সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে রাষ্ট্রদূত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (কর্মাস) মোঃ সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মোঃ ফজলে রাব্বি ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে একজন আপোষহীন ও নির্ভীক নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মহান নেতার জীবন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে জাতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এবং বিশ্বে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মই হবে প্রধান চালিকা শক্তি। রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি স্বাধীনতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর মহান আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন। জাতীয় শিশু দিবস প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইমরান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন আলোচনায় অংশ নেন এবং জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পূনর্গঠনে তার অসামান্য অবদানের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
পরবর্তীতে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটেন এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। দূতাবাসের এই দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।