সন্ধ্যা নামতেই প্রবাসী সংগীত পিপাসুদের সব পথ গিয়ে যেন মিশেছিল বৈকুন্ঠ হিন্দু জৈন মন্দিরের মিলনায়তনে। সংগীত অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছিল। অনুষ্ঠানে গীতা সংঘের সাধারন সম্পাদক স্বরূপ দাশ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জয়ন্ত সিনহার সঞ্চালণায় একে একে মঞ্চে এসে দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হন সারেগামাপা খ্যাত ভারতীয় সংগীত শিল্পী দীপায়ন ব্যানার্জি ও টলিউড প্লেব্যাক শিল্পী প্রস্মিতা পাল। শিল্পীদ্বয় কখনো একক, কখনো দ্বৈত কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত, হারানো দিনের বাংলা ও হিন্দি গান পরিবেশন করে দর্শকদের নস্টালজিক করে তোলেন। এরপর শিল্পীরা বিরতিতে যান।শিল্পীদেরকে ড্রামে রনিত, কীবোর্ড অনির্বাণ , গীটারে মহেশ , বেস গিটারে সানি সহযোগীতা করেন। শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সৌগত চ্যাটার্জি। অনুষ্ঠানের বিরতিকালে গীতা সংঘের ট্রাস্টি বোর্ডের কর্মকর্তারা গীতা স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বিরতির পর ফিরে এসে শিল্পীদ্বয় হাল আমলের জনপ্রিয় বাংলা ও হিন্দি গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন। শ্রোতারাও শিল্পীদের পরিবেশনার সাথে নেচে-গেয়ে আনন্দ উপভোগ করেন। রাত গভীর হওয়ার পরও শ্রোতাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে কোন খামতি ছিল না। গীতা সংঘের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত সমাপনী বক্তব্য রাখেন। সংগীত অনুষ্ঠান শেষে শ্রোতারা মনোজ্ঞ সংগীত রজনী আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।