তিনি বলেন, সরকার হাওর ও চা বাগান অঞ্চলের শিশুদের উন্নয়ন সহায়তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। ঝরে পড়া রোধ ও শিশুদের শিক্ষায় উৎসাহ দান করতে স্কুল ফিডিং(দুপুরের খাবার) কর্মসূচী হাতে নেয়া হবে। ইতোমধ্যে দেশের ১৫০টি উপজেলায় এটি শুরু হয়েছে। তিনি অবকাঠামোগত প্রকল্প গুলো দ্রুত শেষ করতে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগকে তাগিদ দেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা টাল মাটাল পরিস্থিতি পেরিয়ে এলেও রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েনি। সরকারের ভাল মন্দ আপনাদের উপর। মানুষ সরকারকে ট্যক্স দেয়, বিনিময়ে নিরাপত্তা চায়। শিক্ষায় প্রশাসন এবং এলজিইডি দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা বেশী। প্রাথমিক শিক্ষার মজবুতি অর্জনে সকলকে তিনি মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।

আজ রোববার সকালে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়,সিলেট এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ,ডিআইজি,পুলিশ কমিশনার,জেলা প্রশাসকবৃন্দ,সিটি কর্পোরেশনের সিইও, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ,বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট বিভাগের সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ,সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ।নভেম্বর ২০২৪) রোববার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আরেকটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে দুটি গবেষণাধর্মী প্রেজেন্টেশন নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের উপর জরিপ করা হয়।সিলেট নানাবিধ কারণে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নকে জোরদার করতে অংশীজনরা পরামর্শ দেন।