সিলেট, ১৯ জুন : কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বম্ভরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। যার ফলে বিশ্বম্ভরপুর থানার ২নং পলাশ ইউপির- ধরেরপাড়, বসন্তপুর, পদ্মনগর, কাচিরগাতি, ৩নং ধনপুর ইউপির-চান্দারগাঁও, মহেন্দ্রনগর, ৪নং বাদাঘাট দক্ষিন ইউপির-শ্রীধরপুর, গন্ডামারা (মুজিবপল্লি), বাঘমারা (মুজিবপল্লি), ধরেরকান্দা, শক্তিয়ারখলা, ছত্রিশ গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া ৫নং ফতেপুর ইউপির বিভিন্ন গ্রাম বর্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থতি মোকাবেলায় থানা অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিকের নেতৃত্বে বিশ্বম্ভরপুর থানার সকল অফিসার ও ফোর্স ০২(দুই) টি টিমে বিভক্ত হয়ে উদ্ধার ও ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
শ্যামল বনিক নেতৃত্বে উক্ত টিমদ্বয়ের মাধ্যমে ধরেরপার গ্রামের বন্যার্ত ১০টি পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্র পৌছানো হয়। এছাড়া দূর্গাপুর গ্রামের ০৫টি পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া পরিবারদের মধ্যে দুপুরের খাবারের জন্য চিকেন বিরিয়ানী বিতরন করা হয়। বিশ্বম্ভরপুর থানার সামনের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মালামাল উদ্ধার করে সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়।
অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক পানিবন্দী একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগিকে মমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উনার সরকারী পুলিশ গাড়িযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং রোগীর সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। আশ্রয় কেন্দ্রের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য তার নির্দেশে প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্র ০১জন করে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাছাড়া বন্যাকালীন সময় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেক্ষেত্রে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফুট পেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল ডিউটির সাথে সাথে নৌ-পেট্রোল ডিউটি চালু রয়েছে বলে জানা যায়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan