আমেরিকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ , ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ম্যাকম্ব কাউন্টিতে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রথম মশার নমুনা সনাক্ত ডেট্রয়েটে নির্মাণস্থলে কংক্রিট মিক্সিং ট্রাকের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের তালিকায় নোভির ‘দাওয়াথ’সহ একাধিক রেস্তোরাঁ সাউথফিল্ডে কুড়ালের আঘাতে ব্যাংক কর্মী আহত, ডাকাত গ্রেপ্তার ডেট্রয়েটে কিশোরকে গুলি, তদন্তে ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ওয়েইন কাউন্টিতে কিশোর নিপীড়নের দায়ে নারী কর্মীর দণ্ড ২৮ বছর পর ডিএনএ প্রযুক্তিতে শনাক্ত বেঞ্জামিন ফাউন্টেনের দেহাবশেষ লেক সুপিরিয়রে ক্যানো দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হবিগঞ্জের বধূ জাকিয়া জাহান এখন যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি বিশেষজ্ঞ লেনাউই কাউন্টিতে লনমাওয়ার দুর্ঘটনায় ১ বছরের শিশুর প্রাণ গেল লিভিংস্টনে নির্মাণস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বছর বয়সী শ্রমিক সাগিনাউ ব্যাংকে জাল চেক ঘিরে জিম্মি পরিস্থিতি, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু মিশিগানে ড্রাগের অন্ধকার জগতে কারফেন্টানিল নামক নীরব ঘাতক পশ্চিম মিশিগানে ছোট বিমান দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত পূর্ব ডেট্রয়েটের শিল্প কারখানায় আগুন : নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল বিভাগ ডেট্রয়েটে বন্দুক সহিংসতা অব্যাহত : কিশোর নিহত, বোন গুরুতর আহত মেট্রো ডেট্রয়েটে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আজ পন্টিয়াকে শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনা : পিতা কারাগারে পন্টিয়াকে গাড়ি চুরির অভিযোগে ১২ বছর বয়সী এক কিশোর গ্রেপ্তার ডেট্রয়েটে ইন্টারস্টেট ৯৪-এ  দুটি গাড়ির  সংঘর্ষে যুবক নিহত

ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর!

  • আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৩ ১০:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৩ ১০:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন
ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর!
কলকাতা, ৫ নভেম্বর : নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশে বড় ধাক্কা। টালমাটাল অর্থনীতি। হুড়মুড়িয়ে কমছে উৎপাদন। মাথায় হাত ব্যসায়ীদের। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি কেন? রাজনৈতিক গন্ডগোলে ধামা চাপা পড়ছে আসল জিনিস। জিনিসপত্রের দামে বাড়ছে হা হুতাশ। নির্বাচনের গদি, নাকি অর্থনীতির রাশ, কোন দিকে সামাল দেবেন শেখ হাসিনা? সামনে দাঁড়িয়ে এক পাহাড় চ্যালেঞ্জ। সাবধান, আসছে বড় ঝড়। এখবর দিয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল প্রথম কলকাতা।
চলতি বছরে শুরুতেই আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিয়ে ছিল। উদ্দেশ্য ছিল, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখা। কিন্তু পেরেছে কি? উপরন্তু বিপাকে পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদন এবং পরিষেবা খাত যে চাপে রয়েছে তা আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব ব্যাংক। এই মুহূর্তে বৈদেশিক বাণিজ্যের গতি একদমই ভালো নয়। যার জেরে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম। দেশটার প্রায় ৯৩% সমুদ্রপণ্যের আমদানি রপ্তানি হয় এই বন্দর থেকে। যেখানে হু হু করে কমছে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সংখ্যা। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজের সংখ্যা কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। নেপথ্যের অন্যতম কারণ ডলার সংকট। চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র তুলে না দেওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। মরার উপর আবার খাঁড়ার ঘা। দেশটাতে তৈরি হয়েছে উদ্বেগজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি। উদ্বিগ্ন শিল্প খাতে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। ৩০ শতাংশের বেশি কমেছে ইস্পাত সিমেন্ট সহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার উৎপাদনের পরিমাণ। একদম ফাঁকা পড়ে রয়েছে বন্দরের বহু জেটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এভাবে উৎপাদন কমতে থাকলে বড় প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে। আরো বাড়বে বেকারত্বের সংখ্যা।
সোজা কথায়, নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশ সরকারের সামনে এক পাহাড় চ্যালেঞ্জ। সেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। এই দল টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় টিকে আছে। সমালোচনা যতই থাকুক না কেন, বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, প্রশংসা পেয়েছে দেশ-বিদেশে। বারংবার শেখ হাসিনা জোর গলায় বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। জনগণ সাথেই আছে। তাঁর দাবি, দেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে চলছে তীব্র ষড়যন্ত্র। এরই মাঝে বড় ধ্বস নামছে অর্থনীতিতে।
করোনা মহামারী থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে লেগেছে বড়সড় ধাক্কা। তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশটার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে পরিমাণ কাঁচামাল প্রয়োজন তার আমদানি হচ্ছে ৭৫ শতাংশ। বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে ঘটছে টাকার অবমূল্যায়ন। প্রয়োজন পড়ছে বেশি ক্যাপিটালের, অথচ সেই অনুযায়ী যোগান দিতে ব্যর্থ ব্যাংক গুলো। এফেক্টেড হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব লক্ষ্য পূরণের টার্গেট। আশঙ্কা, এতে আরো গভীর হবে অর্থনৈতিক সংকটের ক্ষত। রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত না হলে, এভাবেই বড়সড় প্রভাব পড়বে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে। ব্যাহত হবে আমদানি। এই মুহূর্তে দেশটার অর্থনীতি আর পরিষেবা খাতে বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। অর্থনীতিতে পলিসিগত পরিবর্তনের দরকার। কারণ দিনশেষে যদি কোন দেশের অর্থনীতি ঠিক না থাকে, তাহলে কিন্তু কিছুই ঠিক থাকবে না। শুধুই বাড়বে লোকসানের বোঝা। তাই রপ্তানি আয় না বাড়ালেই নয়। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারে একমাত্র বিনিয়োগ আর কর্মসংস্থান। সেই জায়গায় বাংলাদেশের এখন প্রয়োজন একটা স্থিতিশীল পরিবেশ। কিন্তু সেটা কি আদৌ আছে? গোটা দেশ যেন মেতেছে রাজনৈতিক কোলাহলে, ভ্রুক্ষেপ নেই অর্থনীতির দিকে। আর মার খাচ্ছে আমজনতা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ
ওয়ারেন পুলিশ ১৭৫ গ্যালন অ্যান্টিফ্রিজ রাস্তায় ফেলেছে এমন গাড়িকে খুঁজছে

ওয়ারেন পুলিশ ১৭৫ গ্যালন অ্যান্টিফ্রিজ রাস্তায় ফেলেছে এমন গাড়িকে খুঁজছে