আমেরিকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় শুরু, আমিরের  বক্তব্যে শেষ জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ সাংস্কৃতিক আবহে শুরু জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব রয়েল ওকের কোরওয়েল হাসপাতালে বোমার হুমকি : পুলিশের তদন্তে ভুয়া প্রমাণিত প্রাইড পতাকা নিষেধাজ্ঞা : হ্যামট্রাম্যাকের পক্ষে আদালতের রায় মিশিগানে ছাত্রীর প্রতি ‘রোমান্টিক আগ্রহে’ অধ্যাপক বরখাস্ত মিশিগানে কানাডিয়ান ট্রাক চালক কোকেনসহ গ্রেফতার ডেট্রয়েট মেট্রো বিমানবন্দরে মিশরীয় পঙ্গপাল জব্দ গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় বাড়ল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ডেট্রয়েটের সৈনিকের দেহাবশেষ শনাক্ত গাজায় প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে ডেট্রয়েটে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ ভুয়া সোশ্যাল অফিসারের খপ্পরে শেলবির নারী পাইপ ফেটে বন্যা, সাময়িকভাবে বন্ধ ওকল্যান্ড মল ওয়ারেনে বাড়ির ভেতরে দুই নারীর মরদেহ : পুলিশের তদন্ত শুরু মেট্রো ডেট্রয়েটের দিকে ধেয়ে আসছে বজ্রঝড় গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার কারফিউ গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত, কারফিউ জারি মেট্রো ডেট্রয়েটের গ্যাস স্টেশনের তাকজুড়ে ‘ক্র্যাটম’   এনার্জি ড্রিংকে মৃত ইঁদুর : মিশিগানে মনস্টার বেভারেজের বিরুদ্ধে মামলা শহরের আবাসিক এলাকায় স্বল্পমেয়াদী ভাড়া নিষিদ্ধ করল ডিয়ারবর্ন সিটি কাউন্সিল ডিয়ারবর্নে গুলির ঘটনায় মুক্তি পেলেন সন্দেহভাজন

একটি সাধারণ মেয়ের গল্প

  • আপলোড সময় : ১৮-০৬-২০২৩ ০১:৩৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৬-২০২৩ ০১:৩৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
একটি সাধারণ মেয়ের গল্প
আমার বয়স যখন মাত্র ষোল 
তখন আমার ইচ্ছে ছিল 
ফুলের মত ফুটে ওঠার
স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে কাব্য লেখার,
স্বপ্ন ছিল বধুবেশে একটু সাজার।
স্বপ্ন ছিল পাখির মত পাখনা মেলে
নীল আকাশে উড়ে উড়ে গান শোনাবার। 
স্বপ্ন ছিলো বাবার কাছে অকারণে 
বায়না ধরার।
ভাইয়ের সংগে যখন তখন অকারণে
ইচ্ছে মত ঝগড়া করে খেপিয়ে তোলার। 
কিন্তু কোথা থেকে কী যে হলো 
সব স্বপ্ন আমার গুড়িয়ে গেল। 
একদিন এক মিষ্টি ভোরে 
সূর্য উঠলো, কেমন যেন কষ্ট নিয়ে,
হঠাৎ করে বাবা এসে,  বললো 
চল মা, তোমায় লুকাতে হবে, 
আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে 
খারাপ লোকে। 
বড্ড বেশী খারাপ লোকে 
ঘিরে ফেলেছে। 
পাক বাহিনী ঘিরে ফেলেছে। 
তুই যে আমার লক্ষ্মী ওরে
তোকেই ঘিরে এইতো আমার জীবনটা যে।
আমি যদি না থাকি মা, 
তুই কিন্তু ভালো থাকিস
স্বপ্ন দেখিস, অনেক অনেক স্বপ্ন দেখিস,
নিজেকে তুই মুক্ত রাখিস।
বাড়ির মধ্যে খড়ের একটা পালা ছিল
বাবা আমায় যত্ন করে 
তারই মাঝে লুকিয়ে দিল
বাবার হাত দুটো তখন 
ভীষণ ভাবে কাঁপতে ছিল 
চোখ থেকে কী যেন এক অভিমানে
জল গড়াল। 
নিঝর ধারায় জল গড়াল। 
আমি কিছু বলার আগে, বোঝার আগে, 
এই সকালে
অমাবস্যার রাতের মতো 
জীবন আমার অন্ধকারে ভরে গেল।
বাবা আমায় লুকিয়ে দিয়ে 
ঘরের দিকে এগিয়ে গেল, 
তার পরে, কী যে হলো, 
আমার শান্ত শিষ্ট মিষ্টি  মা-টা 
যখন দৌড়ে পালাচ্ছিল 
ওরা তখন ধরে ফেলল, 
বাবা তখন কষ্ট পেল, ভীষণ ভীষণ কষ্ট পেল
মাকে বাবা বাঁচাতে  গেল
কিন্ত ওরা তো জন দশেক ছিল 
ওদের হাতে অস্ত্র ছিল 
বাবা অনেক অনেক চেষ্টা করলো
অনেক অনুনয় বিনয় করলো
তার পরে বাবা ক্ষেপে গেল,
অনেক অনেক ক্ষেপে গেল।
তখন ওরা, উর্দুতে কি যেন বললো
একজন বেনেট দিয়ে 
বাবার মাথায় আঘাত করলো
তার পরে কী যে হলো, 
পৃথিবীটা অন্ধকারে ছেয়ে গেল
অন্য একজন বন্দুক তুলে গুলি করলো।
আমার বাবা, আমার আদরের বাবাটা
আমার নির্ভরতার নির্ভয় স্থলটা, 
আমার অসীম আকাশটা
নিজেই মটিতে লুটিয়ে পড়লো। 
ইচ্ছে হলো দৌড়ে গিয়ে,  
বাবার মাথাটা বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরি, 
শেষ বারের মতো একটু খানি আদর করি
কিন্তু 
নিজের চুল নিজেই ছিড়লাম, 
শক্ত করে কান্নাটাকে থামিয়ে দিলাম।
আমার ছোট্ট ভাইটা, 
আমার বার বৎসরের সেই আদরটা
লুকিয়ে  দেখলাম,  অনেক কান্নায় 
বুক ভাসিয়ে,......পালিয়ে গেল।
আমাকে ওরা অনেক খুজলো
আমার চেনা একজন,  
ঐ আর্মিদের সংগে ছিল।
ওরা মাকে নিয়ে,... চলে গেল। 
কোথায় গেল? কেন গেল?
আমার অবুঝ মায়ের কি যে হবে…
জানিনা তো!
আমার সকল আকাশ 
অন্ধকারে ঢেকে গেল, 
সকল আলো জীবন  থেকে নিভে গেল
সকল স্বপ্ন অসীম কষ্টে প্রাণ হারাল।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
মিশিগানে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে কৃতজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ

মিশিগানে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে কৃতজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ