হবিগঞ্জ, ২৩ মার্চ : হবিগঞ্জে শিল্পায়নে পানিদূষণ পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার। জেলার মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন তারা। এসময় সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শনিবার ২৩ মার্চ দুপুরে ছাতিয়াইন ইউনিয়নের খড়কির গাং ও ছাতিয়াইন খাল এর পাশে গুপলপুর এলাকায় মতবিনিময় সভায় খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও ‘ হাওর রক্ষায় আমরা’ এর সমন্বয়কারী তোফাজ্জল সোহেল সভাপতিত্ব করেন। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মো:ইকরামুল ওয়াদুদ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরী ও সাংবাদিক আব্দুল হালিম।
পরিবেশকর্মী আব্দুল কাইয়ুম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য ফজলুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার আজহারুল হোসেন বাবুল, ছাতিয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আশিক মিয়া, পরিবেশকর্মী শামীম আহমেদ, ইমাম মির্জা মোজাম্মেল, ব্যবসায়ী নুরুদ্দিন আহমেদ, উন্নয়নকর্মী চাঁদ সুলতানা চৌধুরী শাবানা, এখলাছুর রহমান, কামাল মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কলকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে সাম্প্রতিককালে ছাতিয়াইন খাল চরম ভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধের জন্য বাড়ি ঘরে থাকা যায় না। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। খালটিতে দূষিত কালো রঙের বর্জ্য এর স্তর খুব গাঢ় হয়ে আছে। একসময় এই খালের উপর নির্ভরশীল ছিল এলাকার কৃষক। এখন কৃষিকাজসহ পানি ব্যবহারকারীরা পরেছেন মারাত্মক বিপাকে। ছাতিয়াইন খালের দূষণ খড়কির গাঙ হয়ে এক অংশ তিতাস এবং ওপর অংশ খাস্টি নদী ও মেঘনা হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, কলকারখানার উৎসে বর্জ্য পরিশোধন বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই এলাকায় তা অনুপস্থিত। আমরা হবিগঞ্জ অঞ্চলের বিশেষ করে মাধবপুর শায়েস্তাগঞ্জ এবং সদরের কলকারখানার দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচানোর কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখছিনা। পরিবেশ আইনসহ দেশের সকল আইন অমান্য করে কলকারখানাগুলো অপরিশোধিত বর্জ্য নিক্ষেপ করছে নদীসহ আশপাশের জলাশয় ও কৃষি জমিতে। মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণে মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan