উল্লেখ্য, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে এই তিথিতেই অর্জুনকে গীতার জ্ঞান দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। গীতার মাধ্যমে ব্যক্তিকে জীবনে সাফল্যের পথ দেখিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ। হিন্দু ধর্মে বেদ-পুরাণের মতোই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে ভাগবত গীতা। ভাগবত গীতার আক্ষরিক অর্থ হলো “পরমেশ্বরের গান”। এটি বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত বৈদিক শাস্ত্র। এ শাস্ত্রকে বৈদিক জ্ঞানের সারমর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রচলিত ধারণা অনুসারে এই বিশেষ তিথিতে ভাগবত গীতা পাঠ করলে কিংবা গীতা পাঠ শুনলে পূণ্য লাভ করা সম্ভব।এছাড়া গীতা দানের মাধ্যমেও পূণ্য অর্জন সম্ভব ।

আজ শুক্রবার ছিল গীতা জয়ন্তী। নিউ জার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে গীতা জয়ন্তীতে ভক্তরা সারাদিনব্যাপী শ্রীকৃষ্ণর আরাধনা করেন, তুলসী মালা জপেন, সঙ্গে পাঠ করেন হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ভাগবত গীতা। এছাড়া কৃষ্ণ ভক্তদের অনেকেই গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে গীতা দান করেন। গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে ওইদিন সন্ধ্যায় আটলান্টিক সিটির ১৪১১, পেনরোজ এভিনিউর প্রার্থনা হলে কৃষ্ণভক্তদের উদ্যোগে
অনুষ্ঠিত ধর্মসভার বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল পবিত্র গীতার সাতশত শ্লোক পাঠ, সমবেত প্রার্থনা, ভজন, কীর্তন ইত্যাদি।

ধর্মসভায় পশ্চিম ভার্জিনিয়াস্থ নতুন বৃন্দাবনের ব্রম্মচারি শুভানন্দ দাস উপস্থিত থেকে কৃষ্ণভক্তদের কৃতার্থ করেন এবং গীতা জয়ন্তীর তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ ভাগবত গীতার কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি মানুষকে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। নিষ্কাম কর্ম এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উওরনের জন্য গীতা শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
তিনি আরো বলেন,মানব জীবনের সমগ্র সারকথা গীতায় বলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কর্ম যোগ, জ্ঞান যোগ, ভক্তি যোগের শিক্ষা।যারা প্রতিদিন গীতা পাঠ করেন এবং তাদের জীবনে গীতায় দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ করেন তারা মোক্ষ লাভ করেন। গীতায় বলা বিষয়গুলো মানুষকে মায়ার ফাঁদ থেকে সরিয়ে সফলতার পথে নিয়ে যায়।

শুভানন্দ দাস বলেন, গীতা একজন ব্যক্তির চিন্তায় শুদ্ধি আনে, গীতার শিক্ষায় এত শক্তি রয়েছে যে, যে ব্যক্তি এটি অনুসরণ করে সে ভালো এবং খারাপের পার্থক্য বুঝতে পারে। গীতার শ্লোকে জীবন যাপনের অপূর্ব শিক্ষা শেখানো হয়েছে। এই দিনে গীতা পাঠ করলে শ্রীকৃষ্ণের কৃপা পাওয়া যায়।

কৃষ্ণভক্ত কেশব দাশ, সুমন মজুমদার, তৃপ্তি সরকার, আন্না মিত্র, দীপংকর মিত্র, গংগা সাহা, সজল চক্রবর্তী, মেরি দে, দীপা দে জয়া, উওম দাশ, সুনীল সরকার, রীতা চৌধুরী, শ্যামলী কর্মকার, জয়দেব কর্মকার, সুপ্রীতি দে, বিউটি দাশ, রানা দাশ, শুক্লা পাল, সুনীল সরকার, সুমি মজুমদার, সনজয় দাশ, ধীমান পাল, সেনটু সরকার, সুস্মিতা সাহা প্রমুখ ধর্মসভার বিভিন্ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন। ধর্মসভায় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।