
কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন আর সে সেবা নেই । আধুনিকতার বা ডিজিটালাইজেশনে সব উধাও !! রোগীর লোকেরা এখন দিচ্ছে। ছবিতে আমি একটি ব্রেইন স্ট্রোক রোগীকে Feeding দিচ্ছি। কারন কিছু নিয়ম আছে যা নার্স জানে তা অন্য মানে মেডিকেল parson ছাড়া অন্য কেউ জানে না। একটু অনিয়ম হলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তাই আমাদের করত হতো। অপারেশন রোগীদের ডাক্তার ড্রেসিং করে যেত কিন্তু পরের কাজ আমাদের-ই করতে হতো ছবিতে আমি করছি ।
যাক আমার নার্সিং জীবনের সামান্য বিবরণ তুলে ধরতে পারায় তৃপ্তি ও পুলকিত হচ্ছি। কালের স্রোতে আরও কতো পরিবর্তন, বিবর্তন আসবে কে জানে !! তবে শান্তি পাচ্ছি ঈশ্বর যে আমাকে সেই সেবা দান করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলে। আমার সৌভাগ্য ছিল বলেই সেই মহৎ ও মহান কাজ করতে পেরেছি। আর্ত-পীড়িত মানুষের সেবা সবাই করতে পারে না ঈশ্বরের কৃপা ছাড়া। কর্মে ই প্রকৃত ধর্ম। মানুষ তাঁর কর্মেই বেঁচে থাকে অনন্ত কাল, আর মহাকাল তাঁর সাক্ষী হয়ে থাকে। আমার জীবন সার্থক কিনা জানিনা শুধু জানি আমার যে ব্রত ছিল শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ, সারদা মা ও স্বামী বিবেকানন্দ "" জীবে প্রেম করে যে জন সে জন সেবিছে ঈশ্বর ''। মানব সেবাই পরম ধর্ম। সেই সেবাতে যেন অহং বোধ না থাকে ।।
অমিতা বর্দ্ধন : কবি ও লেখিকা