আমেরিকা , শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গুলিবিদ্ধ  হাদিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ ঢাকায় ডিএনসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত ফ্লেক্স-এন-গেট ডেট্রয়েটে বর্ণিল হলিডে পার্টি ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট : তফসিল ঘোষণা ভোটের ট্রেন ছাড়ছে সিলেটে মধ্যরাতে দুইবার ভূ-কম্পন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব মিশিগানে তুষারপাতের সম্ভাবনা ভোটের তফসিলের দ্বারপ্রান্তে ইসি, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক আজ মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যাকাণ্ড : গৃহকর্মী পলাতক ২৭ ডিসেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি, উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে সংকট : ক্লার্ক রানা ফারাজ আদালতের দ্বারস্থ গুলির শব্দে কেঁপে উঠল মুসকেগন, নিহত ২, আহত ৩ স্কুলে গণহত্যার হুমকি : যুবকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে গলা কেটে হত্যা, এলাকায় আতঙ্ক ৪০১ মিলিয়ন ডলারের উপহার, নতুন যুগে এমএসইউ অ্যাথলেটিক্স প্রাক্তন ন্যাশনাল হকি লিগ খেলোয়াড় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি জাতীয় অভিবাসন দমন অভিযান মিশিগানের শ্রেণীকক্ষে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে হাঁসফাঁস অবস্থা

যে অর্থনীতি নিয়ে শেখ হাসিনার এতো গর্ব, তাতেই তো ধ্বস!

  • আপলোড সময় : ১৮-১১-২০২৩ ০২:৩১:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-১১-২০২৩ ০২:৩১:৪০ অপরাহ্ন
যে অর্থনীতি নিয়ে শেখ হাসিনার এতো গর্ব, তাতেই তো ধ্বস!
কলকাতা, ১৮ নভেম্বর : যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, জুজুর ভয়। পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। ওদিকে হাল ছাড়েনি বিএনপিও। কি হবে শেষমেষ? হরতাল অবরোধে অস্থির বাংলাদেশের রাজনীতি। ধ্বস নামবে অর্থনীতিতে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। ভয় পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কি হতে চলেছে বাংলাদেশের সঙ্গে? হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে হাঁসফাঁস অবস্থা। আর কতদিন এভাবে সহ্য করবে? বড় লস করে ফেলবে না তো দেশটা?
বিরোধী দলগুলোর লাগাতার অবরোধ আন্দোলন হরতালকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ সরকার তফসিল ঘোষণা করেছে। জাতীয় পার্টির নেতাদের আশঙ্কা, একতরফা ভোট হলে নতুন করে আসতে পারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু প্রশ্ন হল, নিষেধাজ্ঞাকে কি আওয়ামী লীগ আদৌ ভয় পায়? আদৌ গুরুত্ব দেয়? এর আগেও বারংবার এসব নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়মী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা।
দেশটার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, এসব নিষেধাজ্ঞাকে দেগে দিয়েছেন জুজুর ভয় বলে। আওয়ামী লীগের কথায়, তাদের আত্মবিশ্বাস আছে। নির্বাচন হবে তফসিল অনুযায়ী। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে। বরং এই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যদি কেউ বাধা দিতে আসে, তাদের শাস্তি হবে। বিদেশীরা কে কি বলল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশের মানুষ কি চায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর বারংবার কথা বলেছে। পৌঁছে গিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, সাম্প্রতিক গাজায় যে এত মানুষ মারা যাচ্ছে সেই বিষয়টি কেন তারা দেখছে না? অথচ তারা তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। আসলে এখানে জাতিসংঘ ঘুমাচ্ছে। জাতিসংঘের অবস্থান দ্বিমুখী। যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশের এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতির হালহাকিকত হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে আমজনতা। ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো। বাংলাদেশের সবজি মাছ বাজারে গেলে শুনতে পাবেন ক্রেতাদের হা-হুতাশ। এমনিতেই বৈশ্বিক মন্দাসহ ডলারের তীব্র সংকটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটু ভাঙ্গন ধরেছে। তার উপর জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়ছে চরম উত্তেজনা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি অস্থিরতা আরো বাড়ে তাহলে অর্থনীতিতে ধস কেউ আটকাতে পারবে না। অর্থনীতির দুঃসময়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আসতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে হবে, কিভাবে দেশটাকে বাঁচানো যায়। বিষয়টা কিন্তু এখানেই আটকে নেই। এর আগেও বেশ কয়েকবার নির্বাচনে ঝামেলা হয়েছিল। এবারেও যদি ঝামেলা হয়, তাহলে বিদেশী রাষ্ট্র গুলো কেন মানবে বলুন তো? স্বাভাবিক ভাবেই, অর্থনীতির পাশাপাশি কোপ পড়বে বৈদেশিক এবং সামাজিক খাতে। ইতিমধ্যে বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত দেশটার শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। খুব দ্রুত নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংস কর্মসূচি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। যে কোনো দেশেরই জাতীয় রাজনীতি আর অর্থনীতি একই মেরুর দুই প্রান্ত। একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। সহিংস কর্মসূচিতে ধাক্কা খাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে গণপরিবহন।
করোনা মহামারী, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম অনেকটা বেশি। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে আনতেই বাংলাদেশের এমন অবস্থা। নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতি। তাই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রাশ না টানলেই নয়। না হলে দেশটা বিনিয়োগ বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে। যার টানে টানে কমবে কর্মসংস্থান। ক্ষতি হবে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে। আপনিও কি ঠিক একই ভয় পাচ্ছেন? রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটা বড় বিপদে পড়বে না তো?
সৌজন্যে প্রথম কলকাতা


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের নতুন কমিটির প্রথম কার্যকরী সভা অনুষ্ঠিত

জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের নতুন কমিটির প্রথম কার্যকরী সভা অনুষ্ঠিত