আমেরিকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মেট্রো ডেট্রয়েটে মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই নারী অভিযুক্ত শেলবি টাউনশিপে পুলিশের গুলিতে ট্রয় বাসিন্দার মৃত্যু মিশিগান রাজ্যে ALS কেস রিপোর্ট করা এখন বাধ্যতামূলক ডেট্রয়েটে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় চালকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড ফ্লিন্ট সিটি কাউন্সিল বৈঠকে বিশৃঙ্খলা, দর্শকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি ওয়াটারফোর্ডের ডোমিনো’স পিৎজার বিরুদ্ধে ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের বাতিল করা ছাত্র ভিসা ফিরে পেলেন চার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সিটি ম্যানেজারের স্থগিতাদেশ ঘিরে হ্যামট্রাম্যাক কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মামলা ডেট্রয়েটে গ্রীষ্মের উষ্ণতা ও বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা, তারপর ফের শীতলতা মিশিগানে স্কুল মনোবিজ্ঞানীর তীব্র  ঘাটতি, মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় সংকট প্রতিবাদের নামে পিওনি ধ্বংস : ফিলিস্তিনি বার্তা উদ্ধার ইউএম ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের বাজারে নতুন ডিজাইনের ছয়টি নতুন নোট  বড় জয় : জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পেলো ম্যাডিসন হাইটসে সশস্ত্র ব্যারিকেড, পুলিশ অভিযানে গ্রেপ্তার ক্রুজ ভ্রমণে জেগে উঠছে ম্যাকিনাক দ্বীপ অবৈধ ভোট দিয়ে মিশিগান থেকে পালিয়ে গেলেন, চীনা ছাত্র সেন্টার লাইনে স্বাধীনতা উৎসব ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বিদেশে বসে বিএনপির বিরুদ্ধে বদনাম করছেন ড. ইউনূস : মির্জা আব্বাস কানাডার দাবানলে মিশিগানে বায়ুর মানের অবনতি, সতর্কতা জারি সময়ে এগোচ্ছে আই-৬৯৬ নির্মাণ কাজ
সোহেল চৌধুরী হত্যা

আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন, ৬ জন খালাস

  • আপলোড সময় : ০৯-০৫-২০২৪ ০৫:০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৫-২০২৪ ০৫:০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন, ৬ জন খালাস
ঢাকা, ৯ মে (ঢাকা পোস্ট) : ২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন।  
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার আজ দিন ধার্য করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
বিচারক রায়ে বলেন, এ মামলার সিডি (কেইস ডকেট) পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় সিডি গায়েব করা হয়েছে। আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়েন। তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন তবে তা অনেকটা গাঁ বাঁচিয়ে দেওয়ার মতো। সোহেল চৌধুরী কোনও অখ্যাত ব্যাক্তি ছিলেন না অথচ তিনি খুন হলেন। ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার বলেছেন জেনেছি সোহেল চৌধুরী নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অথচ এ ঘটনায় আহত অপর একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। যারা পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের অনেকেই মারা গেছেন তাই তাদের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। জবানবন্দি গ্রহণ করা ম্যাজিস্ট্রেটরাও আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারাও পক্ষপাতদুষ্ট ও সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন। 
তিনি বলেন, এত বছর ধরে মামলার বিচার না হওয়ায় মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রভাব পড়ে। প্রতিটি মৃতের আত্মা বিচার চায়। আদনান সিদ্দিকী কয়েকজনের নাম বলেছেন নিজের গাঁ বাঁচিয়ে। যে নিজের গাঁ বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে সে অন্যের নামও অসত্য বলতে পারে। তবে যাদের নাম বলেছে তাদের কাছ থেকে কোনো রিকোভারি হয় নাই। তারা যে সেখানে ছিল সেটা বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও যাদের নাম বলেছে আদনান সিদ্দিকী তাদের মধ্যে একজনও যদি সেখানে না থাকে বা একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে থাকে তাহলে তার ভাষ্য অনুযায়ী আসামিদের গুরুদণ্ড দেওয়া ঠিক হবে না। 
এছাড়া আসামি আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাপ্ত সাক্ষ্য পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। বান্টির বক্তব্যে ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরীর নাম এলেও ঘটনাস্থলে তাদের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়নি বিধায় তাদের খালাস দেওয়া হলো। 
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।
মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
নিউইয়র্কে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে প্রকৃতি’র হৃদয়ছোঁয়া আয়োজন

নিউইয়র্কে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে প্রকৃতি’র হৃদয়ছোঁয়া আয়োজন