নবীগঞ্জ, ৩০ নভেম্বর : হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র বিদ্রোহী দুই জনসহ মোট ৫ জন প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগের সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী ও মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান এমপির সহোদর ও পিএস মোহাম্মদ শাহেদ গাজী।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীরা। এসময় অফিসের বাহিরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পাটির প্রার্থীরা বিশাল শো-ডাউন করেন।
দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপের হাতে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী।
বিকেলে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি এম,এ মুনিম চৌধুরী বাবু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও বর্তমান এমপির পিএস মোহাম্মদ শাহেদ গাজী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। অন্যদিকে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমার হাতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া। ঢাকায় অবস্থান করে অনলাইনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মইনুর রশীদ চৌধুরী নামের একজন।
মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবলে পাঠিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা উপহার দিতে চাই। যারা আমাদের দলের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারা দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন। আর না হয় দল থেকে বহিঃস্কার হতে হবে।
জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু বলেন, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে এখন কোনো জোট হয়নি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি একক ভাবে অংশগ্রহণ করছে, আমি ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হয়ে এই আসনে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ অনেক উন্নয়ন করেছি, আশা করছি মানুষ লাঙল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন।
তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মইনুর রশীদ চৌধুরী
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ শাহেদ গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থী হতে উৎসাহ দেয়ায় আমি প্রার্থী হয়েছি, দলের সিদ্ধান্ত যদি পরিবর্তন হয় এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশনা আসে অবশ্যই আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে কাজ করবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী হয়ে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan