আমেরিকা , শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকায় ডিএনসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত ফ্লেক্স-এন-গেট ডেট্রয়েটে বর্ণিল হলিডে পার্টি ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট : তফসিল ঘোষণা ভোটের ট্রেন ছাড়ছে সিলেটে মধ্যরাতে দুইবার ভূ-কম্পন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব মিশিগানে তুষারপাতের সম্ভাবনা ভোটের তফসিলের দ্বারপ্রান্তে ইসি, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক আজ মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যাকাণ্ড : গৃহকর্মী পলাতক ২৭ ডিসেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি, উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে সংকট : ক্লার্ক রানা ফারাজ আদালতের দ্বারস্থ গুলির শব্দে কেঁপে উঠল মুসকেগন, নিহত ২, আহত ৩ স্কুলে গণহত্যার হুমকি : যুবকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে গলা কেটে হত্যা, এলাকায় আতঙ্ক ৪০১ মিলিয়ন ডলারের উপহার, নতুন যুগে এমএসইউ অ্যাথলেটিক্স প্রাক্তন ন্যাশনাল হকি লিগ খেলোয়াড় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি জাতীয় অভিবাসন দমন অভিযান মিশিগানের শ্রেণীকক্ষে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্টার্লিং হাইটসে মানসিক সমস্যা থাকা সশস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ ডেট্রয়েটে গুলিতে  নিহত ১, আহত ১
কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস আজ

৫২ বছরেও মেলেনি ১২৭ শহীদের স্বীকৃতি 

  • আপলোড সময় : ১৮-০৯-২০২৩ ০২:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৯-২০২৩ ০২:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন
৫২ বছরেও মেলেনি ১২৭ শহীদের স্বীকৃতি 
লাখাই, (হবিগঞ্জ) ১৮ সেপ্টেম্বর : আজ ভয়াল ১৮ সেপ্টেম্বর, লাখাই উপজেলার কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস। হবিগঞ্জ জেলায় সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণহত্যা এটি। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজাকার ও আলবদরদের সহযোগিতায় ১২৭ জন নিরীহ মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের অন্তর্গত হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রাম কৃষ্ণপুর। ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা, যেখানে শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে এবং বর্ষা মৌসুমে নৌকায় চলাচল করতে হয়।
১৯৭১ সালে দেশব্যাপী নারকীয় গণহত্যা চললে পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রাণভয়ে আশ্রয় নেয় প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই গ্রামটিতে। কিন্তু এই খবর স্থানীয় রাজাকারদের মাধ্যমে পৌঁছে যায় অষ্টগ্রামের পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্পে।
১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে অমাবস্যার অন্ধকারের ন্যায় কালো ছায়া নেমে আসে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামটিতে। চারদিক থেকে পাকিস্তানী আর্মি ও রাজাকাররা ঘিরে ফেলে গ্রামটিকে। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ক্যাম্প থেকে ২টি স্পিডবোটে করে ১০-১৫ জন পাক সৈন্য সেখানে আসে। তাদের সাথে যোগ দেয় স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার মোড়াকরি গ্রামের লিয়াকত আলী, খেলু মিয়া, বাদশা মিয়া, কিশোরগঞ্জের আলবদর আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী (আমি আলবদর বলছি বইয়ের লেখক) লাল খাঁ, নাসিরনগর থানাধীন ফান্দাউকের আহাদ মিয়া, সন্তোষপুরের মোর্শেদ কামাল ওরফে শিশু মিয়াসহ প্রায় ৪০-৫০ জন রাজাকার, আলবদর। তাদের সহযোগিতায় নিরীহ ১৩১ জন হিন্দু ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে স্থানীয় কমলাময়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে। ১২৭ জন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা যান।
এদের মধ্যে হরিদাস রায়, প্রমোদ রায়, নবদ্বীপ রায় ও মন্টু রায় বুলেটের আঘাতে জর্জরিত হয়েও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। তবে তারা সারাজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন। গ্রামে আক্রমনের খবর পেয়ে যারা পুকুরে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন তারাই প্রাণে বেঁচেছিলেন।
ওইদিন নারীদের উপর নেমে এসেছিল অকথ্য নির্যাতন। রাজাকার আলবদররা পুরো গ্রামে লুটপাটের তা-ব চালায়। পরে রাজাকারদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে গ্রাম আগুন ধরিয়ে দে জ্বালিয়ে দেয় পাকিস্তানি সৈন্যরা। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা এ তান্ডবে পুরো গ্রাম কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়। রাজাকারদের ভয়ে একসঙ্গে ১২৭ জন লোকের সৎকারের ব্যবস্থা না করতে পেরে বলভদ্র নদীতে মৃতদেহগুলো ভাসিয়ে দেয়া হয়। কমলাময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৫ জন শহিদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক আজও সেই ভয়াল স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। বর্তমানে এখানে সরকারিভাবে বধ্যভূমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তিনজন শহীদের ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।
২০১০ সালে সালের ৪ মার্চ বেঁচে যাওয়া হরিদাস রায় হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিস্কৃত) ও ইউপি চেয়ারম্যান রাজাকার লিয়াকত আলীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ১২ আগস্ট মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রথম মামলা হিসেবে সিলেট বিভাগ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গৃহীত হয়। মামলার রায়ে রাজাকার লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে আনিত ৭টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু লিয়াকত আলী দেশের বাইরে পালিয়ে যায়।
শহিদ পরিবারের সন্তানসহ সকল জনগনের দাবি, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হোক এবং ১২৭ শহীদকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হোক । তাহলেই লাখাই তথা কৃষ্ণপুরবাসী কলঙ্কমুক্ত হবে এবং শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : টাইলস মিস্ত্রি যুবক গ্রেপ্তার

রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : টাইলস মিস্ত্রি যুবক গ্রেপ্তার