সম্মেলনটি শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে উদ্বোধন করেন সংগঠনের সদস্য সচিব সৈয়দ কামরুল আহসান। অনুষ্ঠানে দেশের সমস্ত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম।
তিনি সাংবাদিকদের, আমন্ত্রিত কর্পোরেট হাউস, সম্ভাব্য স্পন্সর এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “১৯৮০ সালের পর থেকে এলোমেলোভাবে এই পেশা একটু একটু করে এগিয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ এই পেশার সাথে জড়িত। প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এই সেক্টরে। বাংলাদেশের অনেক ডিজাইনার আন্তর্জাতিক মানের কাজ করলেও, তারা কাজের কোনো স্বীকৃতি পাচ্ছে না। তাই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দেশের সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সামনে আনতে চাই এবং তাদের স্বীকৃতি দিতে, দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং সমাজে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে কাজ করছি।”

সংগঠনটি জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর চলমান থাকবে। বিস্তারিত জানার জন্য www.idabaward.com ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। অংশগ্রহণের জন্য ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে। ওয়েবসাইটে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। প্রজেক্টে কোনো রকম ওয়াটারমার্ক বা লোগো থাকা যাবে না। নকশার প্রভাব, সৃজনশীলতা থেকে দেশীয় ঐতিহ্য লালন, পরিবেশগত মূল্যবোধ এবং রং-এর গুণগত ব্যবহারকে বিচার মানদন্ড হিসেবে ধরা হবে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট পুরস্কারের মূল্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য যে, কোনো ফি ছাড়াই যে কোনো পেশাগত বাংলাদেশী ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, আর্কিটেক্ট বা সরকারী লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন শফিউল ইসলাম। তিনি জানান, বিজয়ী প্রজেক্টগুলো এশিয়া প্যাসিফিক স্পেস ডিজাইনার এসোসিয়েশনের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। এছাড়াও, অনুষ্ঠানটির সমস্ত তথ্য ফেসবুক পেজ www.facebook.com/idabaward থেকেও পাওয়া যাবে।