আমেরিকা , রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ , ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘নো কিংস’-এর ডাকে উত্তাল মার্কিন মুলুক শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল ইসলাম হ্যামট্রাম্যাক প্রার্থীদের সঙ্গে বাংলা প্রেসক্লাব মিশিগানের প্রাণবন্ত মিট অ্যান্ড গ্রিট আগুনে স্তব্ধ শাহজালাল বিমানবন্দর, রাতেই আবার সচল আকাশপথ মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বাজেট কাটছাঁট মিশিগানের অটোয়া কাউন্টিতে আবারও বার্ড ফ্লু শনাক্ত ভার্জিনিয়ায় মুসলিম নারীকে লাঞ্ছনার অভিযোগে নর্থভিলের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার নির্বাচনী জালিয়াতি : বিচারের মুখে হ্যামট্রাম্যাক কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ হাসান  ইঙ্গাম কাউন্টিতে ছোট বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩ শুক্রবার সংসদে জুলাই সনদ সই, ড্রোন ওড়াতে নিষেধাজ্ঞা মিশিগান আসছেন জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান অবার্ন হিলসে সড়ক দুর্ঘটনায় ডেট্রয়েটের এক নারী নিহত মিশিগান রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগে প্রাক্তন কর্মকর্তার মামলা ক্যান্টন টাউনশিপে ছুরিকাঘাতে আহত ৩ : আত্মীয় গ্রেপ্তার সারা মিশিগানে ‘আরএক্স কিডস’ কর্মসূচি সম্প্রসারিত হচ্ছে পুলিশ স্টেশন ‘উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি : অভিযুক্ত লিভোনিয়ার বাসিন্দা মিশিগানে বাড়িতে গাড়ির ধাক্কা, বিছানা থেকে  উঠোনে ছিটকে পড়ে শিশু আহত পোর্ট হুরনে পেট্রোল পাম্পে গুলিবর্ষণে নিহত ১, নারী গ্রেপ্তার হবিগঞ্জে শিবির নেতা হত্যায় আমৃত্যু শফিকুল ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন মিশিগানে এক মঞ্চে বই, শিল্প ও সংগীতের মিলনমেলা

বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে?

  • আপলোড সময় : ১৬-১০-২০২৩ ১২:৩৮:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-১০-২০২৩ ১২:৩৮:৫১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে?
কলকাতা, ১৬ অক্টোবর : বাংলাদেশের অর্থনীতি রয়েছে সঠিক পথে। বড় কথা বলে ফেলল আইএমএফ। কিন্তু আদৌ কি তাই? বিষিয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। হাত পুড়ছে জিনিসের দামে। রিজার্ভে ধস, উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর খেলাপি ঋণের বোঝা বইছে দেশটা। রয়েছে বর্ডার লাইনে। ক্রস করলেই বড় বিপদ। নেমে আসবে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। বাঁচতে পারবে তো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? এই মুহূর্তে ঠিক কোন পথে চললে রেহাই পাবে বাংলাদেশের মানুষ?  
বাংলাদেশের অর্থনীতি একদম সঠিক পথে আছে, মিথ্যে রটনা করেছে অন্য দেশগুলো ? সত্যি ঘটনা কী? শিরোনামে এই  প্রতিবেদনটি আজ প্রকাশ করেছে ভারতের কলকাতার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল প্রথম কলকাতা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বারংবার বড় বড় হেডলাইনে ছাপা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি ধুঁকছে। ডলার ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। জর্জরিত খেলাপি ঋণে। বাজারে গিয়ে কি কিনবেন ভেবে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। সবকিছুরই আগুন দর। তাহলে কীভাবে অর্থনীতি ঠিক পথে রয়েছে? নাকি বাড়িয়ে বলছে আইএমএফ? আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) সংস্থার মতে, দেশটার কর্মসূচির উদ্দেশ্যে পূরণ থেকে শুরু করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা, কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার ক্ষেত্রে জোরকদমে কাজ করছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে কঠোর করেছে মুদ্রানীতি। নমনীয় করেছে বিনিময় হার। বৈশ্বিক সংকট শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, পোড়াচ্ছে ইন্দো পাসিফিক অঞ্চলের সব দেশকে।
এবার আসা যাক সেই গুরুত্বপূর্ণ কথায়। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঠিক কোন পথে রয়েছে? ভালো না খারাপ? কি মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা?।একটা কথা স্বীকার করতেই হয়, কুড়ি বছর আগে যে বাংলাদেশ ছিল এখন কিন্তু সেই বাংলাদেশ নেই। দেশটার অগ্রগতি থেকে প্রবৃদ্ধি, দেখছে গোটা বিশ্ব। ১৯৭৩ সালে দঁড়িয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এখন অতিক্রম করেছে প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন। একটা সময় দারিদ্র, ঘূর্ণিঝড় বন্যা থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল দেশটা। সেই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। গড়ে জিডিপি বাড়ছে ৪.৫% হারে। তাই তো বিশ্বের উন্নত বহু দেশের পত্রপত্রিকা থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ, অনেকে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আখ্যা দিয়েছেন মিরাকল হিসেবে। বাংলাদেশের মাটিতে পোশাক শিল্পের এত দ্রুত প্রসার কিন্তু অন্যান্য দেশে দেখা যায় না। হু হু করে বেড়েছে রপ্তানি আয়। গুরুত্ব পেয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। জিডিপিতে এই শিল্পের অবদান পৌঁছেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
তাই অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন হ্রাস, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তীব্র মন্দা সহ প্রচুর সমস্যা থাকলেও বহু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, আপাতত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড়সড় বিপর্যয়ের কোন আশঙ্কা নেই। কিন্তু সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সচেতন হতে হবে এখনই। হিসেব বলছে, বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা মূল্যবৃদ্ধি অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি, যা বিষিয়ে তুলেছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন। আর্থিক খাতে রয়েছে দুর্বলতা। ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আর বিদেশে অর্থ পাচার সহ বড় বড় সমস্যার মুখে। গত মার্চের শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকার, তিন মাসের ব্যবধানে তা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এশিয়ার মহাদেশে বাংলাদেশের মতো এত পরিমাণ অর্থ পাচার অন্যান্য দেশে হয় কিনা সন্দেহ আছে। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা।
প্রতিবছর পাচার হচ্ছে গড়ে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। দেশটার সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারপর থেকে সেই যে রিজার্ভ কমতে শুরু করেছে, কমেই যাচ্ছে। পাশাপাশি কমছে মাসিক রেমিট্যান্স। বর্তমানে রিজার্ভ আছে মাত্র ১৭ বিলিয়ন ডলার। আশঙ্কা, যদি রিজার্ভ ১০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, তাহলে বাংলাদেশকে দেখতে হতে পারে এক ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। তাই এখনো সময় আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু কাঁটায় কাঁটায়। বর্ডার লাইন পার হলেই মুশকিল। এমনটাই মনে করছেন, বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদরা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
প্রথম কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত আচার্য মিশিগান আসছেন ২০ অক্টোবর

প্রথম কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত আচার্য মিশিগান আসছেন ২০ অক্টোবর