আমেরিকা , রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ , ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘নো কিংস’-এর ডাকে উত্তাল মার্কিন মুলুক শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল ইসলাম হ্যামট্রাম্যাক প্রার্থীদের সঙ্গে বাংলা প্রেসক্লাব মিশিগানের প্রাণবন্ত মিট অ্যান্ড গ্রিট আগুনে স্তব্ধ শাহজালাল বিমানবন্দর, রাতেই আবার সচল আকাশপথ মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বাজেট কাটছাঁট মিশিগানের অটোয়া কাউন্টিতে আবারও বার্ড ফ্লু শনাক্ত ভার্জিনিয়ায় মুসলিম নারীকে লাঞ্ছনার অভিযোগে নর্থভিলের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার নির্বাচনী জালিয়াতি : বিচারের মুখে হ্যামট্রাম্যাক কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ হাসান  ইঙ্গাম কাউন্টিতে ছোট বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩ শুক্রবার সংসদে জুলাই সনদ সই, ড্রোন ওড়াতে নিষেধাজ্ঞা মিশিগান আসছেন জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান অবার্ন হিলসে সড়ক দুর্ঘটনায় ডেট্রয়েটের এক নারী নিহত মিশিগান রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগে প্রাক্তন কর্মকর্তার মামলা ক্যান্টন টাউনশিপে ছুরিকাঘাতে আহত ৩ : আত্মীয় গ্রেপ্তার সারা মিশিগানে ‘আরএক্স কিডস’ কর্মসূচি সম্প্রসারিত হচ্ছে পুলিশ স্টেশন ‘উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি : অভিযুক্ত লিভোনিয়ার বাসিন্দা মিশিগানে বাড়িতে গাড়ির ধাক্কা, বিছানা থেকে  উঠোনে ছিটকে পড়ে শিশু আহত পোর্ট হুরনে পেট্রোল পাম্পে গুলিবর্ষণে নিহত ১, নারী গ্রেপ্তার হবিগঞ্জে শিবির নেতা হত্যায় আমৃত্যু শফিকুল ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন মিশিগানে এক মঞ্চে বই, শিল্প ও সংগীতের মিলনমেলা
ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর শোক

সাবেক এমপি ভাষা সৈনিক চৌধুরী আব্দুল হাই আর নেই

  • আপলোড সময় : ১১-০৩-২০২৫ ০১:২৩:১১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৩-২০২৫ ০১:২৩:১১ অপরাহ্ন
সাবেক এমপি ভাষা সৈনিক চৌধুরী আব্দুল হাই আর নেই
হবিগঞ্জ, ১১ মার্চ : হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ২৮ পঞ্চায়েত সভাপতি চৌধুরী আব্দুল হাই আর নেই।  মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল প্রায় ৯টা ৪০ মিনিটের সময় আমেরিকার নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রেই দাফন করা হবে বলে পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে। জানাজা ও দাফনের সময়সূচী পরবর্তিতে জানানো হবে।
তিনি ১৯৩৯ সালের ২১ মার্চ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মৃত চৌধুরী আব্দুল গণি ও মা মরহুমা আছিয়া খাতুন চৌধুরী। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে সাধারণ ও অতিরিক্ত গণিতে লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে বার কাউন্সিলে ও হবিগঞ্জ অ্যাডভোকেট সমিতিতে এনরোলড হন।
১৯৬৫ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করে ভাসানী ন্যাপের হবিগঞ্জ মহকুমার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি মোজাফ্ফর ন্যাপে যোগদান করে হবিগঞ্জে সভাপতির দায়িত্ব চালিয়ে যান। ১৯৮৬-৮৭ সালে আট দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, বিভিন্ন অধিকার আদায় আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ এবং হবিগঞ্জবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। তিনি ভ্রমণ করেছেন ভারত, থাইল্যান্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া) ও আমেরিকা। তিনি একজন ত্যাগী ভাষাসংগ্রামী। তার যুগান্তকারী ভূমিকায় ভাষা আন্দোলনে হবিগঞ্জের ছাত্ররা সোচ্চার হয়ে উঠেছিল।
হবিগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্ররা বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে শুরু করেন আন্দোলন। এ সময় তিনি ছাত্রদের মধ্যে প্রিয়মুখ হয়ে ওঠেন। সবার সার্বিক সহযোগিতায় হবিগঞ্জের ছাত্র-জনতা মিলে যখন আন্দোলনে ব্যস্ত, ঠিক সে মুহূর্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ভাষাসংগ্রামী মো. আবিদ আলী হবিগঞ্জে আসেন এবং চৌধুরী আব্দুল হাইকে সঙ্গে নিয়ে কোর্টস্টেশন রোড এলাকায় প্রথম সভা আহ্বান করেন। একপর্যায়ে ঢাকায় এসে ভাষাসংগ্রামীদের সঙ্গে তিনিও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। 
তিনি মুক্তিযুদ্ধেরও সংগঠক। হবিগঞ্জ জেলা বারের সভাপতি ও সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জের প্রিয়মুখের একজন। তার মৃত্যুর খবরে দেশ-বিদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর শোক
প্রাক্তন সংসদ সদস্য, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট চৌধুরী আব্দুল হাই এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। 
সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি মরহুমের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন, “অ্যাডভোকেট চৌধুরী আব্দুল হাই একজন প্রতিথযশা আইনজীবী বা রাজনীতিবিদই ছিলেন না; উনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন ভালো মানুষ ও পরোপোকারী যাকে যেকোনো সংকট ও সমস্যায় পাশে পাওয়া যেতো। হবিগঞ্জের বিভিন্ন ন্যায্য দাবী আদায়, সালিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান, অধিকারহীন ও বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে হবিগঞ্জ তথা বাংলাদেশ একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ আইনজীবী, সৎ রাজনীতিবিদ ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় সামাজিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। আমি হারালাম আমার একজন অভিভাবক ও সত্যিকারের শুভাকাংখী ও প্রেরণাদানকারী। তাঁর মৃত্যু আমাদের হবিগঞ্জ তথা দেশের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। মহান আল্লাহ যেনো উনাকে বেহেশত নসিব করেন।”  

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
প্রথম কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত আচার্য মিশিগান আসছেন ২০ অক্টোবর

প্রথম কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত আচার্য মিশিগান আসছেন ২০ অক্টোবর