সভায় লুটন শহরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক খালেদ মাসুদ রনি, এস আই খান, শামীম আহমদ, কাউন্সিলার আজিজুল আম্বিয়া, সাংবাদিক সুয়েদ করিম, আব্দুল করিম জলিল,সাজ্জাদ আলী দিলওয়ার ,আবু সায়ীদ জাহাঙ্গীর ,মাওলানা শহীদ আহমদ ,আতাউর রহমান মানিক ,হাজী আব্দুল গনি ,হাজী আখতার হোসেন ,হাজী আব্দুল্লাহ মিয়া ,সুহেল আহমদ, জাহেদ চৌধুরী, এমদাদ হোসেন পাভেল, সৈয়দ দিলওয়ার, মিয়া মোহাম্মদ জামিল, ফজিলত আলী খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা - অনতিবিলম্বে ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর, ওসমানী বিমান বন্দর থেকে কাতার, আমিরাত, সৌদি সহ বিদেশী ফ্লাইট চালু, নো ভিসা ফি বাতিল ও বাংলাদেশ হাই কমিশনে কনসুলার সেবা বৃদ্ধির দাবী জানানো হয়। সভায় দাবী না মানলে আগামীতে রেমিটেন্স বন্ধ ও বিমান বয়কট কর্মসূচী গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় এ দাবী বাস্তবায়নের জন্য বৃটেনের প্রতিটি শহরে সভা, সমাবেশ, আলতাব আলী পার্কে মানববন্ধন ও হাই কমিশন ঘেরাও কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ব্রিটিশ পাসপোর্টে নো-ভিসা ফিসহ অন্যান্য সার্ভিসে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে নেতারা। গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর, কো- কনভেনর, মসুদ আহমদ, সদস্য সচিব, ড. মুজিবুর রহমান ও অর্থ সচিব, এম আসরাফ মিয়া সহ বিভিন্ন রিজিওনাল ও শাখা কমিটির নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে এক দিনের নোটিশে ব্রিটিশ পাসপোর্টে নো-ভিসা ফি ৪৬ পাউন্ড থেকে কেন ৭০ পাউন্ড করা হলো? যা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, বলে উল্লেখ করে বৃটিশ পাসপোর্টে নো-ভিসা ফিসহ অন্যান্য সার্ভিসে ও ফি বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এর জোর দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন নো-ভিসা ফি ৪৬ পাউন্ড থেকে বৃদ্ধি করে ৭০ পাউন্ড করায় বৃটিশ বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রেরিত বার্তায় গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, আমাদের নিজের দেশ বাংলাদেশে যেতে ৭০ পাউন্ড নো-ভিসা ফি এটা বাংলাদেশিদের জন্য অনেক বেশি। বিশেষ করে এখন হলিডে টাইমে যখন হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে এই নো-ভিসা ফি বৃদ্ধি করায় প্রবাসীরা হতাশ।
প্রবাসীদের হাই কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত এনআইডি কার্ড প্রদান, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির জটিলতা নিরসন ও বাংলাদেশে খাজনা প্রদানে অযথা হয়রানি না করে প্রবাসীদের পাসপোর্টকে আইডি হিসাবে গ্রহণের জোর দাবি জানানো সহ অনতিবিলম্বে ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর, ওসমানী বিমান বন্দর থেকে কাতার, আমিরাত, সৌদি সহ বিদেশী ফ্লাইট চালু , নো ভিসা ফি বাতিল ও বাংলাদেশ হাই কমিশনে কনসুলার সেবা বৃদ্ধির দাবী ও নো ভিসা ফি বাতিল এর জোর দাবি জানিয়েছেন।