সিলেট, ৮ আগস্ট : পূণ্যভূমি সিলেটে রোদে পুড়ে কেউ রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করছেন কেউবা যানজট নিরসন। তবে এরা কেউই পরিচ্ছন্নকর্মী বা ট্রাফিক পুলিশ নন। তারা বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী। যারা মহানগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে এবং সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিতে কাজ করছেন এই তারুণ্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এই দৃশ্য দেখা গেছে সিলেটের প্রধান সড়কগুলোতে। এদিকে শিক্ষার্থীদের এ কার্যক্রম দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন সাধারণ লোকজন।
গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সারাদেশে বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও ট্রাফিকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আনসার ব্যাটেলিয়ানকে। এরপর ধেকে সিলেটের বিভিন্ন সড়কের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনে কাজ করতে দেখা গেছে আনসার সদস্যদের। আনসারদের সহযোগীতায় রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশের মতো রাস্তায় নেমে আসে সিলেটের সাধারণ মানুষও। এরপর অনেকটা ভেঙে পড়ে সিলেট মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা। রাস্তা ও ফুটপাতে জমে থাকে ময়লা আর্বজনার স্তুপ। সড়কেও দেখা যায়নি ট্রাফিক পুলিশ। এমনিক সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীও দেখা মিলেনি কোথাও।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গেছে, স্বেচ্ছায় তারা ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নকর্মীরও দায়িত্ব পালন করছেন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের টুকরা, অর্ধপোড়া কাঠ-টায়ার সরিয়ে দেন। যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের খালি প্যাকেটসহ নানা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করেন শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী ঝাড়ু হাতে রাস্তা ও ফুটপাত পরিস্কার করছেন।
মহানগরীর জিতুমিয়ার পয়েন্ট, আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, রিকাবীবাজার, নয়াসড়ক, সোবহানীঘাট, উপশহর, মদিনা মার্কেট সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে ছাত্ররা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। কারো রাস্তা পার হতে সমস্যা হলে গাড়ি থামিয়ে পারও করে দেন।
জিন্দাবাজার এলাকায় অনেক মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট না থাকলে পরবর্তীতে হেলমেট পরার পরামর্শ দেন কিছু নারী শিক্ষার্থী। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও পরিস্কার করেন কিছু শিক্ষার্থী।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan