মূল আলোচনায় অংশ নেন- ব্রিটেনের বিশিষ্ট নারীনেত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক উর্মি মাজহার। নারীদের উন্নয়ন, সমতা, অধিকার আদায়ে সহমত জানিয়ে এ আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি বিশ্ববাংলা নিউজের চেয়ার সাহেদা রহমান, হোষ্ট ইকরা বাংলা ও এলবি২৪ হাফসা ইসলাম, রেড টাইমস এর আসমা মতিন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমিনা আলী, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট নাসিমা বেগম, কবি মুজিবুল হক মনি, কবি সালমা বেগম, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি জামাল আহমেদ খাঁন, সহসভাপতি জুবায়ের আহমেদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির এসিসট্যান্ট সেক্রেটারী ইউকে বাংলা গার্ডিয়ান ম্যাগাজিনের সহকারী সম্পাদক এস কে এম আশরাফুল হুদা, রিপোর্টার্স ইউনিটির এসিসট্যান্ট সেক্রেটারী জগন্নাথপুর টাইমস এর বার্তা সম্পাদক মির্জা আবুল কাশেম, রিপোর্টার্স ইউনিটির ট্রেজারার ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ড. আজিজুল আম্বিয়া, অর্গানাইজিং এন্ড ট্রেনিং সেক্রেটারি ভয়েস অব টাওয়ার হ্যামলেটসের সম্পাদক এমডি সুয়েজ মিয়া, এনএল২৪ এর উপস্থাপক নুরুন নবী, জে টাইমস টিভি ও বাংলা সংলাপের রিপোর্টার ব্যারিস্টার ইকবাল হুসেন, ব্যারিস্টার আলিমুল হক, সাংবাদিক আলাউর রহমান শাহীন, ফটো জার্নালিস্ট নাহিদ জায়গিরদার, সাংবাদিক শাকিল আহমেদ সোহাগ ও শাহ শরীফ উদ্দিন প্রমুখ ৷

আলোচনা শেষে ইফতারের পূর্বে নারীদের সামগ্রিক উন্নয়ন ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। নারী দিবসের ইফতার পূর্ব এই আলোচনায় বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ এখন নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ধরনের অর্জন উদযাপনের একটি বৈশ্বিক দিন। একই সঙ্গে দিবসটি লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টিও তুলে ধরে। নারীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ডাক দিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, নারীদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে কারণ নারী একজন মা, কন্যা, জায়া বোন বা কারো স্ত্রী । ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মূল আলোচক সাংবাদিক উর্মি মাযহার বলেন প্রত্যেক মানুষের মানবিক গুণাবলি থাকতে হবে। নারী দিবসে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নারীরা মা হবেন বা যারা হয়েছেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যেন নিজেদের সন্তানদের ছেলে বা মেয়ে হিসেবে চিন্তা না করে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি। ছেলে যদি মানুষের মতো মানুষ হয় নারীদের প্রতি সম্মান করবে এবং একজন মেয়ে বা নারী যদি সত্যিকার অর্থে মানুষ হয় তখন পুরুষদের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান দেখিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে, একটি সুন্দর শান্তির উন্নয়নমুখী সমাজ গঠন করবে। তখন আর হানাহানি, খুন, ধর্ষণ, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।