ওয়ারেন, ১৪ আগষ্ট : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে লকডাউন। মানুষজন চার দেয়ালে বন্দি জীবন যাপন করছে। লকডাউনের বন্দি সময় পার করতে অনেকে বাড়িতে ক্যারাম খেলছেন। কেউবা আবার টিভি দেখে সময় পার করছেন। কিন্তু সবুজপ্রেমী সেবুল চৌধুরী লকডাউনে বাড়ির চারপাশে রোপনকৃত ফলজ ও বনজ গাছের যত্নে বন্দি সময় অতিক্রম করেছেন। তিনি বাগান, সবুজ, গাছপালা ভালবাসেন। সেবুল চৌধুরীর ব্যাক ইয়ার্ডে ছোট্ট একটি শখের বাগান আছে। ইংলান্ড এর বার্মিংহাম ইন ব্লোম প্রতিযোগিতায় সেবুল চৌধুরীর বাগান টানা কয়েকবার চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তারপর সবুজপ্রেমী সেবুল চৌধুরী চিন্তা করলেন বাগানের একটি নাম দেয়া প্রয়োজন। অনেক চিন্তা ভাবনা করে নাম রেখেছিলেন “অমরাবতি”। ফুল, ফল কিংবা সবজি বাগানকে কেন্দ্র করে নামে, বেনামে, অনেক ফেসবুক পেইজ ছিল আছে এবং থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই । আজ থেকে দু’বছর পূর্বে সেবুল চৌধুরী ফেসবুকের বন্ধু যাঁরা বাগান বিলাসী সুলতানা রহমান এবং রওশন পলাশকে সাথে নিয়ে তিনি নিজের শখের বাগান “অমরাবতি” নামেই ফেসবুকে একটি পেইজ করেন। তিনটি ঝাউ গাছ দিয়ে সেবুল চৌধুরী অমরাবতি নামের শখের বাগানে বৃক্ষ রোপণের সূচনা করেছিলেন। এখন “অমরাবতি” হয়ে গেছে বাগান বিলাসিদের ঠিকানা । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৃক্ষ প্রেমিকরা বা বাগান প্রেমিকরা সবুজের সমারোহ গড়ে তুলতে একত্রিত হয়েছেন “অমরাবতি” নামক ফেসবুক পেইজে। অমরাবতি পেইজে প্রবেশ করলে মনে হয় এ যেনো একখন্ড বাংলাদেশ।বাংলাদেশ নামক এই অমরাবতি পেইজে কি নেই? লিলি, গোলাপ থেকে শুরু করে কচু, ডাটা, লালশাক, পুঁইশাক, রুজট, লেবু, ফিগ, অলিভ, প্লাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যতিক্রমধর্মী অনেক ঔষধি গাছের সমাহার। সেবুল চৌধুরীর ইচ্ছে অমরাবতি দেখে অন্য মানুষরাও অনুপ্রাণিত হোক। একে অপরকে দেখে বাড়ির চারপাশে ছাদে, ব্যালকনিতে গাছ লাগাতে আগ্রহী হোক। গাছ লাগালে চারিদিক অনেক সবুজ হবে। সবুজকে ছড়িয়ে দিতে সবাই এগিয়ে আসুক।
গত ১১ আগস্ট ছিল সবুজপ্রেমী সেবুল চৌধুরীর জন্মদিন। ১০ আগস্ট বাংলাদেশ সময় রাত বারোটা ইউ কে সময় সন্ধ্যা সাতটার সাথে সাথে ফেসবুকের অমরাবতি পেইজের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। সেবুল চৌধুরী অমরাবতি পেইজে লিখেছেন “আমার জন্মদিন উপলক্ষে আমার পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব যে বা যাঁরা ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কিংবা টেলিফোনের মাধ্যমে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন, কার্ড দিয়েছেন গিফট দিয়েছেন, আপনারা সবাইকে কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । সবাই আমার জন্য আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।”