নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল কেক কাটা, গান, কবিতা ও আলোচনা সভা এবং ডিনার। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিকাশ শর্মা, চিনু মৃধা, অমিতা মৃধা, সাগিনাও কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের সিইআই এবং প্রেসিডেন্ট রেনি জনস্টন, মানবী মৃধা, রতন হাওলাদার, ড. কারু, মৃধা ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড হ্যাপি-এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি জ্যানসন ডিন, ড. মীনা রামাণী এবং ড, দেবাশীষ মৃধা।
বক্তারা ড. দেবাশীষ মৃধাকে একজন ভালো মনের মানুষ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে বলেন, তিনি অনেকের আদর্শও বটে। বক্তারা তাঁর সুস্থ, সুন্দর এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
![](https://suprobhatmichigan.com/public/media/67a991bf96f4f.jpg)
ড. দেবাশীষ মৃধা বলেন, আজ আমার ভালো লাগছে। জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। আমার স্ত্রী চিনু মৃধা আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য আমাকে না জানিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করাতে আমি ‘সারপ্রাইজড’ হয়নি, তবে অবাক হয়েছি এতো সুন্দর আয়োজন দেখে। বিশেষ করে আমার প্রিয়জনদের, কাছের মানুষদের পেয়ে আমি আনন্দিত। তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় কোনও সম্মাননা হয় না। সবার ভালোবাসায় আমি আপ্লুত।অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে ড. দেবাশীষ মৃধাকে নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
ড. দেবাশীষ মৃধার আদি নিবাস বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলায়। তিনি ইউক্রেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাশ করে ১৯৯১ সালে আমেরিকায় আসেন এবং বর্তমানে স্নায়ুতন্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সাগিনা সিটিতে তার নিজস্ব ক্লিনিক রয়েছে। তিনি সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনির্ভাসিটির এসোসিয়েট প্রফেসর।
![](https://suprobhatmichigan.com/public/media/67a991cd83156.jpg)
ড. দেবাশীষ মৃধা সকলের কাছে স্বজন ও গ্রহণযোগ্য এক অনন্য মানুষ। তিনি একজন দার্শনিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং লেখকও। সমাজ, সাহিত্য এবং জ্ঞানের নানা দিক নিয়ে একাধিক বই রচনা করেছেন। তিনি তার দর্শনে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করেছেন। সর্বোপরি, ড. দেবাশীষ মৃধা এমন এক দূরদর্শী মানুষ যিনি অন্যের সেবার জন্য প্রচন্ড আবেগ নিয়ে কাজ করেন। আর তাই তিনি রাজ্যের কমিউনিটির মানুষের কাছে এক সৌভাগ্যের বরপুত্র। রাজ্যের সাগিনা সিটিতে মৃধা ফাউন্ডেশনের অবস্থান। মূলত: বিশ্বব্যাপী শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসার এবং মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন। এছাড়া মৃধা ফাউন্ডেশন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে থাকে প্রতি বছর।
তিনি রাজ্যের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বহু কাঙ্খিত শিব মন্দির-টেম্পল অব জয়ের মহাপ্রাণ প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি ওয়ারেন সিটিতে মৃধা বেঙ্গলি কালচারাল সেন্টার, হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে বাংলা লাইব্রেরি 'বাংলা কর্নার' প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও দাতব্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর মধ্যে মৃধা ফাউন্ডেশন এবং মৃধা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড হ্যাপিনেস অন্যতম।
ডা. দেবাশীষ মৃধার শুভ জন্মদিনে সুপ্রভাত মিশিগান পরিবারের পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। সেইসাথে আমরা তাঁর সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।