নবীগঞ্জ, (হবিগঞ্জ) ১৩ জুন : নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে সিএনজি শ্রমিক ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে ১০ টাকার নোট নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গাড়িতে হামলাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর করেছে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা। এ সময় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদসহ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৩ জুন) বেলা ৩ টা থেকে প্রায় বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
জানাযায়, দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মুহিত মিয়ার পুত্র ও আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরের মাইক্রোবাস (নোহা) চালক নোমান মিয়া গত ১২ জুন সোমবার সকাল ১১টায় দেবপাড়া ইউনিয়নের নোয়াহাটি গ্রামের মনু মিয়া পুত্র সিএনজি চালক জাবেদ মিয়ার সিএনজি যোগে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে এসে ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া দেন। এ সময় সিএনজি চালক জাবেদ ১০টাকার নোট পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য বলেন। তবে নোমান বলেন, তার কাছে আর কোন টাকা নেই। এই নোট অচল নয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা দেখা দিলে স্থানীয়রা কয়েকবার বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। তবুও শ্রমিক জাবেদ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নোমানের প্রতি। সে তার সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ফরিদের দোকানে এসে বিষয়টি জানালে ফরিদ মিয়া ঘটনার সময় নোমান মিয়াকে তার দোকানের সামনে দেখা মাত্র ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আউশকান্দি ইউপি বিট অফিসার এস আই গৌতম দাশ, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ সহ উভয় পক্ষের শ্রমিক নেতাদের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উশৃঙ্খল শ্রমিকরা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে রহমান সুপার মার্কেটের জেবা রেস্তোরাঁ, ওয়ালটন শো"রোম, রাজু রেস্তোরাঁ, সরকারী ধান কাটার ২টি মেশিন, পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার আলাপ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, যদি কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাযায়, দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মুহিত মিয়ার পুত্র ও আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরের মাইক্রোবাস (নোহা) চালক নোমান মিয়া গত ১২ জুন সোমবার সকাল ১১টায় দেবপাড়া ইউনিয়নের নোয়াহাটি গ্রামের মনু মিয়া পুত্র সিএনজি চালক জাবেদ মিয়ার সিএনজি যোগে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে এসে ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া দেন। এ সময় সিএনজি চালক জাবেদ ১০টাকার নোট পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য বলেন। তবে নোমান বলেন, তার কাছে আর কোন টাকা নেই। এই নোট অচল নয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা দেখা দিলে স্থানীয়রা কয়েকবার বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। তবুও শ্রমিক জাবেদ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নোমানের প্রতি। সে তার সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ফরিদের দোকানে এসে বিষয়টি জানালে ফরিদ মিয়া ঘটনার সময় নোমান মিয়াকে তার দোকানের সামনে দেখা মাত্র ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আউশকান্দি ইউপি বিট অফিসার এস আই গৌতম দাশ, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ সহ উভয় পক্ষের শ্রমিক নেতাদের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উশৃঙ্খল শ্রমিকরা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে রহমান সুপার মার্কেটের জেবা রেস্তোরাঁ, ওয়ালটন শো"রোম, রাজু রেস্তোরাঁ, সরকারী ধান কাটার ২টি মেশিন, পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার আলাপ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, যদি কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।