সকাল ১০ টায় পূজার মধ্য দিয়ে দোল যাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পুজা শেষে রাধা কৃষ্ণের পায়ে আবির দিয়ে জগতের মঙ্গল কামনা করেন পুরোহিত। পরে ভক্তরাে রাধা কৃষ্ণকে আবীর মাখিয়ে নিজেরাও আবিরের রঙে রঙিন হয়েছেন। কর্ম সপ্তাহের কারণে মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিতি ছিলো তুলমামুলক কম।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোলা পূর্ণিমা বা ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাঁধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল বা আবির খেলার উৎপত্তি। কোথাও এই দোল পূর্ণিমাকে দোল যাত্রা বলে। আবার ফাল্গুনী পূর্ণিমাকেও দোল পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে। মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের জন্ম হয়েছিল এই পূর্ণিমার তিথিতে, তাই দোল পূর্ণিমাকে গৌরী পূর্ণিমা বলা হয়। দোল পূর্ণিমা অনেক পৌরাণিক ঘটনা। এখানে বলে রাখা ভালো যে, দোল এবং হোলি একই রকম মনে হলেও এ দুটি মূলত আলাদা অনুষ্ঠান। সাধারণত দোলের পরের দিন হোলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দোল নিতান্তই বাঙালিদের। অন্যদিকে হোলি অবাঙালি হিন্দুদের উৎসব। বাঙালি সমাজে দোলযাত্রাকে বসন্তের আগমনী বার্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই উৎসবের মাধ্যমে বসন্তকে স্বাগত জানানো হয়।

৩ মন্দিরের কর্মসূচি
দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পলে আগামী ১৬ মার্চ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় পুজা, ১২টায় আবীর প্রদান, ১টায় গীতা পাঠ ও কীর্তন, ২টা ৩০ মিনিটে প্রসাদ বিতরণ, ৩টা ৩০ মিনিটে উদযাপিত হবে রঙের উৎসব হোলি।
মিশিগান কালিবাড়িতে রোববার ১৬ মার্চ দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং পরস্পরকে আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করবে।
রঙের উৎসব দোলযাত্রা উপলক্ষে শিব মন্দির টেম্পল অব জয়ে রোববার বিকেল ৩ টায় পুজা, ৩টা ৩০মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি, ৪টায় আবীর প্রদান, বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে হোলি সেলিব্রেশন অনুষ্ঠিত হবে।