আমেরিকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুর্ঘটনা : ওয়েইন কাউন্টির স্লেজিং হিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মিশিগানের সর্বকালের তুষারপাতের  রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ক্যান্টন এবং ওয়েইনে পুলিশের অভিযান : মেথসহ ১ জন গ্রেফতার  ডেট্রয়েট ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৫টিরও বেশি গাড়ি চুরির অভিযোগ  ঝিনাইদহে শীর্ষ চরমপন্থি নেতা হানিফসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা ক্লিনটনে ডোনাট স্টোরের কর্মীর গুলিতে এক সশস্ত্র ডাকাত নিহত ম্যাকম্ব টাউনশিপে গ্যাস স্টেশনে ডাকাতি, ৫ জন গ্রেফতার গৌরব-প্রেরণার একুশ আজ জেনেসি কাউন্টির ডেপুটি বরখাস্ত হ্যাজেল পার্কে ইন্টারস্টেট ৭৫-এ দুর্ঘটনায় টেক্সাসের এক নারী নিহত বিক্ষোভের মধ্যেই ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি নোয়াখালীতে মাজারে হামলা-ভাঙচুর  মধ্যরাতে ঢাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২ সাউথফিল্ড হোটেলে কিশোর হত্যার তদন্ত থমকে গেল মিশিগানে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ড. শাহীন হাসান সাউথফিল্ড ফ্রিওয়েতে রোলওভার দুর্ঘটনায় চালকের মৃত্যু করের অর্থে ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দেন হ্যামট্রাম্যাকের মেয়র ও তিন কাউন্সিলম্যান টরেন্টো বিমানবন্দরে যাত্রীসহ উল্টে গেল ডেল্টা জেট, আহত ১৮ মিশিগানে কনজ্যুমারস এনার্জি প্ল্যান্টে আগুন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করছে স্টার্লিং হাইটস

মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস : সাত চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ১২

  • আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৩ ১১:০১:০৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৩ ১১:০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস : সাত চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ১২
সিআইডির সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। 

ঢাকা, ১৩ আগস্ট (ঢাকা পোস্ট) : মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এদের মধ্যে ৭ জনই হলেন চিকিৎসক। সিআইডি জানিয়েছে, ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ বার প্রশ্ন ফাঁস করেছে চক্রটি। আর এর মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল, ৪টি ল্যাপটপ, নগদ ২ লাখ ১১ হাজার টাকা, ১৫ হাজার একশ বিদেশি মুদ্রা থাই বাথ, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ও ভর্তির এডমিট কার্ড জব্দ করা হয়েছে। রোববার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, পাবলিক পরীক্ষা সামনে রেখে প্রশ্নফাঁস করার জন্য এক শ্রেণির চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চক্র নানা কায়দায় প্রশ্নফাঁস যেমন করে, তেমনি গুজব ছড়িয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করে। শিক্ষাখাতের ক্যানসার হিসেবে বিবেচিত এসব প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রকে নির্মূল করতে কাজ করছে পুলিশ।
তিনি বলেন, দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্নফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। ২০২০ সালে মিরপুর মডেল থানায় করা এক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে- বিগত প্রায় ১৬ বছরে হাজারো শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে চক্রের অন্তত ৮০ জন সক্রিয় সদস্য। প্রশ্নফাঁস করে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন এমন শতাধিক শিক্ষার্থীর নামও পেয়েছে সিআইডি। এর মধ্যে অনেকে পাশ করে ডাক্তারও হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও বরিশালে অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রটির ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ৭ জনই ডাক্তার। তাদের সবাই বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তি কোচিং-এ ক্লাস নেওয়া কিংবা প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্নফাঁস করতেন।
২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে অন্তত ১০ বার এই চক্র মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁস করেছে। গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দেওয়া বিপুল সংখ্যক ব্যাংকের চেক এবং এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথাও জানান তিনি।
প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়ার কাছ থেকে একটি গোপন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম রয়েছে। যেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।
সিআইডি প্রধান বলেন, ২০২০ সালের প্রশ্নফাঁসের একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের মূলহোতা জসীম উদ্দীন ও তার খালাতো ভাই মোহাম্মদ সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া জবানবন্দিতে এই ১২ জনের নাম উঠে আসে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ময়েজ উদ্দিন আহমেদ ও সোহেলী জামান দুজনই চিকিৎসক এবং স্বামী স্ত্রী। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় ছাত্র শিবিরে জড়ান ময়েজ উদ্দিন। তিনি চিহ্নিত শিবির নেতা। তার স্ত্রী এবং তিনি ফেইম নামক কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আরেক চিকিৎসক মো.আবু রায়হান কিশোরগঞ্জের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখেন। তিনি ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন। প্রাইমেট কোচিংয়ের মাধ্যমে ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়ান তিনি।

 সিআইডির এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার চিকিৎসক জেড এম সালেহীন শোভন (৪৮) এই চক্রের আরেক হোতা। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে থ্রি-ডক্টরস নামক কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত হন। গ্রেপ্তার আরেক চিকিৎসক মো. জোবাইদুর রহমান জনি (৩৮) মেডিকো ভর্তি কোচিং সেন্টারের মালিক। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রে তিনি জড়িত। 
সিআইডির দাবি, ডা. সালেহীন নামকরা বিভিন্ন ডাক্তারের সন্তানদের প্রশ্নফাঁস করে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছেন। আর জনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। গ্রেপ্তার অপর চিকিৎসক জিলুর হাসান রনি (৩৭) জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে (নিটোর) কর্মরত। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া বাকি ব্যক্তিদের বিষয়ে এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মুক্তার (৬৮) মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতা জসীমের বড় ভাই। তিনি নিজে আলাদা একটি চক্র চালাতেন। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে অবৈধভাবে শত শত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। গ্রেপ্তার রওশন আলী হিমু (৪৫) চক্রের হোতা জসীমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পুরোনো সহযোগী। রওশন আলী হিমু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার আক্তারুজ্জামান তুষার (৪৩) মেডিকেল প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের ঘনিষ্ঠ সহচর। ই-হক নামে কোচিং সেন্টার চালাতেন তিনি। 
সিআইডি কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার জহির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী (৪৫) মেডিকেল প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিমের পুরোনো সহচর। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি। প্রাইমেট, থ্রি ডক্টরসসহ বিভিন্ন মেডিকেল কোচিং সেন্টারে ফাঁস করা প্রশ্ন সরবরাহ করতেন তিনি। গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস সরকার (৬৩) টাঙ্গাইলের মিন্টু মেমোরিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে গেছেন। মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের হোতা জসীমের ঘনিষ্ঠ সহচর। ২০০৬ সালে মেয়ে কামরুন নাহার কলিকে ভর্তির মাধ্যমে এই চক্রে জড়ান তিনি। 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
ওরসকে কেন্দ্র করে মাধবপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের  সংঘর্ষে আহত ২০ 

ওরসকে কেন্দ্র করে মাধবপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের  সংঘর্ষে আহত ২০