আমেরিকা , সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আনিস আলমগীর ও শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি–জামায়াত ও এনসিপি ডেট্রয়েট পার্কে শিশুর গলা কাটার চেষ্টা : প্রবীণ আসামির  ১৫ বছর কারাদণ্ড দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান গুলিবিদ্ধ  হাদিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ ঢাকায় ডিএনসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত ফ্লেক্স-এন-গেট ডেট্রয়েটে বর্ণিল হলিডে পার্টি ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট : তফসিল ঘোষণা ভোটের ট্রেন ছাড়ছে সিলেটে মধ্যরাতে দুইবার ভূ-কম্পন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব মিশিগানে তুষারপাতের সম্ভাবনা ভোটের তফসিলের দ্বারপ্রান্তে ইসি, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক আজ মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়ে হত্যাকাণ্ড : গৃহকর্মী পলাতক ২৭ ডিসেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি, উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে হ্যামট্রাম্যাক সিটিতে সংকট : ক্লার্ক রানা ফারাজ আদালতের দ্বারস্থ গুলির শব্দে কেঁপে উঠল মুসকেগন, নিহত ২, আহত ৩

হবিগঞ্জে সুতাং নদীর পানি ও মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিক

  • আপলোড সময় : ২২-০৩-২০২৫ ০৩:০২:০২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৩-২০২৫ ০৩:০২:০২ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জে সুতাং নদীর পানি ও মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিক
হবিগঞ্জ, ২২ মার্চ : ভয়াবহ শিল্পদূষনে সুতাং নদীর পানি ও মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া নদীর পানির ভৌত- রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সুতাং নদীর পানি ও মাছের উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করছেন। প্রায় এক দশক ধরে শিল্পদূষণের শিকার এই নদীর দূষণের মাত্রা নির্ধারণের জন্য গবেষকরা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে পানি, মাছ ও পলির নমুনা সংগ্রহ করছেন।
গবেষণা প্রকল্পের প্রধান এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শাকির আহম্মেদ বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছি যে, পানি ও মাছের নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। বর্তমানে ভারী ধাতুর উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য আরও পরীক্ষা চলছে।”
গবেষক দলের সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ইফতেখার আহমেদ ফাগুন বলেন, “পরীক্ষাগার বিশ্লেষণে ইতোমধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, পানি ও মাছের নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়াও, শিল্পদূষণের ফলে নদীর পানির ভৌত-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে নদীর নিম্নপ্রবাহে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।”
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, নদীর দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO) এর মাত্রা অত্যন্ত কম, যা স্বাদুপানির মাছের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক নিচে। এছাড়া, গবেষকরা অক্সিডেশন-রিডাকশন পোটেনশিয়াল (ORP) এর এমন একটি মান পেয়েছেন, যা নদীতে হ্রাসকারক অবস্থা নির্দেশ করে। নদীর পানির পরিবাহিতা (Electrical Conductivity) এবং মোট দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ (TDS) এর মাত্রাও স্বাদুপানির বাস্তুতন্ত্রের উপযুক্ত সীমার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পাওয়া গেছে।
নমুনা সংগ্রহের সময় গবেষকরা দেখতে পান যে, নদীর নিম্নপ্রবাহে মাছের সংখ্যা অত্যন্ত কম। বিশেষ করে শৈলজোড়া খালের সংযোগস্থলের আশপাশের এলাকাটি সবচেয়ে উদ্বেগজনক ছিল, যেখানে শিল্পবর্জ্য নদীতে প্রবাহিত হয়। এই অঞ্চলে কোনো মাছ বা জলজ প্রাণী পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল বলেন, কৃষিজমি, প্রাকৃতিক গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজলভ্যতার জন্য এই অঞ্চলে দ্রুত  বিস্তৃতি লাভ করেছে বৃহৎ ও মাঝারি কলকারখানার। কারখানাগুলো অপরিশোধিত বর্জ্য নিক্ষেপ করে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে আসছে। যত্রতত্র কৃষিজমি, খাল, ছড়াসহ সকল প্রকার জীবন জীবিকা দূষণের শিকার হয়েছে। কৃষিজমি ধ্বংস, ফসলের ক্ষতি, নিরাপদ পানির অভাবসহ ক্রমাগত দূষণের কারণে চরম পরিবেশ ও মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে সুতাং পাড়ের মানুষের মাঝে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের শুরুতে কৃষিকাজে সেচ ব্যবস্থার নামে শৈলজুড়া নামক খালটি পুনঃখনন করে কয়েকটি কারখানার সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়। ফলে কোম্পানি গুলোর অপরিশোধিত বর্জ্য সহজে খালের মাধ্যমে সুতাং নদীতে ছাড়া হচ্ছে। সুদূর মেঘনা পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে এই দূষণ।
 সম্প্রতি নদীর দূষণ এলাকার ১২ টি স্থানে ৩০ বারের অধিক ঝাকি ফেলে ৩ টি ছোট পুটি মাছ ১ ছোট টাকি মাছ ও ১ টি খলসে মাছ পাওয়া যায়।  এলাকার লোকজন জানান, মাছ, ব্যাঙসহ নদীর পানিতে কোন জলজ প্রাণী নেই। শামুক ঝিনুক পর্যন্ত মরে যায়। নদীর দূষণ এলাকায় প্রাণের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে।
তোফাজ্জল সোহেল আরো বলেন, দেশের সবথেকে ভয়াবহ দূষণের নদী হিসেবে সুতাং নদী পরিচিতি পেয়েছে। মাটি, পানি, বাতাসের ভয়াবহ দূষণের কারণে নদীপাড়ের জীবন জীবিকা চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকি ও দুর্গন্ধের ভেতর দিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীকে। 
অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা পরিবেশ বিমুখ এই শিল্পায়ন উন্নয়ন  নয় বরং এই অঞ্চলে ধ্বংস ডেকে এনেছে। চলমান দূষণ প্রক্রিয়া দ্রুত বন্ধ না করলে পরিবেশ ও জনসাস্থ্য মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জগদীশ মোদকের পুত্র বিশ্বজিৎ মোদকের বিবাহ সম্পন্ন

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জগদীশ মোদকের পুত্র বিশ্বজিৎ মোদকের বিবাহ সম্পন্ন