জন্মদিন উপলক্ষে ছিল গান, নৃত্য ও মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা। অনুষ্ঠানে একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন অশ্মি, নেহি, কর্ণা, মৃত্তিকা, রিয়া, কুয়াশা, কৃষ্টি, সুষমা, অদিতি, হৃষিকা, জেসিকা,স্বর্ণিকা, অম্বিকা, অনুস্কা, চন্দনা, আনিকা, প্রতুষা, মৌমিতা, অনন্যা, মৌ, গুনগুন, নেতু, স্নেহা, শ্রুতি এবং শ্রদ্ধা। গান পরিবেশন করেন পৃথা দেব ও অমৃতা। বায়োলিন বাজিয়ে শুনান মেঘা চৌধুরী। সবশেষে মা-বাবা ও উপস্থিত সুুধীজনদের সাথে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন রিয়া।

আমেরিকায় মেয়েদের জন্য সুইট সিক্সটিন জন্মদিনটি অত্যন্ত গুরুপূর্ণ। ষোড়শী কন্যার জন্মদিনটি পালিত হয় বড়ই ধুমধামে। কেন এর নাম সুইট সিক্সটিন? আর কেনই বা এই বয়সটি এতটা গুরুত্বপূর্ণ? নিশ্চয়ই বড় কোনো কারণ রয়েছে। নইলে সুইট সিক্সটিন নিয়ে এতটা তোলপাড় হওয়ার কথা নয়। আমেরিকাতে এই বয়সটি ষোড়শীর বয়োসন্ধি থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃত। তাছাড়া ১৬ বছর বয়সে একটি মেয়ে তার পরিপূর্ণ দৈহিক গঠন এবং সৌন্দর্য অর্জন করে।
তার মধ্যে নারীত্বের সাড়া জাগে। এ সময় থেকেই মেয়েরা তার সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার চেষ্টা করে। তার মানে সে বড় হয়েছে। তাই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ষোড়শীর পরিবার সুইট সিক্সটিন জন্মদিনেই বড় হিসেবে তাকে সমাজের কাছে উপস্থাপন করে। অভিনন্দন জানায়। তবে মূল কারণ কিন্তু নারীকে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করা।
তাইতো এই ঢাকঢোল পেটানো। পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু, সমাজ এবং রাষ্ট্র সবাই দেখ সে বড় হয়েছে। তার আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সময় এসে গেছে। তাকে তার অধিকার আদায়ে সহযোগিতা করো।