মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) ২৩ ফেব্রুয়ারি : মাধবপুরে নির্মানের একযুগেও একটি সড়ক সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষণ না করায় ইট সুরকি পিচ উঠে স্থানে স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সীমান্তরক্ষী সহ ১০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে বাধ্য হয়েই ভাঙ্গাচোরা অযোগ্য সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
রাজনগর গ্রামের স্কুলশিক্ষক ইসকান্দর মীর্জা ফারুক মাষ্টার জানান, চৌমুহনী বাজার থেকে জয়পুর মসজিদ বাজারের (বড়জ্বালা মোড়) এই রাস্তাটি প্রায় ১ যুগ পূর্বে নির্মাণ করে স্থানীয় এলজিইডি। সে সময় কাচা রাস্তার প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করা হলেও এক যুগেও কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। গোটা সড়কজুড়ে স্থানে স্থানে গর্ত ও ভাঙ্গাচোরা। বর্ষার মৌসূমে পথচারিদের অবর্ণনীয় কষ্ট পোহাতে হয়।
বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে একটি গাড়ি আরেকটিকে অতিক্রম করতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান এঅঞ্চলে জেলার মধ্যে বেশী সব্জি উৎপাদন হয়। কৃষকরা উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য চৌমুহনী বাজারসহ উপজেলা সদরের হাটবাজারে নিতে হয়। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভ্যানচালকেরা যেতে চান না। ভ্যানচালকেরা গেলেও এ জন্য অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে করে কৃষরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বড়জ্বালা সীমান্ত ফাঁড়ির কয়েকজন বিজিবি সদস্য বলেন, তাদের সীমান্ত ফাঁড়িতে যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। সড়কের বেহাল দশার কারণে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, সীমান্তবর্তী, সড়কটি ভৌগলিক কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা শহরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় রাজনগর, জয়পুর, গাজীপুর, কালিকৃষ্ণনগর, হরিণখোলা, নয়নপুর, শাহজালালপুর, সহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। সড়কটির নাজুক অবস্থার বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এল জিইডির মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। প্রকল্পের অনুমোদন পেলে সড়কটি দ্রুতই সংস্কার কাজ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan