকাপয়সা লাগেনি। উল্টো স্টাইপেন্ড হিসেবে প্রতি মাসে ৯৬০ ডলার করে পেয়েছেন। আরলি চাইল্ডহোড নিয়ে সার্টিফিকেট অর্জনে দারুণ খুশি তিনি। ডিগ্রি অজন করায় তার স্ত্রী সেলিনা কবির চৌধুরী এবং তার শিক্ষকতার চাকরি হয়েছে।     
উবায়দুর রহমানের দুই কন্যা শাহিমা তাসমিন রহমান ও মায়শা তাসমিন রহমান জেনারেল স্টাডিজে গ্রাজুয়েশন করে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে সাইবার সিকউরিটি বিষয়ে পড়ছে। উবায়দুর রহমান বলেন, শুধু শুধু অর্থের পেছনে না দৌঁড়ে অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের পড়াশুনায় আগ্রহী করে তোলা। কারণ আমাদের এই প্রজন্ম অনেক মেধাবী। তারা পরীক্ষায় অনেক ভালো রেজাল্ট করছে।  দুই মেয়ের  গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এসে খুশি তাদের মা ইসমত আরা। 


পরিবার পরিজন সঙ্গে নিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসেছেন ডিগ্রীপ্রাপ্ত মিনতি চৌধুরী। ফলাফল ভালো হওয়ায় গোল্ডেন ট্রাসেল মেডেল পেয়ে দারুণ অভিভূত তিনি। তিনি বলেন, গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ায় ইলিমেন্টারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। ২০১৯৯ সালে অ্যামিরিকা এসেই করোনা মহামারির মধ্যে পড়ে  হতাশ হয়েছিলেন বলে জানান মিনতি। আজকে গ্রাজুয়েশন সাটিফিকেট হাতে পেয়ে হ্যাপি লাগছে।
 

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com