আমেরিকা , সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্যাট্রিজ ক্রিক মলে বৃক্ষ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে গুলিবর্ষণ, আহত ১ উৎসবের আলোয় জেগে উঠল ডেট্রয়েটের হৃদয় মিশিগানে থ্যাঙ্কসগিভিং ভ্রমণ ইতিহাস গড়তে চলেছে বাংলাদেশে আবারও ভূমিকম্প গ্রোভস হাই স্কুলে সম্ভাব্য হুমকি, তদন্ত চলছে হ্যামট্রাম্যাক মেয়র নির্বাচন : ছয় ভোটের লড়াই, পুনর্গণনা চান মাহমুদ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ : পুরান ঢাকায় ভবন ধসে তিনজনের মৃত্যু ডিয়ারবর্নে বিক্ষোভ : তিনজন গ্রেপ্তার, পুলিশের শান্ত প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডিয়ারবর্নে এফবিআই অভিযানে দুইজন আটক হ্যামট্রাম্যাকের নতুন মেয়র আলহারাবী সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলা পন্টিয়াকে অ্যামাজনের ড্রোন ডেলিভারি চালু কমার্স টাউনশিপে রেস্তোরাঁর বাইরে গুলিতে নিহত ম্যানেজার; সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে হত্যা  হ্যামট্রাম্যাক নির্বাচন : বিতর্কিত ব্যালটের ভাগ্য সিল : ফল ঘোষণার অপেক্ষা ডিয়ারবর্ন হাইটসের মসজিদে হুমকি : ইলিনয়ের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার ৮ দল চাইছে আলাদা গণভোট, তিন উপদেষ্টার অপসারণ মিশিগান মেডিসিনের নতুন কান প্যাভিলিয়ন : বছরের শেষে রোগী সেবা শুরু

গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলনে ১১ ঘণ্টা মহাসড়ক বন্ধ, সীমাহীন দুর্ভোগ

  • আপলোড সময় : ০১-১০-২০২৪ ১২:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১০-২০২৪ ১২:৫৩:৪৭ অপরাহ্ন
গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলনে ১১ ঘণ্টা মহাসড়ক বন্ধ, সীমাহীন দুর্ভোগ
গাজীপুর, ১ অক্টোবর (ঢাকা পোস্ট) : বকেয়া বেতনসহ কয়েকটি দাবিতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। বিক্ষোভের কারণে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল। কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন ওই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ তৈরি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতেও মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন শ্রমিকরা। এতে সারা রাত যানজটে স্থবির থাকে মহাসড়ক। রাতভর যানজটে আটকে থাকায় অনেকের ঢাকায় পৌঁছাতে এবং গাজীপুর আসতে ভোর হয়ে যায়।
পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী টিএনজেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন। ১৭ তারিখ বিনা নোটিশে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মালিক পক্ষ। পরদিন জুন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেও জুলাই মাসের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
পরে কলকারখানা অধিদপ্তরে মালিক, শ্রমিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ২৬ সেপ্টেম্বর বকেয়া বেতন পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেদিনও কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। বকেয়া হয়ে যাওয়া সেই বেতনের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা ফের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড কারখানার শ্রমিক রেখা সুলতানা জানান, গত মাসের বাড়ি ভাড়া এখনো দিতে পারিনি। এদিকে কারখানার মালিক আমাদের বেতন দিচ্ছে না। দুইদিন ধরে আমরা সবাই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আছি। মালিকরা কেউ আসেনি। যতক্ষণ আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করা হবে, ততক্ষণ আমরা মহাসড়ক ছাড়ব না।
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সকাল ৭টায় নেত্রকোণার উদ্দেশ্যে বাসে রওনা দেন হারিছ মিয়া। তিনি বলেন, নেত্রকোণা যাবো বলে টঙ্গী থেকে ৭টায় গাড়িতে উঠেছি। সকাল ৮টায় ভোগড়ার কাছাকাছি আসি, এরপর আর আগায়নি বাস। এখানেই দাঁড়িয়ে আছে সারাদিন। আমার সঙ্গে থাকা ১০-১২জন পায়ে হেঁটে চলে গেছেন। সঙ্গে স্ত্রী-সন্তান থাকায় পায়ে হেঁটে যেতে পারছি না। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে এখন কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
ভালুকার একটি প্রতিষ্ঠানের মাল চট্টগ্রামে নিয়ে যাচ্ছেন কভার্ডভ্যানের চালক দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, সোমবার রাতে কারখানা থেকে মালামাল লোড করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। যানজটের কারণে এখনো গাজীপুর পার হতে পারিনি। সকাল ৭টায় গাজীপুরের সালনা পার হতেই শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে পড়ি। সেখানেই আটকে আছি। কভার্ডভ্যানে থাকা মাল চট্টগ্রামের ডিপো পৌঁছানোর পর সেগুলো রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করে জাহাজে তোলা হবে। সঠিক সময়ে না যেতে পারলে কারখানা কর্তৃপক্ষের অনেক ক্ষতি হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সোমবার এ্যাপারেল প্লাস লিমিটেডের শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। বেতন না দেওয়ায় শ্রমিকেরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। মহাসড়ক থেকে তাদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে শিল্প পুলিশ কাজ করছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে এসেছেন। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
তিনি জানান, গাজীপুরে এখন মাত্র নয়টি কারখানা বন্ধ আছে। ৯৮ শতাংশ পোশাক কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক আছে। বন্ধ থাকা চারটি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি কারখানা লে-অফ, একটি অস্থায়ী বন্ধ এবং তিনটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সিলেটে দুদকের ১৯১তম গণশুনানি

সিলেটে দুদকের ১৯১তম গণশুনানি