
পিঠা উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন সিটি থেকে নানা নামের বাহারি নকশার মুখরোচক সব পিঠা নিয়ে হাজির হন ভক্তরা। এরমধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, নারিকেল দুধ পুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই পিঠা, মালপোয়া পিঠা, ভাপা পিঠা, সন্দেশসহ মজার সব সুস্বাদু ও নজরকাড়া পিঠা। উৎসবে প্রায় ৩৫ জন গৃহিণী শতাধিক রকমের বাহারি পিঠা প্রদর্শন করেন। নানা বাহারি পিঠার সম্ভার দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে ওঠেন। অপরিাদকে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্ম পিঠার স্বাদ নেন এবং নতুন ধরনের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দেবাশীষ মৃধা বলেছেন, পিঠা শুধু খাবার নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা আর পৌষ সংক্রান্তি পালন করার জন্যই আমরা প্রতি বছর এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করছি। কারণ নতুন প্রজন্মকে এটি জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা চিনু মৃধা বলেন, আপনারা অনেক সুন্দর সুন্দর পিঠা এনেছেন। যারা পিঠা বানিয়ে এনেছেন তারা সবাই পিঠা বানানোয় পারদর্শী। কেউ কারও চেয়ে কম না। বলতে হবে আমরা সবাই ফাস্ট। মন খারাপ করার কিছু নেই। তিনি বলেন, বিচারকমন্ডলী বিভিন্ন সুস্বাদু পিঠার স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি গুণ, মান, বৈচিত্র বিবেচনায় এনে ফলাফল নির্ধারণ করবেন। এ সময় পিঠা প্রতিযোগিতায় ৫ সদস্যের বিচারকমণ্ডলীর নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- চিনু মৃধা, তপন শিকদার, রাখি রঞ্জন রায়, হ্যাপি রানী হাওলাদার এবং সৌরভ সরকার।

ফলাফল নির্ধারণে বিচারকমন্ডলীর নজরে ছিল বাহারি ও নজর কাড়া পিঠা। সেই সাথে তারা নেন পিঠার স্বাদ। এদিকে ভোজন-রসিক মানুষজন প্লেট হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান। কারণ তাদের যেন আর অপেক্ষা সইছে না। এক পর্যায়ে বিচারকমন্ডলীরা জানান, তাদের দায়িত্ব শেষ; এবার আপনাদের পালা। সাথে সাথে সবাই যে যার ইচ্ছে মতো পিঠা তুলে নিয়েছেন প্লেটে, খেয়েছেন মনের আনন্দে। সবাই তৃপ্তির সাথে পিঠা খেয়ে মুগ্ধ হন। সেই সাথে আস্বাদন করেছেন গরম গরম খিচুরি আর আলু ভাজি। পরে গানে গানে দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ দেন অত্রি রায়, পৃথা দেব ও শর্মি চক্রবর্তী।

পিঠা প্রতিযোগিতায় বিচারকদের রায়ে ৯ জন বিজয়ী হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন রত্না দেবী, দ্বিতীয় অনন্যা বর্নি, ৩য় হাসি পুরকায়স্থ, ৪র্থ প্রতিভা কপালী, ৫ম দিপীকা দাশ, ৬ষ্ট সীতা দেব, ৭ম প্রিয়াঙ্কা দাশ, ৮ম সঙ্গীতা পাল এবং ৯ম আল্পনা চক্রবর্তী। পুরষ্কার স্পন্সর করেছেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা চিনু মৃধা, মন্দিরের কো অর্ডিনেটর রতন হাওলাদার, পূর্নেন্দু চক্রবর্তী অপু, তপন শিকদার, চিন্ময় আচার্য্য, অজিত দাস, রাখি রঞ্জন রায়, প্রশান্ত দাশ এবং মোরারজী শর্মা রিঙ্কু। এবারের পিঠা উৎসবের সঞ্চালনায় ছিলেন নীলিমা রায় ও রাজশ্রী শর্মা।